ঝালকাঠির মেয়রের স্বাক্ষর জাল করে টাকা উত্তোলন, ২২ কর্মচারী বরখাস্ত
ঝালকাঠি প্রতিনিধি
৩০ নভেম্বর ২০২০, ২২:৩৮:২৬ | অনলাইন সংস্করণ
ঝালকাঠি পৌরসভার মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদারের স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংকের ভবিষ্যৎ তহবিল হিসাব (প্রভিডেন্ট ফান্ড) থেকে ১৮ লাখ ২১ হাজার টাকা উত্তোলনের অভিযোগে ২২ কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে পৌর মেয়র বরখাস্তের আদেশে স্বাক্ষর করেন।
এ ঘটনায় পৌর মেয়রের নির্দেশে ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটি ঘটনার সত্যতা পেয়ে গত ২৩ নভেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে মেয়রের কাছে।
শোকজের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত কর্মচারীরা লিখিতভাবে তাদের জবাব দিলে, তা সন্তোষজনক না হওয়ায় পৌরসভায় জরুরি সভা করে তাদের বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার জানান, পৌর পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২২ কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা সাত দিনের মধ্যে জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া জালিয়াতির কারণে ২২ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার প্রস্তুতি চলছে।
তিনি বলেন, পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ তহবিল (প্রভিডেন্ট ফান্ড) নামে রূপালী ব্যাংক ঝালকাঠি শাখায় একটি হিসাব আছে। এতে কর্মচারীদের বেতনের ১০ ভাগ এবং পৌরসভার ১০ ভাগসহ মোট ২০ ভাগ টাকা এ হিসাবে জমা হয়। বিধি অনুযায়ী এ টাকা কর্মচারীরা চাকরি থেকে অবসর নেয়ার সময় পেয়ে থাকেন। অথবা কারও জরুরি প্রয়োজনে মেয়রের কাছে আবেদন করে পৌরসভা থেকে ওই হিসাবের টাকা থেকে অংশবিশেষ ঋণ নিতে পারেন।
ব্যাংকের হিসাব থেকে এ টাকা উঠাতে চেকে মেয়র এবং সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর যৌথ স্বাক্ষর প্রয়োজন। ২০১৬ সালের ১৭ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত মোট ১০৪টি চেকে মেয়রের স্বাক্ষর জাল করে ১৮ লাখ ২১ হাজার টাকা উঠিয়ে নেয় ২২ জন কর্মচারী।
যাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে তারা হলেন- স্যানিটারি ইন্সপেক্টর আবদুস সালাম শিকদার, টিকাদানকারী আমিনুল ইসলাম, সীমা রানী দাস, সুলতানা পারভীন ও রাশিদা খানম, কসাইখানা পরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন, রোলার চালক ফিরোজ খান, ইয়াসিন আরাফাত, নিম্নমান সহকারী ফোরকান আমিন, অফিস সহায়ক মোরশেদা খানম, চান মিয়া ও জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য সহকারী রিয়াজুল ইসলাম, ট্রাকচালক শাকিব খান, ফটোকপি মেশিন অপারেটর সাবেক মেয়রের স্ত্রী সামসুন্নাহার মারিয়া, কার্যসহকারী নাজমুল হাসান, ট্রাক হেলপার মিলন হাওলাদার ও মর্তুজা আলী, বিদ্যুৎ লাইন ম্যান সোহেল রানা, পাম্পচালক ইকবাল হোসেন ও সোহেল খান এবং বিল ক্লার্ক সাহাব উদ্দিন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ঝালকাঠির মেয়রের স্বাক্ষর জাল করে টাকা উত্তোলন, ২২ কর্মচারী বরখাস্ত
ঝালকাঠি পৌরসভার মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদারের স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংকের ভবিষ্যৎ তহবিল হিসাব (প্রভিডেন্ট ফান্ড) থেকে ১৮ লাখ ২১ হাজার টাকা উত্তোলনের অভিযোগে ২২ কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে পৌর মেয়র বরখাস্তের আদেশে স্বাক্ষর করেন।
এ ঘটনায় পৌর মেয়রের নির্দেশে ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটি ঘটনার সত্যতা পেয়ে গত ২৩ নভেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে মেয়রের কাছে।
শোকজের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত কর্মচারীরা লিখিতভাবে তাদের জবাব দিলে, তা সন্তোষজনক না হওয়ায় পৌরসভায় জরুরি সভা করে তাদের বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার জানান, পৌর পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২২ কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা সাত দিনের মধ্যে জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া জালিয়াতির কারণে ২২ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার প্রস্তুতি চলছে।
তিনি বলেন, পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ তহবিল (প্রভিডেন্ট ফান্ড) নামে রূপালী ব্যাংক ঝালকাঠি শাখায় একটি হিসাব আছে। এতে কর্মচারীদের বেতনের ১০ ভাগ এবং পৌরসভার ১০ ভাগসহ মোট ২০ ভাগ টাকা এ হিসাবে জমা হয়। বিধি অনুযায়ী এ টাকা কর্মচারীরা চাকরি থেকে অবসর নেয়ার সময় পেয়ে থাকেন। অথবা কারও জরুরি প্রয়োজনে মেয়রের কাছে আবেদন করে পৌরসভা থেকে ওই হিসাবের টাকা থেকে অংশবিশেষ ঋণ নিতে পারেন।
ব্যাংকের হিসাব থেকে এ টাকা উঠাতে চেকে মেয়র এবং সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর যৌথ স্বাক্ষর প্রয়োজন। ২০১৬ সালের ১৭ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত মোট ১০৪টি চেকে মেয়রের স্বাক্ষর জাল করে ১৮ লাখ ২১ হাজার টাকা উঠিয়ে নেয় ২২ জন কর্মচারী।
যাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে তারা হলেন- স্যানিটারি ইন্সপেক্টর আবদুস সালাম শিকদার, টিকাদানকারী আমিনুল ইসলাম, সীমা রানী দাস, সুলতানা পারভীন ও রাশিদা খানম, কসাইখানা পরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন, রোলার চালক ফিরোজ খান, ইয়াসিন আরাফাত, নিম্নমান সহকারী ফোরকান আমিন, অফিস সহায়ক মোরশেদা খানম, চান মিয়া ও জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য সহকারী রিয়াজুল ইসলাম, ট্রাকচালক শাকিব খান, ফটোকপি মেশিন অপারেটর সাবেক মেয়রের স্ত্রী সামসুন্নাহার মারিয়া, কার্যসহকারী নাজমুল হাসান, ট্রাক হেলপার মিলন হাওলাদার ও মর্তুজা আলী, বিদ্যুৎ লাইন ম্যান সোহেল রানা, পাম্পচালক ইকবাল হোসেন ও সোহেল খান এবং বিল ক্লার্ক সাহাব উদ্দিন।