ফারুক হত্যা মামলায় টাঙ্গাইলের সাবেক পৌর মেয়র কারাগারে
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
০২ ডিসেম্বর ২০২০, ১৬:০৮:৪২ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সিকান্দার জুলকার নাইন বুধবার দুপুরে এ আদেশ দেন।
এর আগে ছয় বছর পলাতক থাকার পর সহিদুর বুধবার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তার ভাই আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানা ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামি।
আসামি সহিদুর তার বাবা সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান ও ভাই সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানার সঙ্গে বেলা পৌনে ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ঢোকেন। সেখানে আত্মসমর্পণ করে তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন প্রার্থনা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মনিরুল ইসলাম খান এবং বাদীপক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম জামিনের বিরোধিতা করেন।
এ সময় আদালতে ছিলেন নিহত ফারুক আহমেদের স্ত্রী ও মামলার বাদী নাহার আহমেদ। তিনি ন্যায়বিচারের স্বার্থে সহিদুরকে জামিন না দেয়ার জন্য আদালতের প্রতি অনুরোধ করেন। শুনানি শেষে বিচারক সিকান্দার জুলকান নাইন দুপুরের পর আদেশ দেবেন বলে জানান। দুপুরের পরে শুনানিতে এ আদেশ দেন আদালত।
প্রসঙ্গত, টাঙ্গাইলের চাঞ্চল্যকর ফারুক হত্যা মামলায় ছয় বছর পলাতক ছিলেন সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর। তিনি সোমবার আত্মসমর্পণ করতে টাঙ্গাইল আদালতে যান। কিন্তু বিচারক না আসায় চলে আসেন। কেউ তাকে আটক করেনি।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ফারুক হত্যা মামলায় টাঙ্গাইলের সাবেক পৌর মেয়র কারাগারে
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সিকান্দার জুলকার নাইন বুধবার দুপুরে এ আদেশ দেন।
এর আগে ছয় বছর পলাতক থাকার পর সহিদুর বুধবার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তার ভাই আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানা ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামি।
আসামি সহিদুর তার বাবা সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান ও ভাই সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানার সঙ্গে বেলা পৌনে ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ঢোকেন। সেখানে আত্মসমর্পণ করে তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন প্রার্থনা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মনিরুল ইসলাম খান এবং বাদীপক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম জামিনের বিরোধিতা করেন।
এ সময় আদালতে ছিলেন নিহত ফারুক আহমেদের স্ত্রী ও মামলার বাদী নাহার আহমেদ। তিনি ন্যায়বিচারের স্বার্থে সহিদুরকে জামিন না দেয়ার জন্য আদালতের প্রতি অনুরোধ করেন। শুনানি শেষে বিচারক সিকান্দার জুলকান নাইন দুপুরের পর আদেশ দেবেন বলে জানান। দুপুরের পরে শুনানিতে এ আদেশ দেন আদালত।
প্রসঙ্গত, টাঙ্গাইলের চাঞ্চল্যকর ফারুক হত্যা মামলায় ছয় বছর পলাতক ছিলেন সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর। তিনি সোমবার আত্মসমর্পণ করতে টাঙ্গাইল আদালতে যান। কিন্তু বিচারক না আসায় চলে আসেন। কেউ তাকে আটক করেনি।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।