ধর্ষণ মামলার আসামির পক্ষ নিয়ে প্রত্যাহার হলেন এসআই
বগুড়া ব্যুরো
০২ ডিসেম্বর ২০২০, ২২:৩৯:৩৮ | অনলাইন সংস্করণ
বগুড়ার ধুনটে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণ করে দেড় মাস ধরে ধর্ষণ মামলার বাদীকে অসহযোগিতা ও আসামির পক্ষ নেয়ার অভিযোগে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আহসানুল হককে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পুলিশ সুপারের নির্দেশে বুধবার তাকে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, ধুনট উপজেলার দেউড়িয়া গ্রামের এক কৃষকের মেয়ে স্থানীয় বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। প্রতিবেশী মজিবর রহমানের ছেলে মাসুদ রানা (৩৫) তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। গত ১৬ জুলাই সকালে ওই ছাত্রী পার্শ্ববর্তী কুনকইনা গ্রামে নানার বাড়িতে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। রানা স্থানীয় ইউপি সদস্য ফজলুল হক বাবুর সহযোগিতায় তাকে রাস্তা থেকে অপহরণ করে।
ছাত্রীর মা ১২ আগস্ট ধুনট থানায় মাসুদ রানা, ইউপি সদস্য ফজলুল হক বাবু, আবদুল হাই, আবদুল মান্নান, রুবেল হোসেন, সাথী খাতুন ও রুবিয়া খাতুনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। স্বজনরা গত ২৫ সেপ্টেম্বর ছাত্রীকে সিরাজগঞ্জের চান্দাইকোনা থেকে উদ্ধার করেন। পরে ধুনট থানা পুলিশ তার ডাক্তারি পরীক্ষা ও আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করায়। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া যায়।
ছাত্রীর মা ও মামলার বাদী অভিযোগ করেন, মামলা দায়েরের প্রায় তিন মাস অতিবাহিত হলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আহসানুল হক আসামিদের কাউকে গ্রেফতার করেনি। তিনি তাকে (বাদী) ইউপি সদস্য ফজলুল হকের নাম গোপন করতে নির্দেশ দেন। অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও মামলা তুলে নিতে তার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষরও নেয়া হয়।
বিষয়টি বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা জানতে পেরে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আহসানুল হককে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেন।
তবে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা ওই মামলার বাদীর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বাদী টাকা নিয়ে মীমাংসা করে এখন পুলিশকে বদনাম দিচ্ছেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ধর্ষণ মামলার আসামির পক্ষ নিয়ে প্রত্যাহার হলেন এসআই
বগুড়ার ধুনটে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণ করে দেড় মাস ধরে ধর্ষণ মামলার বাদীকে অসহযোগিতা ও আসামির পক্ষ নেয়ার অভিযোগে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আহসানুল হককে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পুলিশ সুপারের নির্দেশে বুধবার তাকে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, ধুনট উপজেলার দেউড়িয়া গ্রামের এক কৃষকের মেয়ে স্থানীয় বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। প্রতিবেশী মজিবর রহমানের ছেলে মাসুদ রানা (৩৫) তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। গত ১৬ জুলাই সকালে ওই ছাত্রী পার্শ্ববর্তী কুনকইনা গ্রামে নানার বাড়িতে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। রানা স্থানীয় ইউপি সদস্য ফজলুল হক বাবুর সহযোগিতায় তাকে রাস্তা থেকে অপহরণ করে।
ছাত্রীর মা ১২ আগস্ট ধুনট থানায় মাসুদ রানা, ইউপি সদস্য ফজলুল হক বাবু, আবদুল হাই, আবদুল মান্নান, রুবেল হোসেন, সাথী খাতুন ও রুবিয়া খাতুনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। স্বজনরা গত ২৫ সেপ্টেম্বর ছাত্রীকে সিরাজগঞ্জের চান্দাইকোনা থেকে উদ্ধার করেন। পরে ধুনট থানা পুলিশ তার ডাক্তারি পরীক্ষা ও আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করায়। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া যায়।
ছাত্রীর মা ও মামলার বাদী অভিযোগ করেন, মামলা দায়েরের প্রায় তিন মাস অতিবাহিত হলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আহসানুল হক আসামিদের কাউকে গ্রেফতার করেনি। তিনি তাকে (বাদী) ইউপি সদস্য ফজলুল হকের নাম গোপন করতে নির্দেশ দেন। অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও মামলা তুলে নিতে তার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষরও নেয়া হয়।
বিষয়টি বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা জানতে পেরে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আহসানুল হককে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেন।
তবে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা ওই মামলার বাদীর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বাদী টাকা নিয়ে মীমাংসা করে এখন পুলিশকে বদনাম দিচ্ছেন।