বর্ধিত সভায় যোগদান নিয়ে আ’লীগের দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৬
চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
০৩ ডিসেম্বর ২০২০, ২১:৫৭:২৯ | অনলাইন সংস্করণ
কুমিল্লার চান্দিনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় যোগদানকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় চান্দিনা থানা কমপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- উপজেলার হারং গ্রামের হাসেম সরকারের ছেলে পৌর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন (৪০), যুবলীগ নেতা শাহিন (৩৫), হারং গ্রামের মোসলেম মিয়ার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা রাসেল (২২) ও মনিরুজ্জামানের ছেলে ৩নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ ক্রীড়া সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নাঈম (১৮)। অপর ২ জনের নাম জানা যায়নি।
জানা যায়- বৃহস্পতিবার সকালে চান্দিনা মহিলা কলেজ মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার আহ্বান করা হয়। ওই সভায় যোগ দিতে পৌর নির্বাচনের মেয়র পদপ্রার্থীর সমর্থিত নেতাকর্মীরা ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে আসেন। বেলা সাড়ে ১১টায় থানাসংলগ্ন এলাকায় পৌর মেয়র মফিজুল ইসলাম সমর্থিত ও উপজেলা যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
উপজেলা যুবলীগ আহ্বায়ক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম মুন্সি জানান, উপজেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা চান্দিনা থানা সংলগ্ন মহিলা কলেজ রোডে প্রধান অতিথি সাবেক ডেপুটি স্পিকার অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এফবিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি মুনতাকিম আশরাফ টিটুর পক্ষে মিছিল দিচ্ছিল। এ সময় পৌর মেয়র প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র মো. মফিজুল ইসলামের সমর্থিত নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল শোডাউন নিয়ে আসার পর আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার ৪ নেতাকর্মী আহত হন।
চান্দিনা পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. মফিজুল ইসলাম জানান, বর্ধিত সভায় যোগ দিতে আমার নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেলযোগে সভাস্থলে আসছিলেন। তারা থানাসংলগ্ন এলাকায় পৌঁছলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা পেছন থেকে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমার ২ কর্মী আহত হন।
চান্দিনা থানার ওসি শামসউদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, দুইপক্ষের সংঘর্ষ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আহতদের চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বর্ধিত সভায় যোগদান নিয়ে আ’লীগের দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৬
কুমিল্লার চান্দিনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় যোগদানকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় চান্দিনা থানা কমপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- উপজেলার হারং গ্রামের হাসেম সরকারের ছেলে পৌর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন (৪০), যুবলীগ নেতা শাহিন (৩৫), হারং গ্রামের মোসলেম মিয়ার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা রাসেল (২২) ও মনিরুজ্জামানের ছেলে ৩নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ ক্রীড়া সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নাঈম (১৮)। অপর ২ জনের নাম জানা যায়নি।
জানা যায়- বৃহস্পতিবার সকালে চান্দিনা মহিলা কলেজ মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার আহ্বান করা হয়। ওই সভায় যোগ দিতে পৌর নির্বাচনের মেয়র পদপ্রার্থীর সমর্থিত নেতাকর্মীরা ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে আসেন। বেলা সাড়ে ১১টায় থানাসংলগ্ন এলাকায় পৌর মেয়র মফিজুল ইসলাম সমর্থিত ও উপজেলা যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
উপজেলা যুবলীগ আহ্বায়ক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম মুন্সি জানান, উপজেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা চান্দিনা থানা সংলগ্ন মহিলা কলেজ রোডে প্রধান অতিথি সাবেক ডেপুটি স্পিকার অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এফবিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি মুনতাকিম আশরাফ টিটুর পক্ষে মিছিল দিচ্ছিল। এ সময় পৌর মেয়র প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র মো. মফিজুল ইসলামের সমর্থিত নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল শোডাউন নিয়ে আসার পর আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার ৪ নেতাকর্মী আহত হন।
চান্দিনা পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. মফিজুল ইসলাম জানান, বর্ধিত সভায় যোগ দিতে আমার নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেলযোগে সভাস্থলে আসছিলেন। তারা থানাসংলগ্ন এলাকায় পৌঁছলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা পেছন থেকে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমার ২ কর্মী আহত হন।
চান্দিনা থানার ওসি শামসউদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, দুইপক্ষের সংঘর্ষ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আহতদের চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি।