সাভারে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
ঢাকার সাভার পৌর এলাকায় মিলন (২০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ জামসিং মহল্লায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত মিলন দক্ষিণ জামসিং মহল্লার ফজলুল হকের ছেলে। মিলন টাইলস মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন।
নিহত মিলনের বাবা ফজলুল হক বলেন, বাড়ির পাশের একটি ডোবার পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর গত কয়েক দিন যাবৎ ওই জমির চারপাশে বাঁশ দিয়ে বেড়া তৈরির কাজ করছিল মিলন ও ইমন নামে এক যুবক। বুধবার দুপুরেও একই কাজের উদ্দেশে মিলন বাসা থেকে বের হয়ে দু’জনে বেড়া নির্মাণ কাজ শুরু করে।
এর বেশ কিছুক্ষণ পর ওই জমিতে রক্তাক্ত অবস্থায় মিলনের নিথর মরদেহ দেখতে পেয়ে সাব্বির (১৩) নামের এক কিশোর দৌড়ে বাড়িতে এসে মিলনকে কুপিয়ে হত্যার খবর জানায়।
নিহতের স্ত্রী তনিমা আক্তার মীম জানান, বুধবার রাতে মিলনের মুঠোফোনে তার বন্ধু সুজন ফোন করে। ফোনটি আমি রিসিভ করার পর মিলনকে ফোন ধরিয়ে দিতে অনুরোধ করে। আমি তার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার সুযোগ না করে দেওয়ায় সে হুমকি দিয়ে বলে- ভাবি মিলনকে ফোনে কথা বলতে বলেন নাহলে কিন্তু অনেক সমস্যা হবে। পরে আমি ফোনের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেই।
পরদিন সকালে মিলন আমাকে সঙ্গে নিয়ে ওই জমিতে বেড়া নির্মাণে সহযোগিতার জন্য নিয়ে যায়। সাড়ে ৯টার দিকে আমাকে রান্না করার জন্য বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এরপর মিলন বাসায় এসে খাবার খেয়ে ওই জমিতে কাজের উদ্দেশ্যে বের হলে আমি খাবার খেতে বসি।
আমার খাবার খাওয়া শেষ না হতেই মিলনকে কুপিয়ে হত্যার খবর আসে। আমি ও আমাদের পরিবারের লোকজন দৌড়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে মিলনের নিথর দেহ ওই জমিতে পড়ে থাকতে দেখি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দক্ষিণ জামসিং মহল্লার কয়েকজন দোকানদার বলেন, নিহত মিলন একটি হত্যা মামলার আসামি এবং এলাকার মাদকের সিন্ডিকেটের সঙ্গে তাকে প্রায়ই দেখা যেত। হত্যাকাণ্ডের মাসতিনেক আগে মাদক সংক্রান্ত একটি বিষয়ে বরিশাইল্লা বাবুর সঙ্গে মিলনের মারামারির ঘটনা ঘটে। তখন বাবু মিলনকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছিল। আজ খবর পেলাম কে বা কারা তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
সাভার মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, মিলন একটি হত্যা মামলার আসামি। সে এলাকার খারাপ ছেলেদের সঙ্গে চলাফেরা করত। নিহত মিলনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় বৃহস্পতিবার একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাভারে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
ঢাকার সাভার পৌর এলাকায় মিলন (২০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ জামসিং মহল্লায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত মিলন দক্ষিণ জামসিং মহল্লার ফজলুল হকের ছেলে। মিলন টাইলস মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন।
নিহত মিলনের বাবা ফজলুল হক বলেন, বাড়ির পাশের একটি ডোবার পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর গত কয়েক দিন যাবৎ ওই জমির চারপাশে বাঁশ দিয়ে বেড়া তৈরির কাজ করছিল মিলন ও ইমন নামে এক যুবক। বুধবার দুপুরেও একই কাজের উদ্দেশে মিলন বাসা থেকে বের হয়ে দু’জনে বেড়া নির্মাণ কাজ শুরু করে।
এর বেশ কিছুক্ষণ পর ওই জমিতে রক্তাক্ত অবস্থায় মিলনের নিথর মরদেহ দেখতে পেয়ে সাব্বির (১৩) নামের এক কিশোর দৌড়ে বাড়িতে এসে মিলনকে কুপিয়ে হত্যার খবর জানায়।
নিহতের স্ত্রী তনিমা আক্তার মীম জানান, বুধবার রাতে মিলনের মুঠোফোনে তার বন্ধু সুজন ফোন করে। ফোনটি আমি রিসিভ করার পর মিলনকে ফোন ধরিয়ে দিতে অনুরোধ করে। আমি তার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার সুযোগ না করে দেওয়ায় সে হুমকি দিয়ে বলে- ভাবি মিলনকে ফোনে কথা বলতে বলেন নাহলে কিন্তু অনেক সমস্যা হবে। পরে আমি ফোনের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেই।
পরদিন সকালে মিলন আমাকে সঙ্গে নিয়ে ওই জমিতে বেড়া নির্মাণে সহযোগিতার জন্য নিয়ে যায়। সাড়ে ৯টার দিকে আমাকে রান্না করার জন্য বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এরপর মিলন বাসায় এসে খাবার খেয়ে ওই জমিতে কাজের উদ্দেশ্যে বের হলে আমি খাবার খেতে বসি।
আমার খাবার খাওয়া শেষ না হতেই মিলনকে কুপিয়ে হত্যার খবর আসে। আমি ও আমাদের পরিবারের লোকজন দৌড়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে মিলনের নিথর দেহ ওই জমিতে পড়ে থাকতে দেখি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দক্ষিণ জামসিং মহল্লার কয়েকজন দোকানদার বলেন, নিহত মিলন একটি হত্যা মামলার আসামি এবং এলাকার মাদকের সিন্ডিকেটের সঙ্গে তাকে প্রায়ই দেখা যেত। হত্যাকাণ্ডের মাসতিনেক আগে মাদক সংক্রান্ত একটি বিষয়ে বরিশাইল্লা বাবুর সঙ্গে মিলনের মারামারির ঘটনা ঘটে। তখন বাবু মিলনকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছিল। আজ খবর পেলাম কে বা কারা তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
সাভার মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, মিলন একটি হত্যা মামলার আসামি। সে এলাকার খারাপ ছেলেদের সঙ্গে চলাফেরা করত। নিহত মিলনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় বৃহস্পতিবার একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।