সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা
মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
০৪ ডিসেম্বর ২০২০, ০৮:১০:৪১ | অনলাইন সংস্করণ
খুনিদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় দৈনিক জনতার সহ সম্পাদক গোলাম আক্তার ফারুকের বিরুদ্ধে (কবি ফারুক আফিনদী) মামলা করা হয়েছে।
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার মহিউদ্দিন হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি মুজিবসেনা ঐক্যলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানের স্ত্রী শাহানাজ পারভীন গত ২৬ নভেম্বর বাদী হয়ে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩নং আমলী আদালতে ওই মামলার আবেদন করেন।
আবেদনে ফারুকের আরও দুই ভাইসহ চাচাত ভাই-ভাতিজাদের বিরুদ্ধে হামলা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে গোলাম আক্তার ফারুক বলেন, গত ১২ নভেম্বর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের উপস্থিতিতে জমির পরিমাপ করার সময় মহিউদ্দিন হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি মুজিবসেনা ঐক্যলীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে পিটিয়ে হত্যা করা হয় গোলাম মহিউদ্দিনকে।
লুৎফর রহমানের ক্যাডার বাহিনী মাত্র পাঁচ মিনিটে তিন প্রতিবন্ধী সন্তানের জনক ওষুধ ব্যবসায়ী গোলাম মহিউদ্দিনকে পিটিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনা দৈনিক পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। ঘটনার পর আসামিরা বিভিন্ন মাধ্যমে আপসের চেষ্টা করে আসছে। এতে ব্যর্থ হয়ে ঘটনার ১৬ দিন পর সাংবাদিক গোলাম আক্তার ফারুক ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক এ মামলা দায়ের করা হয়।
ফারুক বলেন, আমি হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশে সহযোগিতা করছি। আমার বড় ভাই মামলার কাজে সহযোগিতা করছেন। নিহতের প্রতিবন্ধী সন্তানদের সুবিচার প্রাপ্তির লক্ষ্যে কাজ করছি বলেই মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে ও আমার ভাইদের আসামি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘটনার দিন গোলাম মহিউদ্দিনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলার সময় আসামিদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করি আমি, আমার দুই ভাইসহ অন্য স্বজনরা।
লুৎফরকে হাতজোড় করে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন আমার বড় ভাই গোলাম ফকির আহমেদ। কিন্তু মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে তারা মহিউদ্দিনকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ঘটনার আকস্মিকতায় সবাই হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলে থাকা নিহত মহিউদ্দিনের ভাই বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আশরাফুল ইসলামও হতবিহ্বল হয়ে দাড়িয়ে থাকেন। অথচ তাকেও মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জমি সংক্রান্ত বিরোধ মীমাংসার জন্য গত ১২ নভেম্বর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ ও মেম্বার আলফাজ উদ্দিনের উপস্থিতিতে জমি পরিমাপ করার সময় মামলার আসামি মুজিবসেনা ঐক্যলীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে পিটিয়ে হত্যা করা হয় গোলাম মহিউদ্দিনকে। এ ঘটনায় ১৪ নভেম্বর নিহতের স্ত্রী মাফিয়া বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা
খুনিদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় দৈনিক জনতার সহ সম্পাদক গোলাম আক্তার ফারুকের বিরুদ্ধে (কবি ফারুক আফিনদী) মামলা করা হয়েছে।
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার মহিউদ্দিন হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি মুজিবসেনা ঐক্যলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানের স্ত্রী শাহানাজ পারভীন গত ২৬ নভেম্বর বাদী হয়ে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩নং আমলী আদালতে ওই মামলার আবেদন করেন।
আবেদনে ফারুকের আরও দুই ভাইসহ চাচাত ভাই-ভাতিজাদের বিরুদ্ধে হামলা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে গোলাম আক্তার ফারুক বলেন, গত ১২ নভেম্বর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের উপস্থিতিতে জমির পরিমাপ করার সময় মহিউদ্দিন হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি মুজিবসেনা ঐক্যলীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে পিটিয়ে হত্যা করা হয় গোলাম মহিউদ্দিনকে।
লুৎফর রহমানের ক্যাডার বাহিনী মাত্র পাঁচ মিনিটে তিন প্রতিবন্ধী সন্তানের জনক ওষুধ ব্যবসায়ী গোলাম মহিউদ্দিনকে পিটিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনা দৈনিক পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। ঘটনার পর আসামিরা বিভিন্ন মাধ্যমে আপসের চেষ্টা করে আসছে। এতে ব্যর্থ হয়ে ঘটনার ১৬ দিন পর সাংবাদিক গোলাম আক্তার ফারুক ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক এ মামলা দায়ের করা হয়।
ফারুক বলেন, আমি হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশে সহযোগিতা করছি। আমার বড় ভাই মামলার কাজে সহযোগিতা করছেন। নিহতের প্রতিবন্ধী সন্তানদের সুবিচার প্রাপ্তির লক্ষ্যে কাজ করছি বলেই মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে ও আমার ভাইদের আসামি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘটনার দিন গোলাম মহিউদ্দিনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলার সময় আসামিদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করি আমি, আমার দুই ভাইসহ অন্য স্বজনরা।
লুৎফরকে হাতজোড় করে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন আমার বড় ভাই গোলাম ফকির আহমেদ। কিন্তু মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে তারা মহিউদ্দিনকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ঘটনার আকস্মিকতায় সবাই হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলে থাকা নিহত মহিউদ্দিনের ভাই বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আশরাফুল ইসলামও হতবিহ্বল হয়ে দাড়িয়ে থাকেন। অথচ তাকেও মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জমি সংক্রান্ত বিরোধ মীমাংসার জন্য গত ১২ নভেম্বর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ ও মেম্বার আলফাজ উদ্দিনের উপস্থিতিতে জমি পরিমাপ করার সময় মামলার আসামি মুজিবসেনা ঐক্যলীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে পিটিয়ে হত্যা করা হয় গোলাম মহিউদ্দিনকে। এ ঘটনায় ১৪ নভেম্বর নিহতের স্ত্রী মাফিয়া বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।