পটুয়াখালীতে সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা
পটুয়াখালী ও দক্ষিণ প্রতিনিধি
০৪ ডিসেম্বর ২০২০, ২১:৪২:৩৫ | অনলাইন সংস্করণ
ডেইলি সান পত্রিকার পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি আবদুল কাইউমের গ্রামের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। সন্ত্রাসীরা হামলার সময় সাংবাদিক কাইউমের বড়ভাই ফয়সালকে (৩২) পিটিয়ে আহতসহ পরিবারের সদস্যদের শারীরিক লাঞ্ছিত করেছে।
ঘের দখল সংক্রান্ত ঘটনার ছবি তুলতে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে আবদুল কাইউম মামলা করায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। এদিকে হামলার ঘটনার পর আবু তালেব নামে একজনকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে হামলাকারীরা।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের বাউরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর আগেও সাংবাদিক কাইউমসহ প্রতিবেশীরা হামলার শিকার হয়েছিলেন।
হামলার শিকার ফয়সাল জানান, গত ২ এপ্রিল তার ছোটভাই ডেইলি সান পত্রিকার পটুয়াখালী প্রতিনিধি সাংবাদিক কাইউম ঘের দখল সংক্রান্ত ঘটনার ছবি তুলতে গিয়ে হামলার শিকার হন। ওই হামলার ঘটনায় মামলা করা হয়। ওই হামলার মামলা তুলে নিতে অভিযুক্ত হানিফ, ফারুক, মজিবর, মাহাবুব নাজমুল ও সিদ্দিক গং বুধবার রাতে ফয়সাল ও মামলার বাদী আবু তালেবকে মারধর করে ফয়সালের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় সাংবাদিক কাইউমের বৃদ্ধ বাবা-মাকে শারীরিক লাঞ্ছিত করা হয়।
হামলার পর পুরনো মামলার বাদী আবু তালেবকে তুলে নিয়ে যায় তারা। হামলার খবর পেয়ে পটুয়াখালী জেলা শহরে অবস্থানরত সাংবাদিক কাইউম গলাচিপা থানার ওসি মনিরুল ইসলামকে অবহিত করেন।
কিছুক্ষণ পর সংশ্লিষ্ট থানার এসআই শহিদ ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য কাইউমের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন এবং কাইউম পুলিশকে বিস্তারিত জানান। এসআই শহিদ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাইউমের বৃদ্ধ বাবা-মার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এ সময় এসআই তাদের বলেন- আপনারা হামলা ও ভাংচুরের নাটক সাজিয়েছেন।
হামলা নয়- নাটক সাজানোর কথা নিশ্চিত করে সাংবাদিক কাইউমের সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করেন গলাচিপা থানার এসআই শহিদ। মোবাইল রেকর্ডে এমন তথ্য নিশ্চিত করা গেছে।
এ সময় হামলাকারীরা তুলে নেয়া আবু তালেবকে এসআই শহিদের হাতে তুলে দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই শহিদ বলেন, আমি নয়- এসআই মনির আবু তালেবকে গ্রেফতার করেছেন।
অথচ সংশ্লিষ্টরা জানান, ওই রাতে এসআই শহিদ ও মনির একসঙ্গে ঘটনাস্থলে যান এবং হামলাকারীরা আবু তালেবকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
আবু তালেবকে আটকের বিষয়ে পুলিশ জানায়, তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
এসআই শহিদ জানান, তারা হামলার নাটক সাজিয়ে অন্যকে ফাঁসাতে চাইছেন।
সাংবাদিক কাইউমের বৃদ্ধ বাবা সাবেক শিক্ষক রেজাউল করিম জানান, বুধবার রাতে সন্ত্রাসীরা তার ছেলেকে মারধর করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে হামলাকারীদের পক্ষ নিয়ে উল্টো আমাদের শাসিয়ে গেছে। এর আগে একই ব্যক্তিরা তার ছোট ছেলে কাইউমকে ব্যাপক মারধর করলেও থানায় মামলা নেয়নি।
এ প্রসঙ্গে গলাচিপা সার্কেল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেনকে জানালে তিনি খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পটুয়াখালীতে সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা
ডেইলি সান পত্রিকার পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি আবদুল কাইউমের গ্রামের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। সন্ত্রাসীরা হামলার সময় সাংবাদিক কাইউমের বড়ভাই ফয়সালকে (৩২) পিটিয়ে আহতসহ পরিবারের সদস্যদের শারীরিক লাঞ্ছিত করেছে।
ঘের দখল সংক্রান্ত ঘটনার ছবি তুলতে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে আবদুল কাইউম মামলা করায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। এদিকে হামলার ঘটনার পর আবু তালেব নামে একজনকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে হামলাকারীরা।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের বাউরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর আগেও সাংবাদিক কাইউমসহ প্রতিবেশীরা হামলার শিকার হয়েছিলেন।
হামলার শিকার ফয়সাল জানান, গত ২ এপ্রিল তার ছোটভাই ডেইলি সান পত্রিকার পটুয়াখালী প্রতিনিধি সাংবাদিক কাইউম ঘের দখল সংক্রান্ত ঘটনার ছবি তুলতে গিয়ে হামলার শিকার হন। ওই হামলার ঘটনায় মামলা করা হয়। ওই হামলার মামলা তুলে নিতে অভিযুক্ত হানিফ, ফারুক, মজিবর, মাহাবুব নাজমুল ও সিদ্দিক গং বুধবার রাতে ফয়সাল ও মামলার বাদী আবু তালেবকে মারধর করে ফয়সালের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় সাংবাদিক কাইউমের বৃদ্ধ বাবা-মাকে শারীরিক লাঞ্ছিত করা হয়।
হামলার পর পুরনো মামলার বাদী আবু তালেবকে তুলে নিয়ে যায় তারা। হামলার খবর পেয়ে পটুয়াখালী জেলা শহরে অবস্থানরত সাংবাদিক কাইউম গলাচিপা থানার ওসি মনিরুল ইসলামকে অবহিত করেন।
কিছুক্ষণ পর সংশ্লিষ্ট থানার এসআই শহিদ ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য কাইউমের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন এবং কাইউম পুলিশকে বিস্তারিত জানান। এসআই শহিদ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাইউমের বৃদ্ধ বাবা-মার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এ সময় এসআই তাদের বলেন- আপনারা হামলা ও ভাংচুরের নাটক সাজিয়েছেন।
হামলা নয়- নাটক সাজানোর কথা নিশ্চিত করে সাংবাদিক কাইউমের সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করেন গলাচিপা থানার এসআই শহিদ। মোবাইল রেকর্ডে এমন তথ্য নিশ্চিত করা গেছে।
এ সময় হামলাকারীরা তুলে নেয়া আবু তালেবকে এসআই শহিদের হাতে তুলে দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই শহিদ বলেন, আমি নয়- এসআই মনির আবু তালেবকে গ্রেফতার করেছেন।
অথচ সংশ্লিষ্টরা জানান, ওই রাতে এসআই শহিদ ও মনির একসঙ্গে ঘটনাস্থলে যান এবং হামলাকারীরা আবু তালেবকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
আবু তালেবকে আটকের বিষয়ে পুলিশ জানায়, তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
এসআই শহিদ জানান, তারা হামলার নাটক সাজিয়ে অন্যকে ফাঁসাতে চাইছেন।
সাংবাদিক কাইউমের বৃদ্ধ বাবা সাবেক শিক্ষক রেজাউল করিম জানান, বুধবার রাতে সন্ত্রাসীরা তার ছেলেকে মারধর করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে হামলাকারীদের পক্ষ নিয়ে উল্টো আমাদের শাসিয়ে গেছে। এর আগে একই ব্যক্তিরা তার ছোট ছেলে কাইউমকে ব্যাপক মারধর করলেও থানায় মামলা নেয়নি।
এ প্রসঙ্গে গলাচিপা সার্কেল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেনকে জানালে তিনি খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।