টাঙ্গাইলে সড়কে প্রাণ হারানো ৬ জনই পীরগঞ্জের
পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
০৪ ডিসেম্বর ২০২০, ২২:৪৪:৪৫ | অনলাইন সংস্করণ
পিতৃহারা সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী লুহানা খাতুন আর তার মায়ের সঙ্গে দেখাও করবে না, কথাও বলবে না। এমনকি আর স্কুলেও যাবে না। তার গার্মেন্টকর্মী মা সাজেদা বেগমের সঙ্গে দেখা করার জন্য ঢাকায় যাওয়ার পথে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় সে মারা গেছে।
লুহানার সঙ্গে তার চাচাতো ভাইসহ আরও ৫ জন বাসযাত্রী মারা গেছেন। তারা সবাই পীরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। তাদের বাড়িতে এখন শোকের মাতন চলছে। শুক্রবার ভোরে বাস আর ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৬ জন নিহত হয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার শানেরহাট ইউনিয়নের হরিপুর শাহাপুর (রাজাকপুর) গ্রামের লুলু মিয়া ২ বছর আগে স্ট্রোক করে মারা যান। তার স্ত্রী সাজেদা বেগম পরিবারের অভাব মেটাতে মেয়ে লুহানা ও ছেলে লিটনকে বাড়িতে রেখে ঢাকায় গার্মেন্টে চাকরিতে যান। শানেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী লুহানা। সে তার মায়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য চাচাতো ভাই পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র শওকাত মিয়াকে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বড়দরগা বাসস্ট্যান্ডে ‘সেবা ক্লাসিক পরিবহনে’ চড়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়।
ওই বাসে পীরগঞ্জের আরও ৪ জন উঠেন। শুক্রবার ভোরে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাসটি বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৬ নিহত হন।
নিহতরা হলেন- পীরগঞ্জের শানেরহাট ইউনিয়নের হরিপুর শাহাপুরের (রাজাকপুর) লুহানা, শওকাত, ধল্লাকান্দি গ্রামের সিরাজুল ইসলাম (৩৫), আশরাফুল ইসলাম (৩৬), খোলাহাটি গ্রামের সৈয়দ আলী এবং একজন অজ্ঞাতনামা। নিহত সিরাজুল, আশরাফুল এবং সৈয়দ আলী ঢাকায় রিকশা চালানোর জন্য যাচ্ছিলেন।
লাশগুলো বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য নিহতদের পরিবারের সদস্যরা টাঙ্গাইলে গেছেন। অপরদিকে লাশগুলো দাফনের জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে কবর খনন করে রাখা হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
টাঙ্গাইলে সড়কে প্রাণ হারানো ৬ জনই পীরগঞ্জের
পিতৃহারা সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী লুহানা খাতুন আর তার মায়ের সঙ্গে দেখাও করবে না, কথাও বলবে না। এমনকি আর স্কুলেও যাবে না। তার গার্মেন্টকর্মী মা সাজেদা বেগমের সঙ্গে দেখা করার জন্য ঢাকায় যাওয়ার পথে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় সে মারা গেছে।
লুহানার সঙ্গে তার চাচাতো ভাইসহ আরও ৫ জন বাসযাত্রী মারা গেছেন। তারা সবাই পীরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। তাদের বাড়িতে এখন শোকের মাতন চলছে। শুক্রবার ভোরে বাস আর ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৬ জন নিহত হয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার শানেরহাট ইউনিয়নের হরিপুর শাহাপুর (রাজাকপুর) গ্রামের লুলু মিয়া ২ বছর আগে স্ট্রোক করে মারা যান। তার স্ত্রী সাজেদা বেগম পরিবারের অভাব মেটাতে মেয়ে লুহানা ও ছেলে লিটনকে বাড়িতে রেখে ঢাকায় গার্মেন্টে চাকরিতে যান। শানেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী লুহানা। সে তার মায়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য চাচাতো ভাই পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র শওকাত মিয়াকে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বড়দরগা বাসস্ট্যান্ডে ‘সেবা ক্লাসিক পরিবহনে’ চড়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়।
ওই বাসে পীরগঞ্জের আরও ৪ জন উঠেন। শুক্রবার ভোরে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাসটি বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৬ নিহত হন।
নিহতরা হলেন- পীরগঞ্জের শানেরহাট ইউনিয়নের হরিপুর শাহাপুরের (রাজাকপুর) লুহানা, শওকাত, ধল্লাকান্দি গ্রামের সিরাজুল ইসলাম (৩৫), আশরাফুল ইসলাম (৩৬), খোলাহাটি গ্রামের সৈয়দ আলী এবং একজন অজ্ঞাতনামা। নিহত সিরাজুল, আশরাফুল এবং সৈয়দ আলী ঢাকায় রিকশা চালানোর জন্য যাচ্ছিলেন।
লাশগুলো বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য নিহতদের পরিবারের সদস্যরা টাঙ্গাইলে গেছেন। অপরদিকে লাশগুলো দাফনের জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে কবর খনন করে রাখা হয়েছে।