ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে সাংবাদিক ফরিদের মামলার প্রতিবেদন দাখিলে সময়ের আবেদন
কক্সবাজার প্রতিনিধি
০৭ ডিসেম্বর ২০২০, ২২:৫২:৩৩ | অনলাইন সংস্করণ
টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ ২৬ পুলিশের বিরুদ্ধে সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খানের দায়েরকৃত মামলার প্রতিবেদন দাখিলে ৩০ দিন সময় চেয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
সোমবার কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জেরিন সুলতানার আদালতে হাজির হয়ে সময়ের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ইন্সপেক্টর কায়সার হামিদ। আদালত শুনানি শেষে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদন মঞ্জুর করেন।
সূত্রমতে, চলতি বছরের ৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি দায়ের করেছিলেন সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান। যার নং সিআর ৬৬৬/২০২০ সদর। মূলত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান কর্তৃক প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল জনতার বাণীতে ২০১৯ সালের ২৪ জুন ‘টাকা না দিলে ক্রসফায়ার দেন টেকনাফের ওসি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর ওসি প্রদীপের রোষানলে পড়েন ফরিদুল মোস্তফা।
একপর্যায়ে ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালে টেকনাফ থানার ওসি থাকাকালে প্রদীপ কুমার দাশ সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খানকে রাতের অন্ধকারে ঢাকার মিরপুরের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যান টেকনাফ থানায়। পরে চালানো হয় অমানবিক বর্বরতা ও নির্মম নির্যাতন। কয়েক দিন ধারাবাহিক নির্যাতন শেষে অস্ত্র, মাদক, চাঁদাবাজিসহ পৃথক ৬টি মামলা দিয়ে চালান দেয়া হয়। এসব মামলায় সাংবাদিক ফরিদ টানা ১১ মাস ৫ দিন কারাভোগের পর চলতি বছরের ২৭ আগস্ট জামিনে মুক্তি পান।
একপর্যায়ে তিনি শারীরিক, মানসিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগে চলতি বছরের ৮ সেপ্টেম্বর বরখাস্ত ওসি প্রদীপকে প্রধান আসামি করে ২৬ পুলিশ সদস্য এবং ৪ জন মাদক ব্যবসায়ীসহ মোট ৩০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন সদর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ।
৭ ডিসেম্বর পরবর্তী ধার্য তারিখ এ মামলার প্রতিবেদন দাখিলের কথা থাকলেও আদালতে ৩০ দিন সময় চাওয়ার কারণে মামলার বাদীসহ কর্তব্যরত সাংবাদিকরা এ মামলার ন্যায়বিচার নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে সরকারের ওপর মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বাদীর প্রধান আইনজীবী মো. আবদুল মন্নান বলেন, যে কোনো মামলা তদন্তে দীর্ঘসূত্রিতা হলে ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত হয়। আলামত নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তিনি বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা পরবর্তী ধার্য তারিখের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবেন।
এদিকে মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে হত্যার ঘটনায় তার বোনের দায়ের করা মামলায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে সাংবাদিক ফরিদের মামলার প্রতিবেদন দাখিলে সময়ের আবেদন
টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ ২৬ পুলিশের বিরুদ্ধে সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খানের দায়েরকৃত মামলার প্রতিবেদন দাখিলে ৩০ দিন সময় চেয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
সোমবার কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জেরিন সুলতানার আদালতে হাজির হয়ে সময়ের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ইন্সপেক্টর কায়সার হামিদ। আদালত শুনানি শেষে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদন মঞ্জুর করেন।
সূত্রমতে, চলতি বছরের ৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি দায়ের করেছিলেন সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান। যার নং সিআর ৬৬৬/২০২০ সদর। মূলত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান কর্তৃক প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল জনতার বাণীতে ২০১৯ সালের ২৪ জুন ‘টাকা না দিলে ক্রসফায়ার দেন টেকনাফের ওসি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর ওসি প্রদীপের রোষানলে পড়েন ফরিদুল মোস্তফা।
একপর্যায়ে ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালে টেকনাফ থানার ওসি থাকাকালে প্রদীপ কুমার দাশ সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খানকে রাতের অন্ধকারে ঢাকার মিরপুরের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যান টেকনাফ থানায়। পরে চালানো হয় অমানবিক বর্বরতা ও নির্মম নির্যাতন। কয়েক দিন ধারাবাহিক নির্যাতন শেষে অস্ত্র, মাদক, চাঁদাবাজিসহ পৃথক ৬টি মামলা দিয়ে চালান দেয়া হয়। এসব মামলায় সাংবাদিক ফরিদ টানা ১১ মাস ৫ দিন কারাভোগের পর চলতি বছরের ২৭ আগস্ট জামিনে মুক্তি পান।
একপর্যায়ে তিনি শারীরিক, মানসিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগে চলতি বছরের ৮ সেপ্টেম্বর বরখাস্ত ওসি প্রদীপকে প্রধান আসামি করে ২৬ পুলিশ সদস্য এবং ৪ জন মাদক ব্যবসায়ীসহ মোট ৩০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন সদর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ।
৭ ডিসেম্বর পরবর্তী ধার্য তারিখ এ মামলার প্রতিবেদন দাখিলের কথা থাকলেও আদালতে ৩০ দিন সময় চাওয়ার কারণে মামলার বাদীসহ কর্তব্যরত সাংবাদিকরা এ মামলার ন্যায়বিচার নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে সরকারের ওপর মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বাদীর প্রধান আইনজীবী মো. আবদুল মন্নান বলেন, যে কোনো মামলা তদন্তে দীর্ঘসূত্রিতা হলে ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত হয়। আলামত নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তিনি বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা পরবর্তী ধার্য তারিখের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবেন।
এদিকে মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে হত্যার ঘটনায় তার বোনের দায়ের করা মামলায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।