ফরিদপুরে যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ
ফরিদপুর ব্যুরো
১৪ ডিসেম্বর ২০২০, ২২:১২:৪৩ | অনলাইন সংস্করণ
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার বিলনালিয়া গ্রামে যৌতুক না পেয়ে মোসা. রুমা আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার গৃহবধূ রুমার লাশ তার স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে নগরকান্দা থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে নিহতের পিতা সোহরাব থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ রুমার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
নিহত রুমার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, চার বছর আগে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার বিলনালিয়া গ্রামের শওকত মোল্যার সঙ্গে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাদিরপুর গ্রামের সোহরাব মাতুব্বরের কন্যা রুমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী শওকত মোল্যা বিদেশ চলে যান। এরপর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন রুমাকে বিভিন্নভাবে অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকে।
বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য রুমাকে চাপ দেয়া হয়। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ধার-দেনা করে কয়েক লাখ টাকা যৌতুক দেয়া হয় শওকতের পরিবারকে। গত দুই মাস আগে সৌদি আবর থেকে স্বামী শওকত দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে ফের যৌতুকের জন্য রুমা ও তার পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করেন। বাড়ি করার জন্য শওকতকে আরও টাকা দেয়া হয়। দুই দিন আগে রুমা ফোন করে জানান, তাকে মারপিট করা হচ্ছে।
নিহত রুমার পিতা সোহরাব মাতুব্বর জানান, রুমার স্বামী বিদেশে যাওয়ার সময় বেশকিছু টাকা দেয়া হয়। পরবর্তীকে কয়েক দফায় আরও টাকা দেয়া হয়। সৌদি আবর থেকে দেশে ফেরার পর বাড়ি করার কথা বলে শওকত আরও টাকা নেয়। গত কয়েক দিন আগে শওকত আরও টাকা চায়। টাকা না দিতে পারায় সে আমার মেয়েকে মারপিট করে। আমার মেয়ে আমাকে ফোন করে মারপিটের কথা জানায়।
তিনি জানান, সোমবার সকালে রুমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন ফোন করে জানান, রুমা মারা গেছে। আমরা রুমার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে কাউকে পাইনি। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ থানায় নিয়ে আসে। আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য হত্যা করা হয়েছে। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
এদিকে ঘটনার পর থেকে রুমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
নগরকান্দা থানার ওসি শেখ মো. সোহেল রানা বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। গৃহবধূ রুমার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ফরিদপুরে যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার বিলনালিয়া গ্রামে যৌতুক না পেয়ে মোসা. রুমা আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার গৃহবধূ রুমার লাশ তার স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে নগরকান্দা থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে নিহতের পিতা সোহরাব থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ রুমার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
নিহত রুমার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, চার বছর আগে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার বিলনালিয়া গ্রামের শওকত মোল্যার সঙ্গে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাদিরপুর গ্রামের সোহরাব মাতুব্বরের কন্যা রুমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী শওকত মোল্যা বিদেশ চলে যান। এরপর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন রুমাকে বিভিন্নভাবে অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকে।
বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য রুমাকে চাপ দেয়া হয়। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ধার-দেনা করে কয়েক লাখ টাকা যৌতুক দেয়া হয় শওকতের পরিবারকে। গত দুই মাস আগে সৌদি আবর থেকে স্বামী শওকত দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে ফের যৌতুকের জন্য রুমা ও তার পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করেন। বাড়ি করার জন্য শওকতকে আরও টাকা দেয়া হয়। দুই দিন আগে রুমা ফোন করে জানান, তাকে মারপিট করা হচ্ছে।
নিহত রুমার পিতা সোহরাব মাতুব্বর জানান, রুমার স্বামী বিদেশে যাওয়ার সময় বেশকিছু টাকা দেয়া হয়। পরবর্তীকে কয়েক দফায় আরও টাকা দেয়া হয়। সৌদি আবর থেকে দেশে ফেরার পর বাড়ি করার কথা বলে শওকত আরও টাকা নেয়। গত কয়েক দিন আগে শওকত আরও টাকা চায়। টাকা না দিতে পারায় সে আমার মেয়েকে মারপিট করে। আমার মেয়ে আমাকে ফোন করে মারপিটের কথা জানায়।
তিনি জানান, সোমবার সকালে রুমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন ফোন করে জানান, রুমা মারা গেছে। আমরা রুমার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে কাউকে পাইনি। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ থানায় নিয়ে আসে। আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য হত্যা করা হয়েছে। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
এদিকে ঘটনার পর থেকে রুমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
নগরকান্দা থানার ওসি শেখ মো. সোহেল রানা বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। গৃহবধূ রুমার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।