চিপস কিনতে গিয়ে নিখোঁজ শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা
বগুড়া ব্যুরো
১৫ ডিসেম্বর ২০২০, ১৩:৪৩:৫৯ | অনলাইন সংস্করণ
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় চিপস কিনতে গিয়ে নিখোঁজ এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
সোমবার রাতে উপজেলার চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের নসরতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সকালে ওই শিশুর মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শিশু তাবাচ্ছুম খাতুন নসরতপুর গ্রামের বেলাল হোসেন খোকনের মেয়ে এবং স্থানীয় পাঁচথুপি-নসরতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ ও গ্রামবাসী জানান, শিশু তাবাচ্ছুম খাতুনের বাবা ও মা ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। মেয়েটি গ্রামে দাদা আবদুস সবুরের বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করত।
এদিকে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই নসরতপুর জান্নাতুল ফেরদৌস কবরস্থান চত্বরে দুদিনব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের আয়োজন করে কবরস্থান পরিচালনা কমিটি।
সোমবার রাতে তাবাচ্ছুম তার দাতা আবদুস সবুর ও দাদি খোদেজা বেগমের সঙ্গে প্রথম দিনের তাফসির শুনতে যায়। রাত ১০টার দিকে শিশুটি চিপস কিনতে মঞ্চের পাশে দোকানে যায়। এর পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে রাত ১টার দিকে মঞ্চের কাছে বাঁশঝাড়ে তার বিবস্ত্র মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে ধুনট থানাপুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা জানান, ধারণা করা হচ্ছে– দুর্বৃত্তরা শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেছে।
মঙ্গলবার সকালে মরদেহ বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানান ওসি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
চিপস কিনতে গিয়ে নিখোঁজ শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় চিপস কিনতে গিয়ে নিখোঁজ এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
সোমবার রাতে উপজেলার চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের নসরতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সকালে ওই শিশুর মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শিশু তাবাচ্ছুম খাতুন নসরতপুর গ্রামের বেলাল হোসেন খোকনের মেয়ে এবং স্থানীয় পাঁচথুপি-নসরতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ ও গ্রামবাসী জানান, শিশু তাবাচ্ছুম খাতুনের বাবা ও মা ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। মেয়েটি গ্রামে দাদা আবদুস সবুরের বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করত।
এদিকে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই নসরতপুর জান্নাতুল ফেরদৌস কবরস্থান চত্বরে দুদিনব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের আয়োজন করে কবরস্থান পরিচালনা কমিটি।
সোমবার রাতে তাবাচ্ছুম তার দাতা আবদুস সবুর ও দাদি খোদেজা বেগমের সঙ্গে প্রথম দিনের তাফসির শুনতে যায়। রাত ১০টার দিকে শিশুটি চিপস কিনতে মঞ্চের পাশে দোকানে যায়। এর পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে রাত ১টার দিকে মঞ্চের কাছে বাঁশঝাড়ে তার বিবস্ত্র মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে ধুনট থানাপুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা জানান, ধারণা করা হচ্ছে– দুর্বৃত্তরা শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেছে।
মঙ্গলবার সকালে মরদেহ বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানান ওসি।