হাত-পা বেঁধে রিপনকে কুপিয়ে হত্যা করে ভাই-ভাবি
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
১৭ ডিসেম্বর ২০২০, ২২:২৮:৫৯ | অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহের শৈলকূপায় কৃষক রিপন হত্যার দায় স্বীকার করেছেন নিহতের মেজো ভাইয়ের স্ত্রী ফরিদা। বৃহস্পতিবার বিকালে ঝিনাইদহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, রিপনকে হাত-পা বেঁধে দা দিয়ে কুপিয়ে তিনি ও তার স্বামী হত্যা করেন।
ওই জবানবন্দিতে হত্যার বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম।
ওসি জানান, রিপন উপজেলার নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নের চররূপদহ গ্রামের মৃত আব্দুল বারিক বিশ্বাসের ছেলে। বুধবার বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের শ্যালক উপজেলা যুবলীগের সেক্রেটারি বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
৯ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টা থেকে নিখোঁজ ছিলেন রিপন। ঘটনার দিন বাড়ির পাশের মাঠে ধান পাহারা দিতে যান তিনি। এ হত্যার ঘটনায় সন্দেহজনকভাবে নিহতের মেজো ভাইয়ের স্ত্রী ফরিদাকে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে আদালতে হাজির করা হলে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে স্বামী-স্ত্রী মিলে রিপনকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেন ফরিদা।
ওসি আরও জানিয়েছেন, রিপনকে প্রথমে হাত-পা বেঁধে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর চাদর দিয়ে মুড়িয়ে লাশ বাড়ি পাশের ডোবাতে মাটিচাপা দেয় ঘাতকরা। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত মেজো ভাইকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু করেছে। ইতোমধ্যে হত্যার সময় ব্যবহার করা দা উদ্ধার করা হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
হাত-পা বেঁধে রিপনকে কুপিয়ে হত্যা করে ভাই-ভাবি
ঝিনাইদহের শৈলকূপায় কৃষক রিপন হত্যার দায় স্বীকার করেছেন নিহতের মেজো ভাইয়ের স্ত্রী ফরিদা। বৃহস্পতিবার বিকালে ঝিনাইদহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, রিপনকে হাত-পা বেঁধে দা দিয়ে কুপিয়ে তিনি ও তার স্বামী হত্যা করেন।
ওই জবানবন্দিতে হত্যার বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম।
ওসি জানান, রিপন উপজেলার নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নের চররূপদহ গ্রামের মৃত আব্দুল বারিক বিশ্বাসের ছেলে। বুধবার বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের শ্যালক উপজেলা যুবলীগের সেক্রেটারি বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
৯ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টা থেকে নিখোঁজ ছিলেন রিপন। ঘটনার দিন বাড়ির পাশের মাঠে ধান পাহারা দিতে যান তিনি। এ হত্যার ঘটনায় সন্দেহজনকভাবে নিহতের মেজো ভাইয়ের স্ত্রী ফরিদাকে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে আদালতে হাজির করা হলে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে স্বামী-স্ত্রী মিলে রিপনকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেন ফরিদা।
ওসি আরও জানিয়েছেন, রিপনকে প্রথমে হাত-পা বেঁধে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর চাদর দিয়ে মুড়িয়ে লাশ বাড়ি পাশের ডোবাতে মাটিচাপা দেয় ঘাতকরা। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত মেজো ভাইকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু করেছে। ইতোমধ্যে হত্যার সময় ব্যবহার করা দা উদ্ধার করা হয়েছে।