ঠিকাদার অপহরণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
ফেনী প্রতিনিধি
৩১ ডিসেম্বর ২০২০, ১৮:৪৪:৪৩ | অনলাইন সংস্করণ
ফেনী জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে গ্রামপুলিশের (চৌকিদার-দফাদার) পোশাক সরবরাহের দরপত্র জমা দিতে গিয়ে খলিলুর রহমান নামের এক ঠিকাদারকে অপহরণ মামলায় শর্শদী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগ সহ-সভাপতি জানে আলম দুলালকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। বৃহস্পতিবার জাহানপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি এএনএম নুরুজ্জামান তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান,ওই ঘটনায় ঠিকাদার খলিলুর রহমান বাদী হয়ে শর্শদী ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলম দুলাল ও গ্রেফতার ৪ জনসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ২-৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অপর চার আসামি সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের উত্তর জাহানপুর এলাকার পাটোয়ারী বাড়ির খোরশেদ আলমের ছেলে সফিকুল ইসলাম (২৪),একই এলাকার মোয়াজ্জেম বাড়ির আবুল কাসেমের ছেলে মো. সালাউদ্দিন (২০),জোয়ারকাছাড় এলাকার সাহাব উদ্দিন মোল্লা বাড়ির কবির আহম্মদের ছেলে কামরুল হাসান সাব্বির (২৩) ও শহরের পূর্ব উকিলপাড়া এলাকার মুন্সি পুকুরপাড় সংলগ্ন শাহাদাত হোসেনের ছেলে মো. রাসেল হোসেন (২৭) কারাগারে রয়েছে। এদের মধ্যে সফিকুল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
উল্লেখ্য, গত রোববার ফেনী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলার গ্রামপুলিশদের পোশাক সরবরাহের দরপত্র জমা দেয়ার দিন ধার্য ছিল। ৫৪ লাখ টাকার ওই কাজ পেতে নির্ধারিত দিনে দরপত্র জমা দেয়ার জন্য ফেনী আসেন টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার ইনপিঞ্জারপুর এলাকার বাসিন্দা রাজধানীর ব্যবসায়ী ঠিকাদার খলিলুর রহমান।
বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত ‘মাটি আর মানুষ’ নামীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের খলিলুর রহমানকে গতিরোধ করে দরপত্র জমা দিতে নিষেধ করেন। তিনি তাদের নিষেধ অমান্য করে নির্ধারিত বাক্সে দরপত্র জমা দেয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাকে মারধর করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে জেলা প্রশাসনের কার্যালয় সামনে একটি কমিউনিটি সেন্টারে নিয়ে আটকে রাখে। খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে তল্লাশির পর রাতে তাকে উদ্ধার করে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ঠিকাদার অপহরণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
ফেনী জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে গ্রামপুলিশের (চৌকিদার-দফাদার) পোশাক সরবরাহের দরপত্র জমা দিতে গিয়ে খলিলুর রহমান নামের এক ঠিকাদারকে অপহরণ মামলায় শর্শদী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগ সহ-সভাপতি জানে আলম দুলালকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। বৃহস্পতিবার জাহানপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি এএনএম নুরুজ্জামান তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান,ওই ঘটনায় ঠিকাদার খলিলুর রহমান বাদী হয়ে শর্শদী ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলম দুলাল ও গ্রেফতার ৪ জনসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ২-৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অপর চার আসামি সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের উত্তর জাহানপুর এলাকার পাটোয়ারী বাড়ির খোরশেদ আলমের ছেলে সফিকুল ইসলাম (২৪),একই এলাকার মোয়াজ্জেম বাড়ির আবুল কাসেমের ছেলে মো. সালাউদ্দিন (২০),জোয়ারকাছাড় এলাকার সাহাব উদ্দিন মোল্লা বাড়ির কবির আহম্মদের ছেলে কামরুল হাসান সাব্বির (২৩) ও শহরের পূর্ব উকিলপাড়া এলাকার মুন্সি পুকুরপাড় সংলগ্ন শাহাদাত হোসেনের ছেলে মো. রাসেল হোসেন (২৭) কারাগারে রয়েছে। এদের মধ্যে সফিকুল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
উল্লেখ্য, গত রোববার ফেনী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলার গ্রামপুলিশদের পোশাক সরবরাহের দরপত্র জমা দেয়ার দিন ধার্য ছিল। ৫৪ লাখ টাকার ওই কাজ পেতে নির্ধারিত দিনে দরপত্র জমা দেয়ার জন্য ফেনী আসেন টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার ইনপিঞ্জারপুর এলাকার বাসিন্দা রাজধানীর ব্যবসায়ী ঠিকাদার খলিলুর রহমান।
বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত ‘মাটি আর মানুষ’ নামীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের খলিলুর রহমানকে গতিরোধ করে দরপত্র জমা দিতে নিষেধ করেন। তিনি তাদের নিষেধ অমান্য করে নির্ধারিত বাক্সে দরপত্র জমা দেয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাকে মারধর করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে জেলা প্রশাসনের কার্যালয় সামনে একটি কমিউনিটি সেন্টারে নিয়ে আটকে রাখে। খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে তল্লাশির পর রাতে তাকে উদ্ধার করে।