সরকারি স্কুলের জমি দখলের চেষ্টা, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ
লক্ষীপুর প্রতিনিধি
০২ জানুয়ারি ২০২১, ১৮:৪৪:০২ | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ-পূর্ব কেরোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করা হয়েছে। পরে ৯৯৯ নম্বরে কল পেলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। শনিবার (২ জানুয়ারি) সকালে এ ঘটনা ঘটে। দুই বছর আগেও বিদ্যালয়ের জমি দখল করে একটি দোকানঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, মালিকানা দাবি করে বিল্লাল হোসেন জমিটি দখলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তিনি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ব্যবহার করে বিদ্যালয়ের জমি দখলসহ এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছেন।
সূত্র জানায়, ১৯৬৫ সালে দক্ষিণ-কেরোয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হয়। ৩০ নম্বর কেরোয়া মৌজায় ১২৫৫৯ দাগে ১৯৭০ সালে আইয়ুব আলী ও মো. এসহাক বিদ্যালয়ের জন্য ৫০ শতাংশ জমি দান করেন। পরে জমি কম থাকায় আইয়ুব আলী আরও ৩ শতাংশ জমি ক্রয় করে বিদ্যালয়ের নামে দেন। একই দাগে বিজিবির নায়েক বিল্লালের বাবা হাবিব উল্যাহ দক্ষিণ-পূর্ব কেরোয়া জামে মসজিদের নামে ৩ শতাংশ জমি ওয়াকফ করে দেয়। পরবর্তীতে ১২৫৫৯ দাগটি ১৩৬০২ ও ১৩৬০৩ হাল দাগ করা হয়। এতে বিদ্যালয়ের জমি ১৩৬০২ ও মসজিদের জমি ১৩৬০৩ দাগে পড়ে। কয়েক বছর আগে হাবিব উল্যা মসজিদের নামে ওয়াকফ করে দেয়া জমিটির জন্য লক্ষ্মীপুর ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। হাবিব মারা যাওয়ার পর ওই মামলা পরিচালনা করেন তার ওয়ারিশ বিল্লালসহ সন্তানরা। এরপর থেকেই বিজিবির ক্ষমতা দেখিয়ে বিল্লাল প্রায় ২ বছর আগে বিদ্যালয়ের জমিতে জোরপূর্বক একটি দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন।
এদিকে জমিটি দখলে নিতে বিল্লাল বাদী হয়ে বিদ্যালয়ের জমিদাতাদের পরিবারের ৭ জনের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত ঘটনাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) তদন্ত দেয়। গত ১৯ ডিসেম্বর জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ এ কে ফজলুল হক আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে বাদীর উল্লেখ করা হত্যার চেষ্টা, চাঁদাবাজিসহ বেশিরভাগ তথ্যই মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়।
দক্ষিণ-পূর্ব কেরোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. এসহাক বলেন, বিল্লালের বাবা মসজিদের জন্য জমি দান করেছেন। বিল্লাল এখন জোরপূর্বক বিদ্যালয়ের জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। এর আগেই বিদ্যালয়ের জমিতে জোরপূর্বক দোকান নির্মাণ করেছে।
বিজিবির নায়েক বিল্লাল হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের জমি আমি দখল করিনি। দখল করা জমিটি আমাদের। বিদ্যালয়ের জমি উদ্ধার হোক তা আমিও চাই।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল বলেন, জমি নিয়ে দু’পক্ষেরই আদালতে মামলা চলছে। খবর পেয়ে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আমরা দোকান নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সরকারি স্কুলের জমি দখলের চেষ্টা, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ
লক্ষীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ-পূর্ব কেরোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করা হয়েছে। পরে ৯৯৯ নম্বরে কল পেলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। শনিবার (২ জানুয়ারি) সকালে এ ঘটনা ঘটে। দুই বছর আগেও বিদ্যালয়ের জমি দখল করে একটি দোকানঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, মালিকানা দাবি করে বিল্লাল হোসেন জমিটি দখলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তিনি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ব্যবহার করে বিদ্যালয়ের জমি দখলসহ এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছেন।
সূত্র জানায়, ১৯৬৫ সালে দক্ষিণ-কেরোয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হয়। ৩০ নম্বর কেরোয়া মৌজায় ১২৫৫৯ দাগে ১৯৭০ সালে আইয়ুব আলী ও মো. এসহাক বিদ্যালয়ের জন্য ৫০ শতাংশ জমি দান করেন। পরে জমি কম থাকায় আইয়ুব আলী আরও ৩ শতাংশ জমি ক্রয় করে বিদ্যালয়ের নামে দেন। একই দাগে বিজিবির নায়েক বিল্লালের বাবা হাবিব উল্যাহ দক্ষিণ-পূর্ব কেরোয়া জামে মসজিদের নামে ৩ শতাংশ জমি ওয়াকফ করে দেয়। পরবর্তীতে ১২৫৫৯ দাগটি ১৩৬০২ ও ১৩৬০৩ হাল দাগ করা হয়। এতে বিদ্যালয়ের জমি ১৩৬০২ ও মসজিদের জমি ১৩৬০৩ দাগে পড়ে। কয়েক বছর আগে হাবিব উল্যা মসজিদের নামে ওয়াকফ করে দেয়া জমিটির জন্য লক্ষ্মীপুর ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। হাবিব মারা যাওয়ার পর ওই মামলা পরিচালনা করেন তার ওয়ারিশ বিল্লালসহ সন্তানরা। এরপর থেকেই বিজিবির ক্ষমতা দেখিয়ে বিল্লাল প্রায় ২ বছর আগে বিদ্যালয়ের জমিতে জোরপূর্বক একটি দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন।
এদিকে জমিটি দখলে নিতে বিল্লাল বাদী হয়ে বিদ্যালয়ের জমিদাতাদের পরিবারের ৭ জনের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত ঘটনাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) তদন্ত দেয়। গত ১৯ ডিসেম্বর জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ এ কে ফজলুল হক আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে বাদীর উল্লেখ করা হত্যার চেষ্টা, চাঁদাবাজিসহ বেশিরভাগ তথ্যই মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়।
দক্ষিণ-পূর্ব কেরোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. এসহাক বলেন, বিল্লালের বাবা মসজিদের জন্য জমি দান করেছেন। বিল্লাল এখন জোরপূর্বক বিদ্যালয়ের জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। এর আগেই বিদ্যালয়ের জমিতে জোরপূর্বক দোকান নির্মাণ করেছে।
বিজিবির নায়েক বিল্লাল হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের জমি আমি দখল করিনি। দখল করা জমিটি আমাদের। বিদ্যালয়ের জমি উদ্ধার হোক তা আমিও চাই।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল বলেন, জমি নিয়ে দু’পক্ষেরই আদালতে মামলা চলছে। খবর পেয়ে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আমরা দোকান নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।