২৪ দিনেও সন্ধান মেলেনি বঙ্গোপসাগরে যাওয়া ১৮ জেলের
পটুয়াখালী (দ.) ও কুয়াকাটা প্রতিনিধি
০২ জানুয়ারি ২০২১, ২১:১৬:০৮ | অনলাইন সংস্করণ
ইলিশ শিকারের উদ্দেশ্যে কুয়াকাটা সংলগ্ন মহিপুর-আলীপুর মৎস্যবন্দর থেকে বঙ্গোপসাগরে যাওয়া ১৮ জেলে নিখোঁজ হওয়ার ২৪ দিন অতিবাহিত হলেও উদ্ধারের তৎপরতা দেখা যায়নি। ইলিশ শিকারকালে গভীর বঙ্গোপসাগর থেকে এসব জেলে জলদস্যুর কবলে পড়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন। নিখোঁজ হওয়া জেলেদের লোকেশন নির্ণয় করে উদ্ধার তৎপরতার জন্য একটি দল মাঠে কাজ করছে বলে দাবি করেন পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান।
প্রযুক্তিগত তথ্যে ওই সব জেলের লোকেশন চট্টগ্রাম এলাকায় গভীর জঙ্গলে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আশাকরি শীঘ্রই উদ্ধার হবে। এদিকে নিখোঁজ জেলেদের বিষয়ে কোনো মহল থেকে পরিবার অথবা সংশ্লিষ্টদের কাছে এখন পর্যন্ত মুক্তিপণ দাবি করেনি বলে নিশ্চিত করেছেন মহিপুর মৎস্যবন্দর সংশ্লিষ্টরা।
মহিপুর মৎস্যবন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মহিপুর মৎস্যবন্দরের মেসার্স মনোয়ারা ফিস ঘাট থেকে এফবি আল-হাসান ট্রলারযোগে ১৮ জেলে ইলিশ শিকারে বঙ্গোপসাগরে যান। সাগরে যাওয়া জেলেদের মধ্য রয়েছেন- কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নে মুসুল্লীয়াবাদ গ্রামের ট্রলারমাঝি মো. নজরুল ইসলাম (৬৪) ওরফে নজির মাঝি, মহিপুর সদর ইউনিয়নের নজিবপুর গ্রামের আল-আমিন (২১), বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার ছোটবগি এলাকার শাকিল (১৪), শামিম আহম্মেদ (৩৮), তোফাজ্জেল হোসেন ফকির (৫২), রমজান তালুকদার (৫০), শাহ আলম (৪০), আ. আজিজ (৪৩), খলিল (৩৯), হোচেন (৩৮) এবং লক্ষীপুর জেলার রামগতি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হাফিজুল্লাহ (৫০), কাশেম (৫০), ইউসুফ (৪২), বাবুল (৪২), আবুল কাশেম (৪২), কবির হোসেন (৪২), বাবলু (৪২) ও শ্রী জগানাত (৪৮)।
নিখোঁজ নজরুল মাঝির ছেলে নাছির জানান, ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত বা মিয়ানমারে ভেসে যেতে পারে অথবা জলদস্যুদের কবলে পড়তে পারে।
কুয়াকাটা আলীপুর মৎস্য আড়তদার সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, নিখোঁজ জেলেদের অনুসন্ধান অব্যাহত রেখে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। এছাড়াও দেশের সম্ভাব্য বিভিন্ন এলাকায় খোঁজখবর নেয়া হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
২৪ দিনেও সন্ধান মেলেনি বঙ্গোপসাগরে যাওয়া ১৮ জেলের
ইলিশ শিকারের উদ্দেশ্যে কুয়াকাটা সংলগ্ন মহিপুর-আলীপুর মৎস্যবন্দর থেকে বঙ্গোপসাগরে যাওয়া ১৮ জেলে নিখোঁজ হওয়ার ২৪ দিন অতিবাহিত হলেও উদ্ধারের তৎপরতা দেখা যায়নি। ইলিশ শিকারকালে গভীর বঙ্গোপসাগর থেকে এসব জেলে জলদস্যুর কবলে পড়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন। নিখোঁজ হওয়া জেলেদের লোকেশন নির্ণয় করে উদ্ধার তৎপরতার জন্য একটি দল মাঠে কাজ করছে বলে দাবি করেন পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান।
প্রযুক্তিগত তথ্যে ওই সব জেলের লোকেশন চট্টগ্রাম এলাকায় গভীর জঙ্গলে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আশাকরি শীঘ্রই উদ্ধার হবে। এদিকে নিখোঁজ জেলেদের বিষয়ে কোনো মহল থেকে পরিবার অথবা সংশ্লিষ্টদের কাছে এখন পর্যন্ত মুক্তিপণ দাবি করেনি বলে নিশ্চিত করেছেন মহিপুর মৎস্যবন্দর সংশ্লিষ্টরা।
মহিপুর মৎস্যবন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মহিপুর মৎস্যবন্দরের মেসার্স মনোয়ারা ফিস ঘাট থেকে এফবি আল-হাসান ট্রলারযোগে ১৮ জেলে ইলিশ শিকারে বঙ্গোপসাগরে যান। সাগরে যাওয়া জেলেদের মধ্য রয়েছেন- কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নে মুসুল্লীয়াবাদ গ্রামের ট্রলারমাঝি মো. নজরুল ইসলাম (৬৪) ওরফে নজির মাঝি, মহিপুর সদর ইউনিয়নের নজিবপুর গ্রামের আল-আমিন (২১), বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার ছোটবগি এলাকার শাকিল (১৪), শামিম আহম্মেদ (৩৮), তোফাজ্জেল হোসেন ফকির (৫২), রমজান তালুকদার (৫০), শাহ আলম (৪০), আ. আজিজ (৪৩), খলিল (৩৯), হোচেন (৩৮) এবং লক্ষীপুর জেলার রামগতি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হাফিজুল্লাহ (৫০), কাশেম (৫০), ইউসুফ (৪২), বাবুল (৪২), আবুল কাশেম (৪২), কবির হোসেন (৪২), বাবলু (৪২) ও শ্রী জগানাত (৪৮)।
নিখোঁজ নজরুল মাঝির ছেলে নাছির জানান, ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত বা মিয়ানমারে ভেসে যেতে পারে অথবা জলদস্যুদের কবলে পড়তে পারে।
কুয়াকাটা আলীপুর মৎস্য আড়তদার সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, নিখোঁজ জেলেদের অনুসন্ধান অব্যাহত রেখে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। এছাড়াও দেশের সম্ভাব্য বিভিন্ন এলাকায় খোঁজখবর নেয়া হয়েছে।