টিকা দেয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই মারা গেল শিশু পাপিয়া
ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
০৪ জানুয়ারি ২০২১, ১৭:৩০:৩৯ | অনলাইন সংস্করণ
ঘাটাইলে টিকা দেয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে পাপিয়া নামে ১০ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের গানজানা স্বনির্ভর সূর্যের হাসি ক্লিনিকে।
পাপিয়া গানজানা গ্রামের বাহাজ উদ্দিনের মেয়ে। সে স্থানীয় গানজানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী।
জানা যায়, সকাল ১০টার দিকে শিশুটি ওই গ্রামের সহপাঠীদের সঙ্গে খেলা করছিল। এমন সময় তার খেলার সাথীদের সঙ্গে স্থানীয় স্বনির্ভর সূর্যের হাসি নামে একটি ক্লিনিকে গিয়ে হাম-রুবেলা টিকা গ্রহণ করে বাড়ি ফিরে যায়। তার একটু পরেই সে অসুস্থ অনুভব করলে তাকে স্থানীয় একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা।
সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পাপিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. পার্থ প্রতীম সাহা বলেন, শিশুটি আগে থেকেই শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। মারা যাওয়ার কারণ বোঝা যাচ্ছে না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিভাগীয় তদন্ত ছাড়া কিছু বলা যাবে না।
জানতে চাইলে জেলা সিভিল সার্জন কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়াহীদুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, আমরা সাধারণত কোনো অসুস্থ বা হাঁপানি রোগীদের কোনো ভ্যাকসিন দিতে নিষেধ করি। তবে ওই শিশুটির যে আগে থেকেই শ্বাসকষ্ট ছিল এটা হয়তো আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা বুঝতে পারেনি।
শিশুটি টিকা নেয়ার কিছুক্ষণ আগেও খেলা করছিল, অথচ টিকা দেয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই মারা গেল, তাহলে টিকা বা ভ্যাকসিনের মেয়াদ ছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা লেভেল দেখেছি, মেয়াদ আছে।
তাহলে এমন ঘটনা ঘটার কারণ কি জানতে চাইলে ডা. মো. ওয়াহীদুজ্জামান বলেন, আমাদের আগে থেকেই তদন্ত কমিটি করা আছে। তারা সবাই ডাক্তার এবং যে কোনো ঘটনার জন্য এরা তদন্ত করে থাকে। ভিকটিমরা চাইলে খুব তাড়াতাড়িই তদন্ত করা হবে। তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি জানা যাবে বলে জানান তিনি।
এদিকে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাইফুর রহমান খান পত্রিকায় না লেখার জন্য অনুরোধ করেন।
এ ঘটনার পর ইউএনও অঞ্জন কুমার সরকার হাসপাতালে যান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের প্রক্রিয়া চলছিল।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
টিকা দেয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই মারা গেল শিশু পাপিয়া
ঘাটাইলে টিকা দেয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে পাপিয়া নামে ১০ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের গানজানা স্বনির্ভর সূর্যের হাসি ক্লিনিকে।
পাপিয়া গানজানা গ্রামের বাহাজ উদ্দিনের মেয়ে। সে স্থানীয় গানজানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী।
জানা যায়, সকাল ১০টার দিকে শিশুটি ওই গ্রামের সহপাঠীদের সঙ্গে খেলা করছিল। এমন সময় তার খেলার সাথীদের সঙ্গে স্থানীয় স্বনির্ভর সূর্যের হাসি নামে একটি ক্লিনিকে গিয়ে হাম-রুবেলা টিকা গ্রহণ করে বাড়ি ফিরে যায়। তার একটু পরেই সে অসুস্থ অনুভব করলে তাকে স্থানীয় একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা।
সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পাপিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. পার্থ প্রতীম সাহা বলেন, শিশুটি আগে থেকেই শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। মারা যাওয়ার কারণ বোঝা যাচ্ছে না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিভাগীয় তদন্ত ছাড়া কিছু বলা যাবে না।
জানতে চাইলে জেলা সিভিল সার্জন কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়াহীদুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, আমরা সাধারণত কোনো অসুস্থ বা হাঁপানি রোগীদের কোনো ভ্যাকসিন দিতে নিষেধ করি। তবে ওই শিশুটির যে আগে থেকেই শ্বাসকষ্ট ছিল এটা হয়তো আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা বুঝতে পারেনি।
শিশুটি টিকা নেয়ার কিছুক্ষণ আগেও খেলা করছিল, অথচ টিকা দেয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই মারা গেল, তাহলে টিকা বা ভ্যাকসিনের মেয়াদ ছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা লেভেল দেখেছি, মেয়াদ আছে।
তাহলে এমন ঘটনা ঘটার কারণ কি জানতে চাইলে ডা. মো. ওয়াহীদুজ্জামান বলেন, আমাদের আগে থেকেই তদন্ত কমিটি করা আছে। তারা সবাই ডাক্তার এবং যে কোনো ঘটনার জন্য এরা তদন্ত করে থাকে। ভিকটিমরা চাইলে খুব তাড়াতাড়িই তদন্ত করা হবে। তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি জানা যাবে বলে জানান তিনি।
এদিকে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাইফুর রহমান খান পত্রিকায় না লেখার জন্য অনুরোধ করেন।
এ ঘটনার পর ইউএনও অঞ্জন কুমার সরকার হাসপাতালে যান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের প্রক্রিয়া চলছিল।