পুলিশের মহৎ উদ্যোগ
পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অপকর্মের নানা অভিযোগ উঠলেও তারা অনেক ভালো কাজ করে থাকেন; যা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে। এমনই একটি মহৎ কাজ করেছেন মেহেরপুর সদর থানার এসআই শরিফ ইকবাল।
মেহেরপুরের এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর চোখের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিতে চিকিৎসার ব্যয়ভারসহ তার বাসস্থান তৈরি ও যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন তার জীবন-জীবিকার দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। পুলিশের এই মহৎ উদ্যোগে কৃতজ্ঞ যেমন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, তেমনি এলাকার মানুষও।
মেহেরপুর শহরের কালাচাঁদপুর গ্রামের সত্তরোর্ধ্ব উলফাতুন্নেছা চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন বছরতিনেক আগে। স্বামী মারা গেছে প্রায় একযুগ আগে। এক ছেলে থাকলেও তার দেখভাল করে না। নিজের বসবাসের জমিও নেই। একমাত্র বিধবা মেয়েকে নিয়ে অন্যের জমিতে বাঁশবাগানে এক ঝুপড়ি ঘরে তাদের বসবাস।
মেহেরপুর সদর থানার এসআই শরিফ ইকবাল তার দুরবস্থার কথা শুনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উলফাতুন্নেছার ভাঙা ঘরে গিয়ে হাজির। উলফাতুন্নেছার মুখেও তার বর্তমান পরিস্থিতির কথা শোনেন। একপর্যায়ে তাকে জড়িয়ে ধরেন মাতৃস্নেহে। তার চোখের চিকিৎসাসহ বসবাসের ঘর নির্মাণ ও যতদিন বাঁচবেন ততদিন তার ভরণপোষণের ইচ্ছার কথা শোনান। এ সময় উলফাতুন্নেছার অন্ধ চোখ দিয়েও তপ্ত পানি ঝরে পড়ে।
পুলিশ কর্মকর্তা শরিফ ইকবাল যুগান্তরকে বলেন, যত টাকা খরচ হয় ওই মহিলার দুই চোখের অপারেশন করার ব্যবস্থা করব। তাদের নতুন ঘর করে দেব। ওই নারী যতদিন বাঁচবেন তার জীবিকার দায়িত্বও আমি নেব।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পুলিশের মহৎ উদ্যোগ
পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অপকর্মের নানা অভিযোগ উঠলেও তারা অনেক ভালো কাজ করে থাকেন; যা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে। এমনই একটি মহৎ কাজ করেছেন মেহেরপুর সদর থানার এসআই শরিফ ইকবাল।
মেহেরপুরের এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর চোখের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিতে চিকিৎসার ব্যয়ভারসহ তার বাসস্থান তৈরি ও যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন তার জীবন-জীবিকার দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। পুলিশের এই মহৎ উদ্যোগে কৃতজ্ঞ যেমন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, তেমনি এলাকার মানুষও।
মেহেরপুর শহরের কালাচাঁদপুর গ্রামের সত্তরোর্ধ্ব উলফাতুন্নেছা চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন বছরতিনেক আগে। স্বামী মারা গেছে প্রায় একযুগ আগে। এক ছেলে থাকলেও তার দেখভাল করে না। নিজের বসবাসের জমিও নেই। একমাত্র বিধবা মেয়েকে নিয়ে অন্যের জমিতে বাঁশবাগানে এক ঝুপড়ি ঘরে তাদের বসবাস।
মেহেরপুর সদর থানার এসআই শরিফ ইকবাল তার দুরবস্থার কথা শুনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উলফাতুন্নেছার ভাঙা ঘরে গিয়ে হাজির। উলফাতুন্নেছার মুখেও তার বর্তমান পরিস্থিতির কথা শোনেন। একপর্যায়ে তাকে জড়িয়ে ধরেন মাতৃস্নেহে। তার চোখের চিকিৎসাসহ বসবাসের ঘর নির্মাণ ও যতদিন বাঁচবেন ততদিন তার ভরণপোষণের ইচ্ছার কথা শোনান। এ সময় উলফাতুন্নেছার অন্ধ চোখ দিয়েও তপ্ত পানি ঝরে পড়ে।
পুলিশ কর্মকর্তা শরিফ ইকবাল যুগান্তরকে বলেন, যত টাকা খরচ হয় ওই মহিলার দুই চোখের অপারেশন করার ব্যবস্থা করব। তাদের নতুন ঘর করে দেব। ওই নারী যতদিন বাঁচবেন তার জীবিকার দায়িত্বও আমি নেব।