তৃতীয়বার পেছাল চাঞ্চল্যকর শাহিন শাহ হত্যা মামলার রায়
রাজশাহী ব্যুরো
১৪ জানুয়ারি ২০২১, ২০:৪৩:৪১ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহীর ছাত্রলীগ নেতা শাহিন আলম ওরফে শাহিন শাহ চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রায় ঘোষণার দিন তৃতীয়বারের মতো পেছাল। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি আলোচিত এ মামলাটির রায় ঘোষণার নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বিকালে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ওএইচএম ইলিয়াস হোসেন রায়ের নতুন দিন ঘোষণা করেন। এর আগে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর মামলার রায় ঘোষণার দিন ছিল। সেদিন রায় ঘোষণার দিন পিছিয়ে ১৪ জানুয়ারি করা হয়। এর আগে ১১ নভেম্বর আদালতে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হয়।
নিহত শাহিন শাহ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-২ ও এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রজব আলীর ছোটভাই। নিহত শাহিন শাহকে প্রকাশ্যে খুনের ঘটনায় তার স্বজনরা আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির অপেক্ষা করছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী বলছেন, তারা আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছেন। তাদের আশা, আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা হবে। তবে বারবার রায় ঘোষণার দিন পিছিয়ে যাওয়ায় তারা আশাহত হওয়ার কথাও জানিয়েছেন।
মামলার বাদী মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ আক্তার নাহান বলেন, আইনের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল, কিন্তু রায় ঘোষণার দিন বারবার পিছিয়ে যাওয়ার কারণে আমরা কিছুটা শঙ্কিত। আমরা ন্যায়বিচার চাই। কারণ দিনদুপুরে প্রকাশ্যে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীদের সবাই দিনের আলোতে দেখেছেন। নাহানের দাবি তার ভাই শাহিন শাহ একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। শাহিন শাহকে হত্যা করায় তার স্ত্রী-পুত্রসহ পরিবারের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৮ আগস্ট দুপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন রাজশাহী কোর্ট কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহিন শাহ ও শিক্ষানবিশ আইনজীবী। এ ঘটনায় শাহিন শাহর ছোটভাই যুবলীগ নেতা নাহিদ আক্তার নাহান বাদী হয়ে পর দিন রাজপাড়া থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান সিটি করপোরেশনের তৎকালীন ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুনসুর রহমানসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর মামলাটি দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে মামলাটি বিচারের জন্য রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
তৃতীয়বার পেছাল চাঞ্চল্যকর শাহিন শাহ হত্যা মামলার রায়
রাজশাহীর ছাত্রলীগ নেতা শাহিন আলম ওরফে শাহিন শাহ চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রায় ঘোষণার দিন তৃতীয়বারের মতো পেছাল। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি আলোচিত এ মামলাটির রায় ঘোষণার নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বিকালে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ওএইচএম ইলিয়াস হোসেন রায়ের নতুন দিন ঘোষণা করেন। এর আগে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর মামলার রায় ঘোষণার দিন ছিল। সেদিন রায় ঘোষণার দিন পিছিয়ে ১৪ জানুয়ারি করা হয়। এর আগে ১১ নভেম্বর আদালতে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হয়।
নিহত শাহিন শাহ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-২ ও এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রজব আলীর ছোটভাই। নিহত শাহিন শাহকে প্রকাশ্যে খুনের ঘটনায় তার স্বজনরা আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির অপেক্ষা করছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী বলছেন, তারা আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছেন। তাদের আশা, আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা হবে। তবে বারবার রায় ঘোষণার দিন পিছিয়ে যাওয়ায় তারা আশাহত হওয়ার কথাও জানিয়েছেন।
মামলার বাদী মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ আক্তার নাহান বলেন, আইনের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল, কিন্তু রায় ঘোষণার দিন বারবার পিছিয়ে যাওয়ার কারণে আমরা কিছুটা শঙ্কিত। আমরা ন্যায়বিচার চাই। কারণ দিনদুপুরে প্রকাশ্যে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীদের সবাই দিনের আলোতে দেখেছেন। নাহানের দাবি তার ভাই শাহিন শাহ একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। শাহিন শাহকে হত্যা করায় তার স্ত্রী-পুত্রসহ পরিবারের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৮ আগস্ট দুপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন রাজশাহী কোর্ট কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহিন শাহ ও শিক্ষানবিশ আইনজীবী। এ ঘটনায় শাহিন শাহর ছোটভাই যুবলীগ নেতা নাহিদ আক্তার নাহান বাদী হয়ে পর দিন রাজপাড়া থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান সিটি করপোরেশনের তৎকালীন ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুনসুর রহমানসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর মামলাটি দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে মামলাটি বিচারের জন্য রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়।