রাজশাহী করাঞ্চল অফিসে আইনজীবী-কর্মচারী মুখোমুখি
রাজশাহী ব্যুরো
১৪ জানুয়ারি ২০২১, ২০:৪৭:৪৭ | অনলাইন সংস্করণ
আইনজীবীদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে রাজশাহী কর কমিশনারের কার্যালয়ের কর্মচারীরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এ নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন রাজশাহীর বিভিন্ন পৌরসভা নির্বাচনের প্রার্থীরা। আইনজীবী ও কর্মচারীরা পরস্পরের মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন।
আইনজীবীদের অভিযোগ, কর কমিশনারের কার্যালয়ে দালালদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। কর্মচারীরা দালালদের দিয়ে কাজ করানোর ফলে তাদের ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। আর কর্মচারীদের অভিযোগ, আইনজীবীরা অনৈতিক কাজে তাদের ওপর চাপ দেন। কাজ না করে না দিলে খারাপ আচরণ করেন। উভয়পক্ষের অভিযোগ থেকে জানা গেছে, আইনজীবী-কর্মচারীদের এই দ্বন্দ্ব বেশ কিছুদিন ধরে চলে আসছে।
জানা গেছে, আইনজীবী-কর্মচারী দ্বন্দ্ব নিরসনে বুধবার রাজশাহী অঞ্চলের কর কমিশনার মুহাম্মদ মফিজ উল্যাহ বসেছিলেন দুই পক্ষকে নিয়ে। কিন্তু সেখানে পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। এ সময় পলাশ নামে এক দালাল সভায় ঢুকে পড়েন। আইনজীবীরা প্রতিবাদ করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় আকস্মিকভাবে কর্মবিরতি শুরু করেন কর্মচারীরা।
বেলা ১টা পর্যন্ত চলা কর্মবিরতির কারণে রাজশাহী কর কমিশনারের দপ্তরে কাজকর্ম সব বন্ধ থাকে। এতে বিপাকে পড়েন রাজশাহীর কয়েকটি পৌরসভার প্রার্থীরা। তারা কর রিটার্ন জমার সার্টিফায়েড কপি না পেয়ে বিপাকে পড়েন। বেলা ১টার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারা কর রিটার্নের কপি পান।
জানতে চাইলে রাজশাহী কর অঞ্চলের কর কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এম শাহীন উদ্দীন বলেন, আমরা কোনো অনৈতিক কাজ করি না। আমাদের সঙ্গে দালালেরও কোনো সম্পর্ক নেই। কর আইনজীবীরাই আমাদের ওপর অনৈতিক কাজের চাপ দেন।
এ বিষয়ে কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি ফজলে করিম বলেন, হুমকি দেয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। এ রকম হলে কর্মচারীরা আমাদের সংগঠনে অভিযোগ দিতে পারতেন। কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। তারাই কর্মকর্তাদের জিম্মি করে কর্মবিরতি করেছেন। আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছি। আনুষ্ঠানিক সভা করে আমরাও পাল্টা পদক্ষেপ নেব।
কর কর্মচারী পরিষদের সভাপতি আবদুস সামাদ জানান, তারাও সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে সভা করবেন। তারপর কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন কিনা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। বৃহস্পতিবার দুই ঘণ্টা কর্মবিরতির পর তারা কাজকর্ম করেছেন। দুপুরের পর থেকে প্রার্থীরাও তাদের রিটার্ন দাখিলের সার্টিফায়েড কপি পেয়েছেন।
কর্মচারীদের কর্মবিরতির বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী কর অঞ্চলের কর কমিশনার মুহাম্মদ মফিজ উল্যা বলেন, আমি ঢাকা যাচ্ছি; সেই কারণে অফিসে যাইনি। কর্মবিরতির বিষয়ে কিছু জানি না। আমাকে কেউ কিছু জানায়নি। তার কার্যালয়ে দালালচক্র নিয়ে আইনজীবীদের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, কই আমি তো দালাল দেখি না। তারা দেখলে তো ধরে পুলিশে দিতে পারেন। আইনজীবীদের সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা হয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
রাজশাহী করাঞ্চল অফিসে আইনজীবী-কর্মচারী মুখোমুখি
আইনজীবীদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে রাজশাহী কর কমিশনারের কার্যালয়ের কর্মচারীরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এ নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন রাজশাহীর বিভিন্ন পৌরসভা নির্বাচনের প্রার্থীরা। আইনজীবী ও কর্মচারীরা পরস্পরের মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন।
আইনজীবীদের অভিযোগ, কর কমিশনারের কার্যালয়ে দালালদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। কর্মচারীরা দালালদের দিয়ে কাজ করানোর ফলে তাদের ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। আর কর্মচারীদের অভিযোগ, আইনজীবীরা অনৈতিক কাজে তাদের ওপর চাপ দেন। কাজ না করে না দিলে খারাপ আচরণ করেন। উভয়পক্ষের অভিযোগ থেকে জানা গেছে, আইনজীবী-কর্মচারীদের এই দ্বন্দ্ব বেশ কিছুদিন ধরে চলে আসছে।
জানা গেছে, আইনজীবী-কর্মচারী দ্বন্দ্ব নিরসনে বুধবার রাজশাহী অঞ্চলের কর কমিশনার মুহাম্মদ মফিজ উল্যাহ বসেছিলেন দুই পক্ষকে নিয়ে। কিন্তু সেখানে পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। এ সময় পলাশ নামে এক দালাল সভায় ঢুকে পড়েন। আইনজীবীরা প্রতিবাদ করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় আকস্মিকভাবে কর্মবিরতি শুরু করেন কর্মচারীরা।
বেলা ১টা পর্যন্ত চলা কর্মবিরতির কারণে রাজশাহী কর কমিশনারের দপ্তরে কাজকর্ম সব বন্ধ থাকে। এতে বিপাকে পড়েন রাজশাহীর কয়েকটি পৌরসভার প্রার্থীরা। তারা কর রিটার্ন জমার সার্টিফায়েড কপি না পেয়ে বিপাকে পড়েন। বেলা ১টার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারা কর রিটার্নের কপি পান।
জানতে চাইলে রাজশাহী কর অঞ্চলের কর কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এম শাহীন উদ্দীন বলেন, আমরা কোনো অনৈতিক কাজ করি না। আমাদের সঙ্গে দালালেরও কোনো সম্পর্ক নেই। কর আইনজীবীরাই আমাদের ওপর অনৈতিক কাজের চাপ দেন।
এ বিষয়ে কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি ফজলে করিম বলেন, হুমকি দেয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। এ রকম হলে কর্মচারীরা আমাদের সংগঠনে অভিযোগ দিতে পারতেন। কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। তারাই কর্মকর্তাদের জিম্মি করে কর্মবিরতি করেছেন। আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছি। আনুষ্ঠানিক সভা করে আমরাও পাল্টা পদক্ষেপ নেব।
কর কর্মচারী পরিষদের সভাপতি আবদুস সামাদ জানান, তারাও সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে সভা করবেন। তারপর কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন কিনা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। বৃহস্পতিবার দুই ঘণ্টা কর্মবিরতির পর তারা কাজকর্ম করেছেন। দুপুরের পর থেকে প্রার্থীরাও তাদের রিটার্ন দাখিলের সার্টিফায়েড কপি পেয়েছেন।
কর্মচারীদের কর্মবিরতির বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী কর অঞ্চলের কর কমিশনার মুহাম্মদ মফিজ উল্যা বলেন, আমি ঢাকা যাচ্ছি; সেই কারণে অফিসে যাইনি। কর্মবিরতির বিষয়ে কিছু জানি না। আমাকে কেউ কিছু জানায়নি। তার কার্যালয়ে দালালচক্র নিয়ে আইনজীবীদের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, কই আমি তো দালাল দেখি না। তারা দেখলে তো ধরে পুলিশে দিতে পারেন। আইনজীবীদের সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা হয়।