বালক বিদ্যালয়ের ভর্তি লটারিতে নাম উঠল বালিকার!
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
১৪ জানুয়ারি ২০২১, ২২:১৪:২২ | অনলাইন সংস্করণ
ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক বিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। লটারিতে সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ভর্তি তালিকায় তৃতীয় শ্রেণীর এক বালক শিক্ষার্থী সুযোগ পেয়েছে।
আর বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় বালক শিক্ষার্থী সুযোগ পাওয়ার ঘটনাটি টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে চলতি শিক্ষাবর্ষে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া লটারির মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়।
গত সোমবার অনলাইনে ভর্তির ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে ঠাকুরগাঁওয়ের সরকারি বালক বিদ্যালয়ে ভর্তির ‘সুযোগ’ পেয়েছে একটি মেয়ে।
বিষয়টি নিয়ে শহরজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। তবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, অভিভাবকদের ভুলেই এ কাণ্ড ঘটেছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। প্রকাশিত ফলাফলের তালিকায় দেখা গেছে, সেখানে নাম এসেছে এক মেয়ে শিক্ষার্থীর।
এ বিষয়ে বালক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পিজুস কান্তি রায় বলেন, ওই ছাত্রীকে অন্য কোথাও ভর্তি নেয়া হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এখানে আমাদের বলার কিছু নেই।
কীভাবে বালক বিদ্যালয়ে একজন মেয়ে ভর্তির সুযোগ পেল, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অভিভাবকের ভুলের কারণে এমন হয়েছে। কারণ ভর্তির ফরমে পাঁচটি বিদ্যালয়ের নাম থাকে। ওই পাঁচটির মধ্যে যেকোনো বিদ্যালয় অভিভাবকরা সিলেক্ট করেন। এখানে হয়তো ভুলে তারা ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় সিলেক্ট করেছিলেন। যে কারণে লটারিতে বালক বিদ্যালয়ে সে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।
একই ঘটনা ঘটেছে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। তৃতীয় শ্রেণীতে এক বালক শিক্ষার্থী ভর্তির তালিকায় নাম উঠেছে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইকবাল হোসেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক কেএম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয়। এটা বাতিল হয়ে যাবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বালক বিদ্যালয়ের ভর্তি লটারিতে নাম উঠল বালিকার!
ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক বিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। লটারিতে সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ভর্তি তালিকায় তৃতীয় শ্রেণীর এক বালক শিক্ষার্থী সুযোগ পেয়েছে।
আর বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় বালক শিক্ষার্থী সুযোগ পাওয়ার ঘটনাটি টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে চলতি শিক্ষাবর্ষে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া লটারির মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়।
গত সোমবার অনলাইনে ভর্তির ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে ঠাকুরগাঁওয়ের সরকারি বালক বিদ্যালয়ে ভর্তির ‘সুযোগ’ পেয়েছে একটি মেয়ে।
বিষয়টি নিয়ে শহরজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। তবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, অভিভাবকদের ভুলেই এ কাণ্ড ঘটেছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। প্রকাশিত ফলাফলের তালিকায় দেখা গেছে, সেখানে নাম এসেছে এক মেয়ে শিক্ষার্থীর।
এ বিষয়ে বালক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পিজুস কান্তি রায় বলেন, ওই ছাত্রীকে অন্য কোথাও ভর্তি নেয়া হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এখানে আমাদের বলার কিছু নেই।
কীভাবে বালক বিদ্যালয়ে একজন মেয়ে ভর্তির সুযোগ পেল, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অভিভাবকের ভুলের কারণে এমন হয়েছে। কারণ ভর্তির ফরমে পাঁচটি বিদ্যালয়ের নাম থাকে। ওই পাঁচটির মধ্যে যেকোনো বিদ্যালয় অভিভাবকরা সিলেক্ট করেন। এখানে হয়তো ভুলে তারা ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় সিলেক্ট করেছিলেন। যে কারণে লটারিতে বালক বিদ্যালয়ে সে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।
একই ঘটনা ঘটেছে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। তৃতীয় শ্রেণীতে এক বালক শিক্ষার্থী ভর্তির তালিকায় নাম উঠেছে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইকবাল হোসেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক কেএম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয়। এটা বাতিল হয়ে যাবে।