সাংবাদিক পরিচয়ে মামলা করতে গিয়ে ৩ ঘণ্টা হাজতবাস!
চট্টগ্রাম ব্যুরো
১৪ জানুয়ারি ২০২১, ২২:৫৪:১৯ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রামে সাংবাদিক পরিচয়ে মামলা করতে গিয়ে ৩ ঘণ্টা হাজতবাস করেছেন এক মুদি দোকানি। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক মো. শফি উদ্দিন বৃহস্পতিবার মোহাম্মদ আইয়ুব নামে ওই ব্যক্তিকে হাজতবাসের আদেশ দেন।
আইয়ুব আনোয়ারা উপজেলার বুরুমচড়া ইউনিয়নের মো. শফির ছেলে।
আদালত সূত্র জানায়, আইয়ুব নিজেকে ‘দৈনিক বর্তমান কথা’ পত্রিকার চান্দগাঁও প্রতিনিধি ও ‘তিতাস টিভি’র বিশেষ প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে চন্দনাইশের মোসলেম উদ্দিন নামে একজনের বিরুদ্ধে এক লাখ টাকার চাঁদাবাজির মামলা করতে যান। মামলার আর্জিতে তিনি উল্লেখ করেন, ২৮ নভেম্বর বহদ্দারহাট এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে অবস্থানকালীন আসামিদের হামলার শিকার হন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা টাকা ও প্যানড্রাইভ ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
কথাবার্তায় মো. আইয়ুবকে নিয়ে সন্দেহ হলে বিচারক বলেন, ‘আপনি তো সাংবাদিক। আমার পরিবারের জন্য করোনার প্রতিষেধক দরকার- এই লাইনটি খাতায় লিখে দিন।’ তা লিখতে পারেননি আইয়ুব।
পরে স্বীকার করেন, তিনি একজন মুদি দোকানদার, সাংবাদিক নন। বিচারক কোর্ট পুলিশকে ডেকে তাকে আটকের আদেশ দেন এবং হাজতবাসে পাঠান। ৩ ঘণ্টা পর মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাংবাদিক পরিচয়ে মামলা করতে গিয়ে ৩ ঘণ্টা হাজতবাস!
চট্টগ্রামে সাংবাদিক পরিচয়ে মামলা করতে গিয়ে ৩ ঘণ্টা হাজতবাস করেছেন এক মুদি দোকানি। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক মো. শফি উদ্দিন বৃহস্পতিবার মোহাম্মদ আইয়ুব নামে ওই ব্যক্তিকে হাজতবাসের আদেশ দেন।
আইয়ুব আনোয়ারা উপজেলার বুরুমচড়া ইউনিয়নের মো. শফির ছেলে।
আদালত সূত্র জানায়, আইয়ুব নিজেকে ‘দৈনিক বর্তমান কথা’ পত্রিকার চান্দগাঁও প্রতিনিধি ও ‘তিতাস টিভি’র বিশেষ প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে চন্দনাইশের মোসলেম উদ্দিন নামে একজনের বিরুদ্ধে এক লাখ টাকার চাঁদাবাজির মামলা করতে যান। মামলার আর্জিতে তিনি উল্লেখ করেন, ২৮ নভেম্বর বহদ্দারহাট এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে অবস্থানকালীন আসামিদের হামলার শিকার হন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা টাকা ও প্যানড্রাইভ ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
কথাবার্তায় মো. আইয়ুবকে নিয়ে সন্দেহ হলে বিচারক বলেন, ‘আপনি তো সাংবাদিক। আমার পরিবারের জন্য করোনার প্রতিষেধক দরকার- এই লাইনটি খাতায় লিখে দিন।’ তা লিখতে পারেননি আইয়ুব।
পরে স্বীকার করেন, তিনি একজন মুদি দোকানদার, সাংবাদিক নন। বিচারক কোর্ট পুলিশকে ডেকে তাকে আটকের আদেশ দেন এবং হাজতবাসে পাঠান। ৩ ঘণ্টা পর মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।