পুলিশি ‘নির্যাতনের’ শিকার সেই আ'লীগ নেতা করোনায় আক্রান্ত
যশোর ব্যুরো
১৫ জানুয়ারি ২০২১, ২২:৪৮:১৮ | অনলাইন সংস্করণ
যশোরে পুলিশের ‘নির্যাতনের’ শিকার গুরুতর অসুস্থ শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মাহমুদ হাসান বিপুর করোনা শনাক্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা শনাক্ত হয়। শুক্রবার এ ফলাফল পাওয়া যায়। গত মঙ্গলবার ১৯ ঘণ্টা পর পুলিশি হেফাজত থেকে মুক্তি পাওয়া বিপুকে ওই দিনই যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন।
যশোর সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন জানান, শহরের কাজীপাড়ার বাসিন্দা মাহমুদুল হাসান বিপু মঙ্গলবার যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন করোনা পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। শুক্রবার তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। তার সংস্পর্শে আসা সবার কন্ট্রাক ট্রেসিং করে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
গত সোমবার রাতে মাহমুদ হাসান বিপুসহ পাঁচজনকে যশোর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। এক পুলিশ সদস্যকে মারপিট ও অপহরণ চেষ্টার অভিযোগে তাদের পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়। প্রতিবাদে যশোর শহর ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করেন।
নেতাকর্মীদের আন্দোলনের মুখে পুলিশ ঘটনার ১৯ ঘণ্টা পর বিপুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। কিন্তু হেফাজতে নিয়ে পুলিশ মাহমুদ হাসান বিপুকে প্রচণ্ড নির্যাতন করে। এজন্য মুক্তি পাওয়ার পর তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের উদ্যোগে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরই মধ্যে খবর আসে তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাহমুদ হাসান বিপু বলেছিলেন, আমি মূলত এক পুলিশ সদস্যকে গণপিটুনি থেকে বাঁচাতে চেয়েছিলাম। যখন তার ওপর জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে, তখন আমি তাকে বাঁচাতে সেখান থেকে নিয়ে যাই। ভুল বোঝাবুঝির কারণে পুলিশ আমাকে নিয়ে যায়।
কিন্তু সেখানে নিয়ে গিয়ে পুলিশ আমাকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে চোখ বেঁধে চোরের মতো নির্যাতন করেছে। বিএনপি-জামায়াতের সময় আমি পুলিশের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছি। কিন্তু এবার পুলিশ আমাকে সারারাত কোনো খাবার দেয়নি। শুধু নির্যাতন করেছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পুলিশি ‘নির্যাতনের’ শিকার সেই আ'লীগ নেতা করোনায় আক্রান্ত
যশোরে পুলিশের ‘নির্যাতনের’ শিকার গুরুতর অসুস্থ শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মাহমুদ হাসান বিপুর করোনা শনাক্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা শনাক্ত হয়। শুক্রবার এ ফলাফল পাওয়া যায়। গত মঙ্গলবার ১৯ ঘণ্টা পর পুলিশি হেফাজত থেকে মুক্তি পাওয়া বিপুকে ওই দিনই যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন।
যশোর সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন জানান, শহরের কাজীপাড়ার বাসিন্দা মাহমুদুল হাসান বিপু মঙ্গলবার যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন করোনা পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। শুক্রবার তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। তার সংস্পর্শে আসা সবার কন্ট্রাক ট্রেসিং করে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
গত সোমবার রাতে মাহমুদ হাসান বিপুসহ পাঁচজনকে যশোর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। এক পুলিশ সদস্যকে মারপিট ও অপহরণ চেষ্টার অভিযোগে তাদের পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়। প্রতিবাদে যশোর শহর ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করেন।
নেতাকর্মীদের আন্দোলনের মুখে পুলিশ ঘটনার ১৯ ঘণ্টা পর বিপুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। কিন্তু হেফাজতে নিয়ে পুলিশ মাহমুদ হাসান বিপুকে প্রচণ্ড নির্যাতন করে। এজন্য মুক্তি পাওয়ার পর তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের উদ্যোগে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরই মধ্যে খবর আসে তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাহমুদ হাসান বিপু বলেছিলেন, আমি মূলত এক পুলিশ সদস্যকে গণপিটুনি থেকে বাঁচাতে চেয়েছিলাম। যখন তার ওপর জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে, তখন আমি তাকে বাঁচাতে সেখান থেকে নিয়ে যাই। ভুল বোঝাবুঝির কারণে পুলিশ আমাকে নিয়ে যায়।
কিন্তু সেখানে নিয়ে গিয়ে পুলিশ আমাকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে চোখ বেঁধে চোরের মতো নির্যাতন করেছে। বিএনপি-জামায়াতের সময় আমি পুলিশের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছি। কিন্তু এবার পুলিশ আমাকে সারারাত কোনো খাবার দেয়নি। শুধু নির্যাতন করেছে।