এখনই বিজয়ের মালা পরতে চান না ওবায়দুল কাদেরের ভাই
নোয়াখালী প্রতিনিধি
১৬ জানুয়ারি ২০২১, ২০:০৯:৪৫ | অনলাইন সংস্করণ
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই বহুল আলোচিত নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র আবদুল কাদের মির্জা এখনই বিজয়ের মালা পরতে চান না।
নির্বাচনে বিজয়ের পর তিনি বলেছেন, এ বিজয় জনতার বিজয়, এ বিজয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের, বিদ্রোহের বিজয়। আমি সেদিন বিজয়ের মালা পরব, যেদিন আমার দেয়া প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারব।
শনিবার নির্বাচন শেষে ইভিএমে ভোট গণনার পর সন্ধ্যা ৬টায় বিপুল ভোটে বিজয়ী আবদুল কাদের মির্জা তার পাশে থাকা সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আবদুল কাদের মির্জা বলেন, অবিলম্বে কবিরহাট ও কোম্পানীগঞ্জে ৫শ' করে অন্তত এক হাজার বেকার যুবককে চাকরি দিতে হবে। এছাড়া টেন্ডারবাজি, নিয়োগ বাণিজ্য, বদলি বাণিজ্য, মাদক ব্যবসাসহ অপরাজনীতি বন্ধ করতে হবে।
ফেনী ও নোয়াখালী জেলায় হাওয়া ভবনের ব্যবসায়ী অংশীদার ১/১১ এর কুশীলবের ভাইসহ রাজাকার পরিবারের সদস্যদের কমিটি থেকে বের করে এ দুই জেলায় কমিটি পুনর্গঠন করতে হবে।
প্রয়োজনে নোয়াখালীতে মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী মাহমুদুর রহমান বেলায়েত ও অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিমের নেতৃত্বে এবং ফেনীতে সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও জয়নাল হাজারীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠন করতে হবে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রের আইনকে তোয়াক্কা না করে পুলিশ এমপিদের মদের আসর পাহারা দেয়া বন্ধ করতে হবে। বড় বড় মাদকের গডফাদার সে যেই হোক, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
ফেনীর উপজেলা চেয়ারম্যানকে গুলি করে গাড়িসহ পুড়ে হত্যার ঘটনা পুনরায় তদন্ত করে বিচার করতে হবে। এসব দাবি পূরণের জন্য আমি সংগ্রাম অব্যাহত রাখব।
আবদুল কাদের মির্জা বলেন, এসব দাবির কথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে জানাতে চেষ্টা করব। করোনার কারণে না পারলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে গিয়ে সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে জানাব।
উল্লেখ্য, বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী (নৌকা) ১০ হাজার ৭৩৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির কামাল উদ্দিন চৌধুরী (ধানের শীষ) পেয়েছেন ১ হাজার ৭৭৮ ভোট। জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশারফ হোসেন (মোবাইল ফোন) পেয়েছেন ১ হাজার ৪৫১ ভোট।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এখনই বিজয়ের মালা পরতে চান না ওবায়দুল কাদেরের ভাই
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই বহুল আলোচিত নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র আবদুল কাদের মির্জা এখনই বিজয়ের মালা পরতে চান না।
নির্বাচনে বিজয়ের পর তিনি বলেছেন, এ বিজয় জনতার বিজয়, এ বিজয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের, বিদ্রোহের বিজয়। আমি সেদিন বিজয়ের মালা পরব, যেদিন আমার দেয়া প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারব।
শনিবার নির্বাচন শেষে ইভিএমে ভোট গণনার পর সন্ধ্যা ৬টায় বিপুল ভোটে বিজয়ী আবদুল কাদের মির্জা তার পাশে থাকা সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আবদুল কাদের মির্জা বলেন, অবিলম্বে কবিরহাট ও কোম্পানীগঞ্জে ৫শ' করে অন্তত এক হাজার বেকার যুবককে চাকরি দিতে হবে। এছাড়া টেন্ডারবাজি, নিয়োগ বাণিজ্য, বদলি বাণিজ্য, মাদক ব্যবসাসহ অপরাজনীতি বন্ধ করতে হবে।
ফেনী ও নোয়াখালী জেলায় হাওয়া ভবনের ব্যবসায়ী অংশীদার ১/১১ এর কুশীলবের ভাইসহ রাজাকার পরিবারের সদস্যদের কমিটি থেকে বের করে এ দুই জেলায় কমিটি পুনর্গঠন করতে হবে।
প্রয়োজনে নোয়াখালীতে মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী মাহমুদুর রহমান বেলায়েত ও অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিমের নেতৃত্বে এবং ফেনীতে সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও জয়নাল হাজারীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠন করতে হবে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রের আইনকে তোয়াক্কা না করে পুলিশ এমপিদের মদের আসর পাহারা দেয়া বন্ধ করতে হবে। বড় বড় মাদকের গডফাদার সে যেই হোক, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
ফেনীর উপজেলা চেয়ারম্যানকে গুলি করে গাড়িসহ পুড়ে হত্যার ঘটনা পুনরায় তদন্ত করে বিচার করতে হবে। এসব দাবি পূরণের জন্য আমি সংগ্রাম অব্যাহত রাখব।
আবদুল কাদের মির্জা বলেন, এসব দাবির কথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে জানাতে চেষ্টা করব। করোনার কারণে না পারলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে গিয়ে সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে জানাব।
উল্লেখ্য, বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী (নৌকা) ১০ হাজার ৭৩৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির কামাল উদ্দিন চৌধুরী (ধানের শীষ) পেয়েছেন ১ হাজার ৭৭৮ ভোট। জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশারফ হোসেন (মোবাইল ফোন) পেয়েছেন ১ হাজার ৪৫১ ভোট।