শুঁড় তুলে সালাম দিয়ে চাঁদা তুলছে হাতি (ভিডিও)
শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৭ জানুয়ারি ২০২১, ২০:০৬:০৯ | অনলাইন সংস্করণ
এ দোকান থেকে আরেক দোকান ঘুরছে হাতি, পিঠে বসা হাতির মালিক। দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে শুঁড় তুলে সালাম দিচ্ছে, তারপর শুঁড় এগিয়ে দিচ্ছে সোজা দোকানদারের কাছে। যতক্ষণ পর্যন্ত শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে দিচ্ছে না কেউ, ততক্ষণ পর্যন্ত শুঁড় তুলছে না হাতি। এভাবে প্রতি দোকান থেকে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা নেওয়া হচ্ছে।
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে এভাবেই হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি চলে। উপজেলার সুতাং বাজারের ব্যবসায়ী এখলাছ মিয়া বলেন, দুপুরে হঠাৎ দেখি দোকানের ভেতরে শুঁড় ঢুকিয়ে দিয়েছে বিরাট আকৃতির এক হাতি। টাকা না দিলে হাতি দোকানের সামনে থেকে সরে না। বাধ্য হয়ে ২০ টাকা দিয়েছি।’
পৌর এলাকার দাউদনগর বাজারের মুদিমাল ব্যবসায়ী রফিক মিয়া বলেন, কয়দিন পরপরই বিভিন্ন জায়গা থেকে হাতি নিয়ে দোকানে দোকানে চাঁদা তুলে হাতির মালিক।
শায়েস্তাগঞ্জের বাসিন্দা হাসান আলী বলেন, হঠাৎ বাজারে হাতির দেখা মিললে সবার ভালো লাগতে পারে। হাতি দেখার জন্য ছেলেমেয়েরা ভিড় জমায়, তাই শখের বসে হাতিকে যে যা পারবে দিবে কিন্তু এভাবে জিম্মি করে চাঁদাবাজি করাটা অন্যায়।
এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব বলেন, যখন হাতি দিয়ে দোকান থেকে টাকা উঠানো হয় তখন কেউ জানায় না। এরপরও কেউ কোনো অভিযোগ করে না। টাকা তুলার সময় জানালে ব্যবস্থা নিতে পারতাম।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
শুঁড় তুলে সালাম দিয়ে চাঁদা তুলছে হাতি (ভিডিও)
এ দোকান থেকে আরেক দোকান ঘুরছে হাতি, পিঠে বসা হাতির মালিক। দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে শুঁড় তুলে সালাম দিচ্ছে, তারপর শুঁড় এগিয়ে দিচ্ছে সোজা দোকানদারের কাছে। যতক্ষণ পর্যন্ত শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে দিচ্ছে না কেউ, ততক্ষণ পর্যন্ত শুঁড় তুলছে না হাতি। এভাবে প্রতি দোকান থেকে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা নেওয়া হচ্ছে।
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে এভাবেই হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি চলে। উপজেলার সুতাং বাজারের ব্যবসায়ী এখলাছ মিয়া বলেন, দুপুরে হঠাৎ দেখি দোকানের ভেতরে শুঁড় ঢুকিয়ে দিয়েছে বিরাট আকৃতির এক হাতি। টাকা না দিলে হাতি দোকানের সামনে থেকে সরে না। বাধ্য হয়ে ২০ টাকা দিয়েছি।’
পৌর এলাকার দাউদনগর বাজারের মুদিমাল ব্যবসায়ী রফিক মিয়া বলেন, কয়দিন পরপরই বিভিন্ন জায়গা থেকে হাতি নিয়ে দোকানে দোকানে চাঁদা তুলে হাতির মালিক।
শায়েস্তাগঞ্জের বাসিন্দা হাসান আলী বলেন, হঠাৎ বাজারে হাতির দেখা মিললে সবার ভালো লাগতে পারে। হাতি দেখার জন্য ছেলেমেয়েরা ভিড় জমায়, তাই শখের বসে হাতিকে যে যা পারবে দিবে কিন্তু এভাবে জিম্মি করে চাঁদাবাজি করাটা অন্যায়।
এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব বলেন, যখন হাতি দিয়ে দোকান থেকে টাকা উঠানো হয় তখন কেউ জানায় না। এরপরও কেউ কোনো অভিযোগ করে না। টাকা তুলার সময় জানালে ব্যবস্থা নিতে পারতাম।