খুবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমরণ কর্মসূচি শুরু করেছেন দুই শিক্ষার্থী। রোববার সন্ধ্যা ৭টা থেকে ইমামুল ও নোমান নামে দুই শিক্ষার্থী (সম্প্রতি বহিষ্কার হওয়া) এ কর্মসূচি শুরু করেন। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করলে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন তারা। রোববার রাত ৮টায় যুগান্তরকে তারা এ বিষয়টি জানিয়েছেন।
জানা যায়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বেতন কমানো, আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত করা, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে অবকাঠামো নির্মাণ এবং ছাত্রবিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা- এ পাঁচ দফা আন্দোলনে যুক্ত থাকার কারণে বাংলা ডিসিপ্লিনের মোহাম্মদ মোবারক হোসেন নোমান (১৮ ব্যাচ) এবং ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের ইমামুল ইসলামকে (১৭ ব্যাচ) অসদাচরণের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয় বলে শিক্ষার্থীরা দাবি করেন।
গত ১৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক ও শৃঙ্খলা বোর্ডের সদস্য সচিব মো. শরীফ হাসান লিমন বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, আবাসিক হলে জুনিয়র শিক্ষার্থীদের রাতভর শারীরিকভাবে নির্যাতন ও গালিগালাজ করার অপরাধে পাঁচজন এবং তদন্ত ও একাডেমিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করার দায়ে আরো দুইজন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করা হয়।
এ ঘটনার পর গত ১৬ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীরা খুলনা প্রেস ক্লাবে বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের জন্য সংবাদ সম্মেলন করেন। পাশপাশি ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন প্রশাসনকে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় রোববার রাত ৭টা থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে।
খুবির ছাত্র বিষয়ক পরিচালক মো. শরীফ হাসান লিমন সাড়ে ৮টায় যুগান্তরকে জানান, বিষয়টি শৃংখলা বোর্ডের সিদ্ধান্ত। তারপরও শিক্ষার্থীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এখনও তার উত্তর পাওয়া যায়নি। চিঠির উত্তরের পর শৃংখলা কমিটির পরবর্তী মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হবে তাদের শাস্তি কমবে নাকি বহাল থাকবে। তবে এর আগেই তারা কেন এমন কর্মসূচি দিল জানি না।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর শিক্ষার্থীরা ৫ দফা দাবি সংক্রান্ত স্মারকলিপি ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের মাধ্যমে উপাচার্যের কাছে পেশ করে। তাতেও কোনো সমাধান না পেয়ে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। কিছুদিন পর আন্দোলন চলাকালীন দু’জন শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে খুবি প্রশাসন শিক্ষার্থীদের বক্তব্য জানতে চায়। তদন্তের পর গত ১৩ জানুয়ারি দুইজন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
খুবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমরণ কর্মসূচি শুরু করেছেন দুই শিক্ষার্থী। রোববার সন্ধ্যা ৭টা থেকে ইমামুল ও নোমান নামে দুই শিক্ষার্থী (সম্প্রতি বহিষ্কার হওয়া) এ কর্মসূচি শুরু করেন। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করলে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন তারা। রোববার রাত ৮টায় যুগান্তরকে তারা এ বিষয়টি জানিয়েছেন।
জানা যায়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বেতন কমানো, আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত করা, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে অবকাঠামো নির্মাণ এবং ছাত্রবিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা- এ পাঁচ দফা আন্দোলনে যুক্ত থাকার কারণে বাংলা ডিসিপ্লিনের মোহাম্মদ মোবারক হোসেন নোমান (১৮ ব্যাচ) এবং ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের ইমামুল ইসলামকে (১৭ ব্যাচ) অসদাচরণের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয় বলে শিক্ষার্থীরা দাবি করেন।
গত ১৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক ও শৃঙ্খলা বোর্ডের সদস্য সচিব মো. শরীফ হাসান লিমন বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, আবাসিক হলে জুনিয়র শিক্ষার্থীদের রাতভর শারীরিকভাবে নির্যাতন ও গালিগালাজ করার অপরাধে পাঁচজন এবং তদন্ত ও একাডেমিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করার দায়ে আরো দুইজন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করা হয়।
এ ঘটনার পর গত ১৬ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীরা খুলনা প্রেস ক্লাবে বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের জন্য সংবাদ সম্মেলন করেন। পাশপাশি ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন প্রশাসনকে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় রোববার রাত ৭টা থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে।
খুবির ছাত্র বিষয়ক পরিচালক মো. শরীফ হাসান লিমন সাড়ে ৮টায় যুগান্তরকে জানান, বিষয়টি শৃংখলা বোর্ডের সিদ্ধান্ত। তারপরও শিক্ষার্থীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এখনও তার উত্তর পাওয়া যায়নি। চিঠির উত্তরের পর শৃংখলা কমিটির পরবর্তী মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হবে তাদের শাস্তি কমবে নাকি বহাল থাকবে। তবে এর আগেই তারা কেন এমন কর্মসূচি দিল জানি না।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর শিক্ষার্থীরা ৫ দফা দাবি সংক্রান্ত স্মারকলিপি ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের মাধ্যমে উপাচার্যের কাছে পেশ করে। তাতেও কোনো সমাধান না পেয়ে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। কিছুদিন পর আন্দোলন চলাকালীন দু’জন শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে খুবি প্রশাসন শিক্ষার্থীদের বক্তব্য জানতে চায়। তদন্তের পর গত ১৩ জানুয়ারি দুইজন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।