স্মার্টফোন বিক্রির টাকা চাওয়ায় খুন, কললিস্টে রহস্য উদঘাটন
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
১৮ জানুয়ারি ২০২১, ২১:৪২:০৫ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম এলাকার মোবাইলের সেলসম্যান জহুরুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। মোবাইলের কললিস্ট ধরে ঘটনার ১০ দিন পর তিনজনকে আটকের মাধ্যমে এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নাটোর লালপুর উপজেলার বালিতিতা ইসলামপুর গ্রামের আকমল হোসেনের ছেলে মাসুদ রানা (২৬), কাজিপাড়ার মৃত সানাউল্লাহর ছেলে আমিনুল ইসলাম ওরফে শাওন (৩০) এবং বাঘার জোতকাদিরপুর গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান ওরফে রকি (২৩)। এদের মধ্যে ১৫ জানুয়ারি বিকালে দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এতে তারা বলেছেন, তাদের কাছে স্মার্টফোন বিক্রির পাওনা টাকা চাওয়ার জন্যই পরিকল্পিতভাবে জহুরুলকে (৩০) তারা খুন করেছে।
১৬ জানুয়ারি বিকালে রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতেখায়ের আলম এক বিজ্ঞপ্তিতে সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে মেইলটি রোববার রাতে পাওয়া যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতেখায়ের আলম জানান, রাজশাহীর বাঘায় নিহত সেলসমম্যান জহুরুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি উপজেলার মনিগ্রাম বাজার দক্ষিণপাড়ায়। তার বাবার নাম রফিকুল ইসলাম। তিনি বাঘার পানিকুমড়া বাজারের মেহেদী হাসান মনির টেলিকম ও ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানে সেলসম্যান হিসেবে চাকরি করতেন। তিনি প্রতিদিন সকাল ৯টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে বিভিন্ন কোম্পানির মোবাইল ফোন নিয়ে বিভিন্ন বাজারের দোকানে দোকানে গিয়ে বিক্রি করতেন। টাকা-পয়সাসহ ফিরে আসতেন সন্ধ্যায়। গত ৫ জানুয়ারি মোবাইল বিক্রি করতে গিয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেননি এমনকি তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ ছিল।
পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ৬ জানুয়ারি সকাল ৭টার দিকে জহুরুলের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায় উপজেলার তেথুলিয়া শিকদারপাড়া গ্রামের একটি আমবাগানে। রাস্তার উপর পাওয়া যায় তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল। সকালে খেজুরের রস সংগ্রহ করতে গেলে স্থানীয় কয়েকজন গাছির চোখে পড়ে এ দৃশ্য।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এ ঘটনায় জহুরুলের ভাই রুহুল আমিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বাঘা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকেই পুলিশ বিভিন্নভাবে এ হত্যার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছিল। সর্বশেষ ১৫ জানুয়ারি রাজশাহী জেলা পুলিশের চারঘাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নূরে আলম একটি টিম নিয়ে এসব আসামির নিজ নিজ বাড়ি থেকে আটক করে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
স্মার্টফোন বিক্রির টাকা চাওয়ায় খুন, কললিস্টে রহস্য উদঘাটন
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম এলাকার মোবাইলের সেলসম্যান জহুরুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। মোবাইলের কললিস্ট ধরে ঘটনার ১০ দিন পর তিনজনকে আটকের মাধ্যমে এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নাটোর লালপুর উপজেলার বালিতিতা ইসলামপুর গ্রামের আকমল হোসেনের ছেলে মাসুদ রানা (২৬), কাজিপাড়ার মৃত সানাউল্লাহর ছেলে আমিনুল ইসলাম ওরফে শাওন (৩০) এবং বাঘার জোতকাদিরপুর গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান ওরফে রকি (২৩)। এদের মধ্যে ১৫ জানুয়ারি বিকালে দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এতে তারা বলেছেন, তাদের কাছে স্মার্টফোন বিক্রির পাওনা টাকা চাওয়ার জন্যই পরিকল্পিতভাবে জহুরুলকে (৩০) তারা খুন করেছে।
১৬ জানুয়ারি বিকালে রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতেখায়ের আলম এক বিজ্ঞপ্তিতে সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে মেইলটি রোববার রাতে পাওয়া যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতেখায়ের আলম জানান, রাজশাহীর বাঘায় নিহত সেলসমম্যান জহুরুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি উপজেলার মনিগ্রাম বাজার দক্ষিণপাড়ায়। তার বাবার নাম রফিকুল ইসলাম। তিনি বাঘার পানিকুমড়া বাজারের মেহেদী হাসান মনির টেলিকম ও ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানে সেলসম্যান হিসেবে চাকরি করতেন। তিনি প্রতিদিন সকাল ৯টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে বিভিন্ন কোম্পানির মোবাইল ফোন নিয়ে বিভিন্ন বাজারের দোকানে দোকানে গিয়ে বিক্রি করতেন। টাকা-পয়সাসহ ফিরে আসতেন সন্ধ্যায়। গত ৫ জানুয়ারি মোবাইল বিক্রি করতে গিয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেননি এমনকি তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ ছিল।
পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ৬ জানুয়ারি সকাল ৭টার দিকে জহুরুলের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায় উপজেলার তেথুলিয়া শিকদারপাড়া গ্রামের একটি আমবাগানে। রাস্তার উপর পাওয়া যায় তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল। সকালে খেজুরের রস সংগ্রহ করতে গেলে স্থানীয় কয়েকজন গাছির চোখে পড়ে এ দৃশ্য।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এ ঘটনায় জহুরুলের ভাই রুহুল আমিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বাঘা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকেই পুলিশ বিভিন্নভাবে এ হত্যার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছিল। সর্বশেষ ১৫ জানুয়ারি রাজশাহী জেলা পুলিশের চারঘাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নূরে আলম একটি টিম নিয়ে এসব আসামির নিজ নিজ বাড়ি থেকে আটক করে।