ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা কর্মচারী, কারখানার মালিক গ্রেফতার
গাজীপুর প্রতিনিধি
২৪ জানুয়ারি ২০২১, ২১:২১:২২ | অনলাইন সংস্করণ
কর্মচারীকে ধর্ষণের অভিযোগে আওলাদ হোসেন (৪৫) নামে এক কারখানার মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী রনু সুপার মার্কেট ও আরগন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের মালিক।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ি থানা পুলিশ রোববার আসামিকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ধর্ষণের শিকার নারী শ্রমিকের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের শিকার ওই নারী বিগত ২০১০ সাল থেকে আওলাদ হোসেনের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। এ সুবাদে আওলাদ সুযোগ পেলেই বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমকে ধর্ষণ করতেন। ইতোমধ্যে ভিকটিম ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।
এ অবস্থায় বিবাহের জন্য চাপ দিলে আওলাদ হোসেন বিভিন্নভাবে কালক্ষেপণের আশ্রয় নেয় এবং গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য ওই নারীকে ধর্ষণসহ বিভিন্নভাবে পাশবিক নির্যাতন করতেন। সর্বশেষ গত ২২ জানুয়ারি আওলাদ হোসেন নিজের অফিস কক্ষে ওই নারীকে ধর্ষণ করে এবং গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ দেয়। এতে নিরুপায় হয়ে ওই নারী শনিবার জিএমপির কোনাবাড়ী থানায় মামলা করেন।
আইনজীবী রফিকুল ইসলাম জানান, পুলিশ শনিবারই আওলাদকে গ্রেফতার করে। রোববার আওলাদকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা কর্মচারী, কারখানার মালিক গ্রেফতার
কর্মচারীকে ধর্ষণের অভিযোগে আওলাদ হোসেন (৪৫) নামে এক কারখানার মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী রনু সুপার মার্কেট ও আরগন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের মালিক।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ি থানা পুলিশ রোববার আসামিকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ধর্ষণের শিকার নারী শ্রমিকের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের শিকার ওই নারী বিগত ২০১০ সাল থেকে আওলাদ হোসেনের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। এ সুবাদে আওলাদ সুযোগ পেলেই বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমকে ধর্ষণ করতেন। ইতোমধ্যে ভিকটিম ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।
এ অবস্থায় বিবাহের জন্য চাপ দিলে আওলাদ হোসেন বিভিন্নভাবে কালক্ষেপণের আশ্রয় নেয় এবং গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য ওই নারীকে ধর্ষণসহ বিভিন্নভাবে পাশবিক নির্যাতন করতেন। সর্বশেষ গত ২২ জানুয়ারি আওলাদ হোসেন নিজের অফিস কক্ষে ওই নারীকে ধর্ষণ করে এবং গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ দেয়। এতে নিরুপায় হয়ে ওই নারী শনিবার জিএমপির কোনাবাড়ী থানায় মামলা করেন।
আইনজীবী রফিকুল ইসলাম জানান, পুলিশ শনিবারই আওলাদকে গ্রেফতার করে। রোববার আওলাদকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।