বাঙালি জাতীয়তাবোধকে জাগ্রত করেছেন মধুসূধন দত্ত
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
২৫ জানুয়ারি ২০২১, ২২:০৩:৫৩ | অনলাইন সংস্করণ

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। বাঙালি রেনেসাঁর শ্রেষ্ঠ কবি তিনি। তারই ফলে বাঙালি সংস্কৃতিতে স্বদেশ প্রেম ও জাতীয়তাবোধের বিকাশ ঘটেছে।
মহাকবির জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে কেশবপুরের সাগরদাঁড়িতে সোমবার মধুমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এ বছর সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় জন্মবার্ষিকী পালন।
মধুমঞ্চে আলোচনা অনুষ্ঠানে সভপতিত্ব করেন কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এমএম আরাফাত হোসেন। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন- উপজেলা চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম রুহুল আমিন, কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জসীম উদ্দীন, সাগরদাঁড়ি ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্তো, মধু গবেষক কবি খসরু পারভেজ, প্রভাষক কানাইলাল ভট্টাচার্য প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মাসুদুর রহমান ও উজ্জ্বল ব্যানার্জী। আলোচনা শেষে ওই মঞ্চে যশোর ও কেশবপুরের শিল্পীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনা করেন। আলোচনা সভার আগে মধুপল্লীতে মাইকেল মধুসূধন দত্তের আবক্ষ মূর্তিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, চারুপীট আর্ট স্কৃলসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা।
দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের সর্ব বৃহৎ এই মেলায় প্রতিবছরই গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্প, কৃষি ও লোকজ সামগ্রীর সমাহারসহ বিভিন্ন প্রকার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়ে থাকে।
মেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এমএম আরাফাত হোসেন জানান, ৭ দিনের মধুমেলার যে আয়োজন দশকের পর দশক ধরে চলে আসছিল এবার জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান ও মধুসূদনের জন্মবার্ষিকী পালন কমিটি তা স্থগিত করেছে। কবির জন্মদিন উপলক্ষে উদ্বোধনের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের পর সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বাঙালি জাতীয়তাবোধকে জাগ্রত করেছেন মধুসূধন দত্ত

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। বাঙালি রেনেসাঁর শ্রেষ্ঠ কবি তিনি। তারই ফলে বাঙালি সংস্কৃতিতে স্বদেশ প্রেম ও জাতীয়তাবোধের বিকাশ ঘটেছে।
মহাকবির জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে কেশবপুরের সাগরদাঁড়িতে সোমবার মধুমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এ বছর সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় জন্মবার্ষিকী পালন।
মধুমঞ্চে আলোচনা অনুষ্ঠানে সভপতিত্ব করেন কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এমএম আরাফাত হোসেন। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন- উপজেলা চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম রুহুল আমিন, কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জসীম উদ্দীন, সাগরদাঁড়ি ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্তো, মধু গবেষক কবি খসরু পারভেজ, প্রভাষক কানাইলাল ভট্টাচার্য প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মাসুদুর রহমান ও উজ্জ্বল ব্যানার্জী। আলোচনা শেষে ওই মঞ্চে যশোর ও কেশবপুরের শিল্পীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনা করেন। আলোচনা সভার আগে মধুপল্লীতে মাইকেল মধুসূধন দত্তের আবক্ষ মূর্তিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, চারুপীট আর্ট স্কৃলসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা।
দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের সর্ব বৃহৎ এই মেলায় প্রতিবছরই গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্প, কৃষি ও লোকজ সামগ্রীর সমাহারসহ বিভিন্ন প্রকার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়ে থাকে।
মেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এমএম আরাফাত হোসেন জানান, ৭ দিনের মধুমেলার যে আয়োজন দশকের পর দশক ধরে চলে আসছিল এবার জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান ও মধুসূদনের জন্মবার্ষিকী পালন কমিটি তা স্থগিত করেছে। কবির জন্মদিন উপলক্ষে উদ্বোধনের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের পর সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক।