বাবার লাশ দেখে ৯৯৯ নম্বরে ছেলের ফোন
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে নিখোঁজ হওয়ার ১৪ ঘণ্টা পর শাহ আলম (৫৫) নামে এক শ্রমিকের লাশ ডোবা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বারপাড়া ইউনিয়নের মারকাজ মসজিদের পশ্চিম পাশের একটি ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত শাহ আলম উপজেলার বারপাড়া ইউনিয়নের কানড়া গ্রামের মৃত সুনো মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় শহীদনগর সোনালি আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজের শ্রমিক ছিলেন।
নিহতের ছেলে শাহেদ জানান, জরুরি কাজে তার বাবা সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় ঘর থেকে বের হন। রাতে তিনি বাড়ি ফেরেননি। পরে পরিবারের সদস্যরা রাতভর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। সকালে শাহেদ বাবার খোঁজে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশ দিয়ে হেঁটে বাবার কর্মস্থল শহীদনগর সোনালি আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজে যাচ্ছিলেন।
সকাল ৯টার দিকে শাহেদ তার বাবার লাশ সড়কের পাশের ডোবার পানিতে দেখে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। খবর পেয়ে দাউদকান্দি মডেল থানা ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।
দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম জানান, নিহতের মাথার পেছনে ধারালো অস্ত্রের আঘাত থাকায় প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড। তবে ময়নাতদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বাবার লাশ দেখে ৯৯৯ নম্বরে ছেলের ফোন
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে নিখোঁজ হওয়ার ১৪ ঘণ্টা পর শাহ আলম (৫৫) নামে এক শ্রমিকের লাশ ডোবা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বারপাড়া ইউনিয়নের মারকাজ মসজিদের পশ্চিম পাশের একটি ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত শাহ আলম উপজেলার বারপাড়া ইউনিয়নের কানড়া গ্রামের মৃত সুনো মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় শহীদনগর সোনালি আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজের শ্রমিক ছিলেন।
নিহতের ছেলে শাহেদ জানান, জরুরি কাজে তার বাবা সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় ঘর থেকে বের হন। রাতে তিনি বাড়ি ফেরেননি। পরে পরিবারের সদস্যরা রাতভর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। সকালে শাহেদ বাবার খোঁজে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশ দিয়ে হেঁটে বাবার কর্মস্থল শহীদনগর সোনালি আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজে যাচ্ছিলেন।
সকাল ৯টার দিকে শাহেদ তার বাবার লাশ সড়কের পাশের ডোবার পানিতে দেখে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। খবর পেয়ে দাউদকান্দি মডেল থানা ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।
দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম জানান, নিহতের মাথার পেছনে ধারালো অস্ত্রের আঘাত থাকায় প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড। তবে ময়নাতদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।