চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন: বিপুল ভোটে এগিয়ে নৌকার রেজাউল করিম
চট্টগ্রাম ব্যুরো
২৭ জানুয়ারি ২০২১, ২০:০১:৫৪ | অনলাইন সংস্করণ
দিনভর সংঘাত-সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টাধাওয়া, গোলাগুলি, ইভিএম ভাংচুরসহ নানা ঘটন-অঘটনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী বিপুল ভোটে এগিয়ে রয়েছেন।
বুধবার রাত পৌনে ১০টায় পাওয়া ফলাফলে দেখা গেছে, ৭৩৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৩৮৯টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত ফলে নৌকা প্রতীক নিয়ে রেজাউল করিম চৌধুরী পেয়েছেন এক লাখ৪৫ হাজার ১৪৮ ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন পেয়েছেন ২০ হাজার ২৬৪ ভোট।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ করা হয়।
সব কেন্দ্রে এবারই প্রথমবার ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ভোট অনুষ্ঠিত হয়। একদিন আগেই প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারদের নিয়ে নতুন পদ্ধতির এ ভোটগ্রহণ কার্যক্রম শেখাতে ‘মক ভোটিং’-এর ব্যবস্থা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি অংশগ্রহণ করলেও সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি মেয়র পদে কোনো প্রার্থী দেয়নি। পাশাপাশি কোনো প্রার্থীকে সমর্থনও দেয়নি দলটি।
এদিকে চসিক নির্বাচনে ৫৭ শতাংশ ভোট কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ (ঝুঁকিপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। অর্থাৎ ৭৩৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৪১০টিই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। বাকি ৩২৫টি কেন্দ্রকে ‘সাধারণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ফলে এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গোটা নগরীতে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে মোট ভোটার ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। এর মধ্যে নতুন ভোটার ৮০ হাজার।
চসিক নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ৭৩৫ প্রিসাইডিং অফিসার, চার হাজার ৮৮৬ সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং ৯ হাজার ৭৭২ পোলিং অফিসার। এছাড়া অতিরিক্ত ৫ শতাংশ হিসেবে ১৬ হাজার ১৬৩ ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তার নতুন তালিকা প্রস্তুত করা হয়।
নির্বাচনের জন্য ৪১ ওয়ার্ডে ৭৩৫টি ভোট কেন্দ্র এবং চার হাজার ৮৮৬টি বুথ চূড়ান্ত করা হয়। এসব কেন্দ্রের জন্য প্রায় ১৬ হাজার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা চূড়ান্ত করা হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকেই স্টেডিয়ামে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে প্রিসাইডিং অফিসাররা নিজ নিজ কেন্দ্রের জন্য ৭০ ধরনের নির্বাচনী সামগ্রী গ্রহণ করেন।
গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী একই বছরের ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটির ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে ২১ মার্চ প্রথম দফায় চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন স্থগিত করা হয়। দ্বিতীয় দফায় ১৪ জুলাই পুনরায় চসিক নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
এ সময়ে চসিকের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজনকে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু হলে নির্বাচন কমিশন ২৭ জানুয়ারি সিটি নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন: বিপুল ভোটে এগিয়ে নৌকার রেজাউল করিম
দিনভর সংঘাত-সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টাধাওয়া, গোলাগুলি, ইভিএম ভাংচুরসহ নানা ঘটন-অঘটনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী বিপুল ভোটে এগিয়ে রয়েছেন।
বুধবার রাত পৌনে ১০টায় পাওয়া ফলাফলে দেখা গেছে, ৭৩৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৩৮৯টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত ফলে নৌকা প্রতীক নিয়ে রেজাউল করিম চৌধুরী পেয়েছেন এক লাখ ৪৫ হাজার ১৪৮ ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন পেয়েছেন ২০ হাজার ২৬৪ ভোট।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ করা হয়।
সব কেন্দ্রে এবারই প্রথমবার ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ভোট অনুষ্ঠিত হয়। একদিন আগেই প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারদের নিয়ে নতুন পদ্ধতির এ ভোটগ্রহণ কার্যক্রম শেখাতে ‘মক ভোটিং’-এর ব্যবস্থা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি অংশগ্রহণ করলেও সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি মেয়র পদে কোনো প্রার্থী দেয়নি। পাশাপাশি কোনো প্রার্থীকে সমর্থনও দেয়নি দলটি।
এদিকে চসিক নির্বাচনে ৫৭ শতাংশ ভোট কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ (ঝুঁকিপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। অর্থাৎ ৭৩৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৪১০টিই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। বাকি ৩২৫টি কেন্দ্রকে ‘সাধারণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ফলে এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গোটা নগরীতে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে মোট ভোটার ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। এর মধ্যে নতুন ভোটার ৮০ হাজার।
চসিক নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ৭৩৫ প্রিসাইডিং অফিসার, চার হাজার ৮৮৬ সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং ৯ হাজার ৭৭২ পোলিং অফিসার। এছাড়া অতিরিক্ত ৫ শতাংশ হিসেবে ১৬ হাজার ১৬৩ ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তার নতুন তালিকা প্রস্তুত করা হয়।
নির্বাচনের জন্য ৪১ ওয়ার্ডে ৭৩৫টি ভোট কেন্দ্র এবং চার হাজার ৮৮৬টি বুথ চূড়ান্ত করা হয়। এসব কেন্দ্রের জন্য প্রায় ১৬ হাজার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা চূড়ান্ত করা হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকেই স্টেডিয়ামে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে প্রিসাইডিং অফিসাররা নিজ নিজ কেন্দ্রের জন্য ৭০ ধরনের নির্বাচনী সামগ্রী গ্রহণ করেন।
গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী একই বছরের ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটির ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে ২১ মার্চ প্রথম দফায় চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন স্থগিত করা হয়। দ্বিতীয় দফায় ১৪ জুলাই পুনরায় চসিক নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
এ সময়ে চসিকের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজনকে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু হলে নির্বাচন কমিশন ২৭ জানুয়ারি সিটি নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে।