চসিকে নির্বাচনী সহিংসতা: গুলিতে নিহতের ঘটনায় মামলা
চট্টগ্রাম ব্যুরো
২৮ জানুয়ারি ২০২১, ১০:৪৩:১৩ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নগরীর আমবাগান এলাকায় দুপক্ষের সংঘর্ষে আলাউদ্দিন ওরফে আলম (২৩) নিহতের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।
বুধবার রাতে নিহত আলাউদ্দিনের বোন জাহানারা বেগম রেলওয়ে থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০ জনকে আসামি করে মামলাটি করেছেন।
রেলওয়ে থানার ওসি সোহরাব হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত কাউন্সিল প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আলাউদ্দিন ওরফে আলম।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে ফ্লোরাপাস রোডে রেললাইনের পাশে ইউসেফ আমবাগান টেকনিক্যাল স্কুল কেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী ও বিদ্রোহী প্রার্থী মাহমুদুর রহমানের অনুসারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ বাধে।
এতে মাহমুদুর রহমানের সমর্থক আলাউদ্দিন গুলিবিদ্ধ হন। তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এখানে আরও চারজন আহত হন। একটি মোটরসাইকেলে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
আলাউদ্দিনের বোন জাহানারা বেগম জানান, আমার ভাই সকালে নাশতা খেতে বের হয়। নাশতা করে তার কাজে যাওয়ার কথা ছিল। তার আগেই আমার ভাইকে গুলি করে মেরে ফেলেছে লাটিম মার্কার সন্ত্রাসীরা। তার স্ত্রী ও এক বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
তবে সিএমপির উপকমিশনার বিজয় বসাক এ প্রসঙ্গে বলেন, দুপক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আলাউদ্দিন। আলাউদ্দিনের মা আসিয়া খাতুন ছেলের মৃত্যু দেখে বারবার শোকে মূর্ছা যাচ্ছিলেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
চসিকে নির্বাচনী সহিংসতা: গুলিতে নিহতের ঘটনায় মামলা
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নগরীর আমবাগান এলাকায় দুপক্ষের সংঘর্ষে আলাউদ্দিন ওরফে আলম (২৩) নিহতের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।
বুধবার রাতে নিহত আলাউদ্দিনের বোন জাহানারা বেগম রেলওয়ে থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০ জনকে আসামি করে মামলাটি করেছেন।
রেলওয়ে থানার ওসি সোহরাব হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত কাউন্সিল প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আলাউদ্দিন ওরফে আলম।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে ফ্লোরাপাস রোডে রেললাইনের পাশে ইউসেফ আমবাগান টেকনিক্যাল স্কুল কেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী ও বিদ্রোহী প্রার্থী মাহমুদুর রহমানের অনুসারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ বাধে।
এতে মাহমুদুর রহমানের সমর্থক আলাউদ্দিন গুলিবিদ্ধ হন। তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এখানে আরও চারজন আহত হন। একটি মোটরসাইকেলে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
আলাউদ্দিনের বোন জাহানারা বেগম জানান, আমার ভাই সকালে নাশতা খেতে বের হয়। নাশতা করে তার কাজে যাওয়ার কথা ছিল। তার আগেই আমার ভাইকে গুলি করে মেরে ফেলেছে লাটিম মার্কার সন্ত্রাসীরা। তার স্ত্রী ও এক বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
তবে সিএমপির উপকমিশনার বিজয় বসাক এ প্রসঙ্গে বলেন, দুপক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আলাউদ্দিন। আলাউদ্দিনের মা আসিয়া খাতুন ছেলের মৃত্যু দেখে বারবার শোকে মূর্ছা যাচ্ছিলেন।