কাদের মির্জার বহিষ্কার নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য (ভিডিও)
যুগান্তর ডেস্ক
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২২:২৪:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে দল থেকে চূড়ান্ত বহিষ্কারের সুপারিশ এবং দলীয় সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি নিয়ে বিবাদে জড়িয়েছে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যক্ষ এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম বহিষ্কারের সুপারিশ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও তা মানতে নারাজ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী।
শনিবার রাতে ফেসবুক লাইভে এসে তিনি বলেন, সেলিম ভাই বিকালে আমাকে বললেন, মির্জার বিরুদ্ধে একটা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। সে মোতাবেক আমরা মির্জার বিরুদ্ধে একটা অবস্থান নিয়েছি। এখন বিভিন্ন জায়গায় শুনছি, তিনি তা প্রত্যাহারের কথা বলছেন। কিন্তু আমার জানামতে এমনটি হয়নি।
জেলা সভাপতিকে নীতিহীন আখ্যায়িত করে একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, আমার সভাপতি কি অবস্থানে আছেন জানি না। তিনি আমাকে দিয়ে নির্দেশনা দেয়ালেন, এখন আবার প্রত্যাহার করলেন। এর মাধ্যমে তো তিনি নীতিহীন হয়ে গেলেন।
এ সময় আবদুল কাদের মির্জার বহিষ্কারের সুপারিশ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন একরামুল করীম চৌধুরী।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যার পর নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় প্যাডে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যক্ষ এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী এমপির যৌথভাবে স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
এর ২ ঘণ্টার মধ্যেই সেটি প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানান নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম।
তিনি বলেন, কাদের মির্জার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সত্যি; তবে এটি সম্পূর্ণভাবে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার দায়িত্বে আছে। তার নির্দেশ তো অমান্য করতে পারি না।
আমার অনুপস্থিতিতে নোয়াখালী জেলা সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপি আমার বিষয়টি নিয়ে আলাপ করে চিঠিটি তিনি পাঠিয়ে দিয়েছেন।
যাই হোক, মির্জা কাদেরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করলাম এবং এটা প্রত্যাহার করে নিলাম।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
কাদের মির্জার বহিষ্কার নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য (ভিডিও)
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে দল থেকে চূড়ান্ত বহিষ্কারের সুপারিশ এবং দলীয় সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি নিয়ে বিবাদে জড়িয়েছে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যক্ষ এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম বহিষ্কারের সুপারিশ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও তা মানতে নারাজ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী।
শনিবার রাতে ফেসবুক লাইভে এসে তিনি বলেন, সেলিম ভাই বিকালে আমাকে বললেন, মির্জার বিরুদ্ধে একটা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। সে মোতাবেক আমরা মির্জার বিরুদ্ধে একটা অবস্থান নিয়েছি। এখন বিভিন্ন জায়গায় শুনছি, তিনি তা প্রত্যাহারের কথা বলছেন। কিন্তু আমার জানামতে এমনটি হয়নি।
জেলা সভাপতিকে নীতিহীন আখ্যায়িত করে একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, আমার সভাপতি কি অবস্থানে আছেন জানি না। তিনি আমাকে দিয়ে নির্দেশনা দেয়ালেন, এখন আবার প্রত্যাহার করলেন। এর মাধ্যমে তো তিনি নীতিহীন হয়ে গেলেন।
এ সময় আবদুল কাদের মির্জার বহিষ্কারের সুপারিশ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন একরামুল করীম চৌধুরী।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যার পর নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় প্যাডে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যক্ষ এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী এমপির যৌথভাবে স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
এর ২ ঘণ্টার মধ্যেই সেটি প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানান নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম।
তিনি বলেন, কাদের মির্জার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সত্যি; তবে এটি সম্পূর্ণভাবে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার দায়িত্বে আছে। তার নির্দেশ তো অমান্য করতে পারি না।
আমার অনুপস্থিতিতে নোয়াখালী জেলা সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপি আমার বিষয়টি নিয়ে আলাপ করে চিঠিটি তিনি পাঠিয়ে দিয়েছেন।
যাই হোক, মির্জা কাদেরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করলাম এবং এটা প্রত্যাহার করে নিলাম।