বিরিশিরি কালচারাল একাডেমির নতুন পরিচালক সুজন হাজং
তোবারক হোসেন খোকন, দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) থেকে
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০২:০৬:৩৮ | অনলাইন সংস্করণ
নেত্রকোনা জেলার সুসং দুর্গাপুরের কৃতি সন্তান গীতিকার সুজন হাজং এবার বিরিশিরি ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির পরিচালক হলেন। তাকে দুই বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
২৩ ফেব্রুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. অলিউর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে এ নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সুজন কুমার হাজংকে ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে পরবর্তী দুই বছরের জন্য নেত্রকোনার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির (বিরিশিরি) পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলো।
সুজন হাজং একাধারে কবি, গীতিকার, কলামিস্ট, গবেষক ও অনুবাদক এবং তরুন রাজনীতিবিদ। কবিতা ও গান লেখার পাশাপাশি তিনি ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে গবেষণা করছেন।
কবি সুজন হাজং যুগান্তরকে বলেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহে হাজং, গারো, কোচ, বানাই, হদি, ডালু ও বর্মণ নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস। তাদের নিজস্ব বর্ণিল সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য আছে। পিছিয়ে পড়া এসব জনগোষ্ঠীর ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত।
এটা আমার শেকড়। আমি এখানে বেড়ে ওঠেছি। এখানকার মানুষের জীবনবোধ, জীবনাচার ও জীবন সংগ্রাম আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। তাই সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এসব প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক উন্নয়নে কাজ করতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আর্থ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে বর্তমান সরকার নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। আমাকে বিরিশিরি কালচারাল একাডেমির পরিচালক হিসেবে নিয়োগ প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
সুজন হাজং আরও বলেন, এক সময় ভালবাসা ও দ্রোহের কবি রফিক আজাদ বিরিশিরি কালচারাল একাডেমির পরিচালক ছিলেন। প্রিয় কবি রফিক আজাদের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই বিরিশিরিতে। এখানকার সহজ সরল নৃ-গোষ্ঠীর জীবনধারার সাথে তিনি মিশে গিয়ে ছিলেন। তাদের নিয়ে লিখেছেন অগনিত কবিতা।
কবি রফিক আজাদসহ একাডেমির সাবেক পরিচালক বিভা সাংমা আজ পৃথিবীতে নেই। আমি হাজার কাজের ভিড়েও এখানে তাদের রেখে যাওয়া স্মৃতিগুলো খুঁজবো।এটাই হবে একজন অগ্রজ কবির প্রতি তার অনুজ কবির শ্রদ্ধা।
উল্লেখ্য, সুজন হাজং একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগঠন "দ্য মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ লাভার্স অব দ্য ওয়ার্ল্ড সোসাইটি, বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের জেনারেল সেক্রেটারি। সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য মনোনীত হয়েছেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বিরিশিরি কালচারাল একাডেমির নতুন পরিচালক সুজন হাজং
নেত্রকোনা জেলার সুসং দুর্গাপুরের কৃতি সন্তান গীতিকার সুজন হাজং এবার বিরিশিরি ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির পরিচালক হলেন। তাকে দুই বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
২৩ ফেব্রুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. অলিউর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে এ নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সুজন কুমার হাজংকে ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে পরবর্তী দুই বছরের জন্য নেত্রকোনার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির (বিরিশিরি) পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলো।
সুজন হাজং একাধারে কবি, গীতিকার, কলামিস্ট, গবেষক ও অনুবাদক এবং তরুন রাজনীতিবিদ। কবিতা ও গান লেখার পাশাপাশি তিনি ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে গবেষণা করছেন।
কবি সুজন হাজং যুগান্তরকে বলেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহে হাজং, গারো, কোচ, বানাই, হদি, ডালু ও বর্মণ নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস। তাদের নিজস্ব বর্ণিল সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য আছে। পিছিয়ে পড়া এসব জনগোষ্ঠীর ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত।
এটা আমার শেকড়। আমি এখানে বেড়ে ওঠেছি। এখানকার মানুষের জীবনবোধ, জীবনাচার ও জীবন সংগ্রাম আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। তাই সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এসব প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক উন্নয়নে কাজ করতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আর্থ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে বর্তমান সরকার নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। আমাকে বিরিশিরি কালচারাল একাডেমির পরিচালক হিসেবে নিয়োগ প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
সুজন হাজং আরও বলেন, এক সময় ভালবাসা ও দ্রোহের কবি রফিক আজাদ বিরিশিরি কালচারাল একাডেমির পরিচালক ছিলেন। প্রিয় কবি রফিক আজাদের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই বিরিশিরিতে। এখানকার সহজ সরল নৃ-গোষ্ঠীর জীবনধারার সাথে তিনি মিশে গিয়ে ছিলেন। তাদের নিয়ে লিখেছেন অগনিত কবিতা।
কবি রফিক আজাদসহ একাডেমির সাবেক পরিচালক বিভা সাংমা আজ পৃথিবীতে নেই। আমি হাজার কাজের ভিড়েও এখানে তাদের রেখে যাওয়া স্মৃতিগুলো খুঁজবো।এটাই হবে একজন অগ্রজ কবির প্রতি তার অনুজ কবির শ্রদ্ধা।
উল্লেখ্য, সুজন হাজং একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগঠন "দ্য মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ লাভার্স অব দ্য ওয়ার্ল্ড সোসাইটি, বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের জেনারেল সেক্রেটারি। সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য মনোনীত হয়েছেন।