ছয় বছর পর নিজেদের টাকায় তাদের ফের সেতুবন্ধন
কামরুল হাসান, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২২:৩০:৩৩ | অনলাইন সংস্করণ
একপাড়ে খালগোড়া বাজার, অন্যপাড়ে দক্ষিণ কাজির হাওলা গ্রাম। এর মাঝখানে বয়ে গেছে স্লুইসের খাল। একটি সেতুর অভাবে দুইপারের মানুষের বিকল্প পথে আসা-যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হতো।
অবশেষে গ্রামবাসী নিজেদের অর্থায়নে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ওই খালের ওপর একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এই সেতুবন্ধনে এখন থেকে দুর্ভোগহীন পারাপার হবেন দুই পারের হাজারও মানুষ।
শনিবার সরেজমিন দেখা গেছে, প্রায় ৬৫ হাজার টাকা ব্যয়ে দুই সপ্তাহ ধরে স্লুইসের খালে ৭০ ফুট দৈর্ঘ্যের কাঠের সেতু নির্মাণ করেছেন গ্রামবাসী। নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে। ইতোমধ্যে সেতু দিয়ে লোকজন পারাপারও হতে শুরু করেছেন।
দক্ষিণ কাজির হাওলা গ্রামের বাসিন্দা নাজমুল মাসুদ, মোশাররফ মোল্লা ও মানিক মৃধা বলেন, একটি সেতুর অভাবে দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছিল এখানকার মানুষ। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে গ্রামের মানুষ এই কাঠের সেতু বানানোর উদ্যোগ নেন। এতে প্রায় ৬৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৪ সালে খালগোড়া বাজারের বন্যানিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের ওপর পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি স্লুইস গেট নির্মাণ করা হয়। ওই স্লুইস গেটের পানি নিষ্কাশনের জন্য ২০১৫ সালে খালগোড়া বাজার ও দক্ষিণ কাজির হাওলা গ্রামের মাঝ দিয়ে খাল খননে দুই পারের মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ফলে ৬ বছর ধরে তিন কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প পথ দিয়ে দুইপারের মানুষের যোগাযোগ হতো। এর ফলে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাত দক্ষিণ কাজির হাওলা গ্রামের ১০ হাজারের বেশি মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, পূর্বপারে অবস্থিত দক্ষিণ কাজির হাওলা গ্রামের মানুষ পশ্চিম পারের খালগোড়া বাজার কিংবা উপজেলা সদরসহ যে কোনো প্রান্তে যেতে বাধা ছিল স্লুইসের খালটি। শুধু তাই নয়, পার্শ্ববর্তী গন্ডাদুলা গ্রামের মানুষও এই পথ দিয়ে চলাচল করতে না পেরে দুর্ভোগে ছিল। সেই দুর্ভোগ লাঘব করতে নিজেদের অর্থায়নে কাঠের সেতু নির্মাণ করেছেন গ্রামবাসী।
তাদের দাবি, এই কাঠের সেতু স্থায়ী নয়। তাই খালে সরকারিভাবে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী মো. মিজানুল কবির বলেন, সরকারিভাবে সেতু নির্মাণের মাধ্যমে দুই পারের মানুষের যোগাযোগের স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ছয় বছর পর নিজেদের টাকায় তাদের ফের সেতুবন্ধন
একপাড়ে খালগোড়া বাজার, অন্যপাড়ে দক্ষিণ কাজির হাওলা গ্রাম। এর মাঝখানে বয়ে গেছে স্লুইসের খাল। একটি সেতুর অভাবে দুইপারের মানুষের বিকল্প পথে আসা-যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হতো।
অবশেষে গ্রামবাসী নিজেদের অর্থায়নে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ওই খালের ওপর একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এই সেতুবন্ধনে এখন থেকে দুর্ভোগহীন পারাপার হবেন দুই পারের হাজারও মানুষ।
শনিবার সরেজমিন দেখা গেছে, প্রায় ৬৫ হাজার টাকা ব্যয়ে দুই সপ্তাহ ধরে স্লুইসের খালে ৭০ ফুট দৈর্ঘ্যের কাঠের সেতু নির্মাণ করেছেন গ্রামবাসী। নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে। ইতোমধ্যে সেতু দিয়ে লোকজন পারাপারও হতে শুরু করেছেন।
দক্ষিণ কাজির হাওলা গ্রামের বাসিন্দা নাজমুল মাসুদ, মোশাররফ মোল্লা ও মানিক মৃধা বলেন, একটি সেতুর অভাবে দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছিল এখানকার মানুষ। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে গ্রামের মানুষ এই কাঠের সেতু বানানোর উদ্যোগ নেন। এতে প্রায় ৬৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৪ সালে খালগোড়া বাজারের বন্যানিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের ওপর পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি স্লুইস গেট নির্মাণ করা হয়। ওই স্লুইস গেটের পানি নিষ্কাশনের জন্য ২০১৫ সালে খালগোড়া বাজার ও দক্ষিণ কাজির হাওলা গ্রামের মাঝ দিয়ে খাল খননে দুই পারের মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ফলে ৬ বছর ধরে তিন কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প পথ দিয়ে দুইপারের মানুষের যোগাযোগ হতো। এর ফলে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাত দক্ষিণ কাজির হাওলা গ্রামের ১০ হাজারের বেশি মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, পূর্বপারে অবস্থিত দক্ষিণ কাজির হাওলা গ্রামের মানুষ পশ্চিম পারের খালগোড়া বাজার কিংবা উপজেলা সদরসহ যে কোনো প্রান্তে যেতে বাধা ছিল স্লুইসের খালটি। শুধু তাই নয়, পার্শ্ববর্তী গন্ডাদুলা গ্রামের মানুষও এই পথ দিয়ে চলাচল করতে না পেরে দুর্ভোগে ছিল। সেই দুর্ভোগ লাঘব করতে নিজেদের অর্থায়নে কাঠের সেতু নির্মাণ করেছেন গ্রামবাসী।
তাদের দাবি, এই কাঠের সেতু স্থায়ী নয়। তাই খালে সরকারিভাবে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী মো. মিজানুল কবির বলেন, সরকারিভাবে সেতু নির্মাণের মাধ্যমে দুই পারের মানুষের যোগাযোগের স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।