আগুনে পথের ফকির জুলহাস
রোববার দিবাগত রাত ১টা। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শোবার ঘরে অঘোরে ঘুমাচ্ছিলেন পেশায় দিনমজুর জুলহাস হোসেন। হটাৎই আশেপাশের বাড়ির সবার চিৎকার-চেঁচামেচিতে ঘুম ভাঙ্গে তার। উঠে দেখেন তার অন্য দুটি বসত ঘর, গোয়াল ঘর ও রান্না ঘরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে।
স্ত্রী-সন্তানকে নিরাপদ স্থানে সরাতে পারলেও মুহূর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে চারিদিক। এতে তার দুটি গরু, চারটি ছাগল, ধান-চাউল, আসবাবপত্রসহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায় নিমেষেই। চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না জুলহাস হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যদের।
এমনই এক ভয়াবহ এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে পাবনার চাটমোহর উপজেলার পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে।
জুলহাস হোসেন ওই গ্রামের কাবিল হোসেনের ছেলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নেভায় চাটমোহর ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা। তবে আগুন নেভানো গেলেও মুহূর্তেই পথের ফকির হয়ে যান জুলহাস হোসেন। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বলে সবার ধারণা।
এদিকে খবর পেয়ে সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈকত ইসলাম। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক শুকনো খাবার ও কম্বল তুলে দেন। এছাড়া পরবর্তীতে সরকারি অনুদানের ব্যাপারেও আশ্বাস দেন।
ঘটনার ব্যাপারে চাটমোহর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার মইনুর রহমান যুগান্তরকে জানান, মূলত বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে বলে ধারণা করছি। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানো গেছে। তবে পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
আগুনে পথের ফকির জুলহাস
রোববার দিবাগত রাত ১টা। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শোবার ঘরে অঘোরে ঘুমাচ্ছিলেন পেশায় দিনমজুর জুলহাস হোসেন। হটাৎই আশেপাশের বাড়ির সবার চিৎকার-চেঁচামেচিতে ঘুম ভাঙ্গে তার। উঠে দেখেন তার অন্য দুটি বসত ঘর, গোয়াল ঘর ও রান্না ঘরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে।
স্ত্রী-সন্তানকে নিরাপদ স্থানে সরাতে পারলেও মুহূর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে চারিদিক। এতে তার দুটি গরু, চারটি ছাগল, ধান-চাউল, আসবাবপত্রসহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায় নিমেষেই। চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না জুলহাস হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যদের।
এমনই এক ভয়াবহ এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে পাবনার চাটমোহর উপজেলার পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে।
জুলহাস হোসেন ওই গ্রামের কাবিল হোসেনের ছেলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নেভায় চাটমোহর ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা। তবে আগুন নেভানো গেলেও মুহূর্তেই পথের ফকির হয়ে যান জুলহাস হোসেন। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বলে সবার ধারণা।
এদিকে খবর পেয়ে সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈকত ইসলাম। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক শুকনো খাবার ও কম্বল তুলে দেন। এছাড়া পরবর্তীতে সরকারি অনুদানের ব্যাপারেও আশ্বাস দেন।
ঘটনার ব্যাপারে চাটমোহর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার মইনুর রহমান যুগান্তরকে জানান, মূলত বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে বলে ধারণা করছি। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানো গেছে। তবে পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।