প্রাথমিকের উপবৃত্তির টাকা প্রতারক চক্রের পকেটে
ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
০৩ মার্চ ২০২১, ২০:৪৮:৫৯ | অনলাইন সংস্করণ
প্রাথমিকের উপবৃত্তির টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায়। গত দুই দিন উপজেলার গজারমারা, বোয়ালিয়া, মেন্দা খালপাট, পারভাঙ্গুড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবকের কাছ থেকে একই অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিভাবকেরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকদের জানিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সেলিম রেজা।
তিনি জানান, প্রতারক চক্রটি শিক্ষক পরিচয়ে প্রতারণা করায় স্বাভাবিকভাবে অভিভাবকরা বিষয়টি বুঝতে পারেননি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে এবং অভিভাবকদের এ বিষয়ে সচেতন করতে কাজ শুরু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জরুরি সভা ডাকা হয়েছে সেখানে শিক্ষকদের নিজ নিজ এলাকার অভিভাবকদের এ বিষয়ে সচেতন করার নির্দেশ দেয়া হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভাঙ্গুড়া উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আওতায় থাকা ১২ হাজার ৬৮৬ জনের উপবৃত্তির টাকা মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা নগদের মাধ্যমে পাঠানো হয়। এরপর যাদের মোবাইলে নগদ চালু ছিল না শিক্ষকরা তাদের নগদ চালু করার নিয়ম শিখিয়ে দেন। এরই সুযোগ নেয় একটি প্রতারক চক্র।
তারা অভিভাবকদের ফোনে শিক্ষক পরিচয়ে ফোন করে। তাদের জানানো হয়- উপবৃত্তির টাকা নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে কম পাঠানো হয়েছে। বাকি টাকা সমন্বয় করা হবে বলে কৌশলে ধাপে ধাপে নগদ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ট্রান্সফার করে নেয় এই চক্রটি। ফলে যখন অভিভাবকরা টাকা তুলতে নগদ এজেন্ট পয়েন্টে গিয়ে বুঝতে পারেন তাদের টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৯ জন অভিভাবক প্রতারিত হওয়ার খোঁজ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী অভিভাবক সামাদ জানান, তার কাছে প্রাথমিকের একজন শিক্ষকের পরিচয়ে ফোন করা হয়। তাকে কম টাকা পাঠানোর কথা জানানো হয়। ওই টাকা সমন্বয় করার কথা বলে তার ফোনে আসা ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) জেনে নেয় সে। পরে নগদ এজেন্ট সেন্টারে গিয়ে টাকা উত্তোলনের সময় সে বুঝতে পারে তার টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রাথমিকের উপবৃত্তির টাকা প্রতারক চক্রের পকেটে
প্রাথমিকের উপবৃত্তির টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায়। গত দুই দিন উপজেলার গজারমারা, বোয়ালিয়া, মেন্দা খালপাট, পারভাঙ্গুড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবকের কাছ থেকে একই অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিভাবকেরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকদের জানিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সেলিম রেজা।
তিনি জানান, প্রতারক চক্রটি শিক্ষক পরিচয়ে প্রতারণা করায় স্বাভাবিকভাবে অভিভাবকরা বিষয়টি বুঝতে পারেননি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে এবং অভিভাবকদের এ বিষয়ে সচেতন করতে কাজ শুরু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জরুরি সভা ডাকা হয়েছে সেখানে শিক্ষকদের নিজ নিজ এলাকার অভিভাবকদের এ বিষয়ে সচেতন করার নির্দেশ দেয়া হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভাঙ্গুড়া উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আওতায় থাকা ১২ হাজার ৬৮৬ জনের উপবৃত্তির টাকা মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা নগদের মাধ্যমে পাঠানো হয়। এরপর যাদের মোবাইলে নগদ চালু ছিল না শিক্ষকরা তাদের নগদ চালু করার নিয়ম শিখিয়ে দেন। এরই সুযোগ নেয় একটি প্রতারক চক্র।
তারা অভিভাবকদের ফোনে শিক্ষক পরিচয়ে ফোন করে। তাদের জানানো হয়- উপবৃত্তির টাকা নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে কম পাঠানো হয়েছে। বাকি টাকা সমন্বয় করা হবে বলে কৌশলে ধাপে ধাপে নগদ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ট্রান্সফার করে নেয় এই চক্রটি। ফলে যখন অভিভাবকরা টাকা তুলতে নগদ এজেন্ট পয়েন্টে গিয়ে বুঝতে পারেন তাদের টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৯ জন অভিভাবক প্রতারিত হওয়ার খোঁজ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী অভিভাবক সামাদ জানান, তার কাছে প্রাথমিকের একজন শিক্ষকের পরিচয়ে ফোন করা হয়। তাকে কম টাকা পাঠানোর কথা জানানো হয়। ওই টাকা সমন্বয় করার কথা বলে তার ফোনে আসা ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) জেনে নেয় সে। পরে নগদ এজেন্ট সেন্টারে গিয়ে টাকা উত্তোলনের সময় সে বুঝতে পারে তার টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে।