বিবস্ত্র করে নারী নির্যাতন: দেলোয়ারসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন
কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
২৪ মার্চ ২০২১, ১৫:০৯:০০ | অনলাইন সংস্করণ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুরে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় করা মামলায় দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেছেন আদালত। এ সময় অপর আসামি মোয়াজ্জেম হোসেন প্রকাশ সোহাগ মেম্বারকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
বুধবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১-এর বিচারক জয়নাল আবেদীন শুনানি শেষে এ আদেশ প্রদান করেন।
আসামিরা হলো— নূর হোসেন বাদল, আবদুর রহিম, মো. আলী প্রকাশ আবুল কালাম, ইস্রাফিল হোসেন মিয়া, মাঈন উদ্দিন সাজু, সামছুদ্দিন সুমন, আবদুর রব চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান আরিফ, জামাল উদ্দিন, নূর হোসেন রাসেল, মিজানুর রহমান তারেক, আনোয়ার হোসেন সোহাগ ও দেলোয়ার হোসেন দেলু।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১-এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পি.পি) মামুনুর রশীদ লাভলু আদালতের সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুনানিকালে চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে ৯ জন আদালতে উপস্থিত ছিল। অপর আসামিদের মধ্যে চারজন পলাতক রয়েছে।
এর আগে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর এ মামলায় ১৪ আসামির বিরুদ্ধে পিবিআই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একই বছরের ৫ অক্টোবর নির্যাতিত নারী বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলাটি করেন।
প্রসঙ্গত গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই নারীর আগের স্বামী তার সঙ্গে দেখা করতে তার বাবার বাড়ি একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে এসে তাদের ঘরে ঢুকেন। বিষয়টি দেখে ফেলে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার।
রাত ১০টার দিকে দেলোয়ার তার লোকজন নিয়ে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে পরপুরুষের সঙ্গে অনৈতিক কাজ ও তাদের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে পিটিয়ে নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে।
গত ৪ অক্টোবর দুপুরে ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জেলায় তথা দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
এর আগে আবুল কালামের সহযোগিতায় গৃহবধূর বাড়িতে ও বিলে নিয়ে নৌকার মধ্যে ওই গৃহবধূকে একাধিকবার ধর্ষণ করে দেলোয়ার। এ ঘটনায় গৃহবধূ বাদী হয়ে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, পর্নোগ্রাফি ও ধর্ষণের ঘটনায় দেলোয়ারের বিরুদ্ধে মোট তিনটি মামলা করেন। ৬ অক্টোবর ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় দেলোয়ার ও আবুল কালামকে আসামি করা হয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বিবস্ত্র করে নারী নির্যাতন: দেলোয়ারসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুরে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় করা মামলায় দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেছেন আদালত। এ সময় অপর আসামি মোয়াজ্জেম হোসেন প্রকাশ সোহাগ মেম্বারকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
বুধবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১-এর বিচারক জয়নাল আবেদীন শুনানি শেষে এ আদেশ প্রদান করেন।
আসামিরা হলো— নূর হোসেন বাদল, আবদুর রহিম, মো. আলী প্রকাশ আবুল কালাম, ইস্রাফিল হোসেন মিয়া, মাঈন উদ্দিন সাজু, সামছুদ্দিন সুমন, আবদুর রব চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান আরিফ, জামাল উদ্দিন, নূর হোসেন রাসেল, মিজানুর রহমান তারেক, আনোয়ার হোসেন সোহাগ ও দেলোয়ার হোসেন দেলু।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১-এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পি.পি) মামুনুর রশীদ লাভলু আদালতের সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুনানিকালে চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে ৯ জন আদালতে উপস্থিত ছিল। অপর আসামিদের মধ্যে চারজন পলাতক রয়েছে।
এর আগে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর এ মামলায় ১৪ আসামির বিরুদ্ধে পিবিআই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একই বছরের ৫ অক্টোবর নির্যাতিত নারী বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলাটি করেন।
প্রসঙ্গত গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই নারীর আগের স্বামী তার সঙ্গে দেখা করতে তার বাবার বাড়ি একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে এসে তাদের ঘরে ঢুকেন। বিষয়টি দেখে ফেলে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার।
রাত ১০টার দিকে দেলোয়ার তার লোকজন নিয়ে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে পরপুরুষের সঙ্গে অনৈতিক কাজ ও তাদের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে পিটিয়ে নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে।
গত ৪ অক্টোবর দুপুরে ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জেলায় তথা দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
এর আগে আবুল কালামের সহযোগিতায় গৃহবধূর বাড়িতে ও বিলে নিয়ে নৌকার মধ্যে ওই গৃহবধূকে একাধিকবার ধর্ষণ করে দেলোয়ার। এ ঘটনায় গৃহবধূ বাদী হয়ে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, পর্নোগ্রাফি ও ধর্ষণের ঘটনায় দেলোয়ারের বিরুদ্ধে মোট তিনটি মামলা করেন। ৬ অক্টোবর ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় দেলোয়ার ও আবুল কালামকে আসামি করা হয়।