নারায়ণগঞ্জে পিটিয়ে সাংবাদিকের দাঁত ভেঙে দিল মামুনুল হকের অনুসারীরা
যুগান্তর প্রতিবেদন,নারায়ণগঞ্জ
০৭ এপ্রিল ২০২১, ০০:২০:৫৮ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে নারীসহ হেফাজত নেতা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করার ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করতে যাওয়া এক স্থানীয় সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে তার অনুসারীরা।
এসময় ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর, পিটিয়ে আহত ও লাঞ্ছিত করা হয় ওই সাংবাদিককে।
সোমবার রাতে সোনারগাঁও উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের নাজিরপুর ভান্টি চর এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এসময় মামুনুল হকের অনুসারীরা চ্যানেল এস নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সোনারগাঁও প্রতিনিধি হাবিবুর রহমানকে মারধর করে ঘরের বাইরে নিয়ে আসে।
পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষমা চাইতে বলে মামুনুলের কাছে। সেই ভিডিওটি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ভাইরাল।
ভিডিওতে দেখা গেছে, মামুনুলের অনুসারীরা সাংবাদিক হাবিবকে লাঞ্ছিত করছে।
তাদের মধ্যে একজন বলছে, হুজুরের (মামুনুল হক) কাছে মাফ চাইতে হবে, হুজুর যাতে আপনাকে ক্ষমা করে দেয় এ জন্য। আরেকজন বলছেন, আপনি বলবেন, হুজুর (মামুনুলহক) কাছে আমি ক্ষমা চাই। সাংবাদিক হিসেবে সেখানে গিয়ে ভুল করেছি। আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।
তাদের কথা মতো ক্ষমা না চাওয়ায় সাংবাদিক হাবিবকে টেনে হিচঁরে মারধর করে সড়কের পাশে নিয়ে যায়।
সেখানে কয়েক দফায় মারধর করে হাবিবের দাঁত ভেঙে ফেলে। এসময় ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে পুলিশকে খবর দেন সাংবাদিক হাবিবের ছোটভাই মোফাজ্জল হোসেন।
মোফাজ্জল জানান, বড়ভাই হাবিব ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে নয়টার দিকে হেফাজতের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা করে। তারা ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে। টেনে হিঁচরে ঘরের বাইরে নিয়ে যায় ভাইকে।
তিনি আরও জানায়, মামুনুল হকের বাহিনী কয়েক দফায় লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে আমার ভাই হাবিবকে। মারধর করে তার দাঁত ভেঙে ফেলেছে। তাদের কাছ থেকে ভাইকে বাঁচাতে না পেরে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে পুলিশকে খবর দেই। কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে তাদের কাছ থেকে ভাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মারধরের শিকার সাংবাদিক হাবিব।
হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমি ক্ষমা না চাওয়ার কারণে তাঁরা আমাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেন, আমার বাড়িঘর ভাঙচুর করে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে চলে যান।’
এ ঘটনায় সাংবাদিককে দেখতে হাসপাতালে যান সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
নারায়ণগঞ্জে পিটিয়ে সাংবাদিকের দাঁত ভেঙে দিল মামুনুল হকের অনুসারীরা
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে নারীসহ হেফাজত নেতা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করার ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করতে যাওয়া এক স্থানীয় সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে তার অনুসারীরা।
এসময় ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর, পিটিয়ে আহত ও লাঞ্ছিত করা হয় ওই সাংবাদিককে।
সোমবার রাতে সোনারগাঁও উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের নাজিরপুর ভান্টি চর এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এসময় মামুনুল হকের অনুসারীরা চ্যানেল এস নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সোনারগাঁও প্রতিনিধি হাবিবুর রহমানকে মারধর করে ঘরের বাইরে নিয়ে আসে।
পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষমা চাইতে বলে মামুনুলের কাছে। সেই ভিডিওটি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ভাইরাল।
ভিডিওতে দেখা গেছে, মামুনুলের অনুসারীরা সাংবাদিক হাবিবকে লাঞ্ছিত করছে।
তাদের মধ্যে একজন বলছে, হুজুরের (মামুনুল হক) কাছে মাফ চাইতে হবে, হুজুর যাতে আপনাকে ক্ষমা করে দেয় এ জন্য। আরেকজন বলছেন, আপনি বলবেন, হুজুর (মামুনুলহক) কাছে আমি ক্ষমা চাই। সাংবাদিক হিসেবে সেখানে গিয়ে ভুল করেছি। আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।
তাদের কথা মতো ক্ষমা না চাওয়ায় সাংবাদিক হাবিবকে টেনে হিচঁরে মারধর করে সড়কের পাশে নিয়ে যায়।
সেখানে কয়েক দফায় মারধর করে হাবিবের দাঁত ভেঙে ফেলে। এসময় ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে পুলিশকে খবর দেন সাংবাদিক হাবিবের ছোটভাই মোফাজ্জল হোসেন।
মোফাজ্জল জানান, বড়ভাই হাবিব ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে নয়টার দিকে হেফাজতের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা করে। তারা ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে। টেনে হিঁচরে ঘরের বাইরে নিয়ে যায় ভাইকে।
তিনি আরও জানায়, মামুনুল হকের বাহিনী কয়েক দফায় লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে আমার ভাই হাবিবকে। মারধর করে তার দাঁত ভেঙে ফেলেছে। তাদের কাছ থেকে ভাইকে বাঁচাতে না পেরে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে পুলিশকে খবর দেই। কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে তাদের কাছ থেকে ভাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মারধরের শিকার সাংবাদিক হাবিব।
হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমি ক্ষমা না চাওয়ার কারণে তাঁরা আমাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেন, আমার বাড়িঘর ভাঙচুর করে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে চলে যান।’
এ ঘটনায় সাংবাদিককে দেখতে হাসপাতালে যান সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।