চাপাতি এগিয়ে দিলেন মা, দুই ভাই মিলে খুন করলেন প্রবাসীকে
যুগান্তর প্রতিবেদন
০৩ জুন ২০২১, ০১:৪৪:১০ | অনলাইন সংস্করণ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের গোপালপুর ইউনিয়নে ফজলুল করিম সোহেল (৩২) নামের এক প্রবাসীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলায় আহত হয়েছেন তার দুই ভাই।
বুধবার রাত সোয়া ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাইজদীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান সোহেল।
এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় গোপালপুর ২নং ওয়ার্ডে নিজ বাড়িতে হামলার শিকার হন সোহেল।
সোহেল ও আহত আলী হোসেন (৪২) ও নূর হোসেন (৩৮) ওই ওয়ার্ডের আতার বাড়ির আবু তাহেরের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, করোনার সময় লেবানন থেকে বাংলাদেশে আসেন প্রবাসী সোহেল। মঙ্গলবার রাতে বৃষ্টির সময় পুকুর থেকে মাছ উঠে। এ সময় নিজ বাড়ির পুকুরের পাশের একটি বাঁশের ঝোপের মধ্যে মাছ ধরতে যান তিনি।
বিষয়টি দেখতে পেয়ে সোহেলকে মাছ ধরতে বাধা দেন একই বাড়ির জয়নাল আবেদিনের ছেলে মহিন উদ্দিন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে যান মহিনের ভাই মনির হোসেন। এরপর দুই ভাই মিলে সোহেলকে মারতে শুরু করেন। পরে তাদের মা রোকেয়া বেগম ঘর থেকে একটি চাপাতি নিয়ে ছেলেদের দিলে ওই চাপাতি দিয়ে সোহেলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন তারা।
খবর পেয়ে সোহেলকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে আলী হোসেন ও নূর হোসেনকেও পিটিয়ে জখম করেন হামলাকারীরা।
নিহতের স্বজনরা জানান, ঘটনাস্থল থেকে রাতে সোহেলকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসা না পাওয়ায় তাকে মাইজদীর নোয়াখালী প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করলে বুধবার রাত সোয়া ৮টার দিকে মারা যান তিনি।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামান সিকদার যুগান্তরকে বলেন, মারামারির ঘটনায় নিহত সোহেলের পরিবারের পক্ষ থেকে বুধবার বিকালে একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
চাপাতি এগিয়ে দিলেন মা, দুই ভাই মিলে খুন করলেন প্রবাসীকে
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের গোপালপুর ইউনিয়নে ফজলুল করিম সোহেল (৩২) নামের এক প্রবাসীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলায় আহত হয়েছেন তার দুই ভাই।
বুধবার রাত সোয়া ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাইজদীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান সোহেল।
এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় গোপালপুর ২নং ওয়ার্ডে নিজ বাড়িতে হামলার শিকার হন সোহেল।
সোহেল ও আহত আলী হোসেন (৪২) ও নূর হোসেন (৩৮) ওই ওয়ার্ডের আতার বাড়ির আবু তাহেরের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, করোনার সময় লেবানন থেকে বাংলাদেশে আসেন প্রবাসী সোহেল। মঙ্গলবার রাতে বৃষ্টির সময় পুকুর থেকে মাছ উঠে। এ সময় নিজ বাড়ির পুকুরের পাশের একটি বাঁশের ঝোপের মধ্যে মাছ ধরতে যান তিনি।
বিষয়টি দেখতে পেয়ে সোহেলকে মাছ ধরতে বাধা দেন একই বাড়ির জয়নাল আবেদিনের ছেলে মহিন উদ্দিন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে যান মহিনের ভাই মনির হোসেন। এরপর দুই ভাই মিলে সোহেলকে মারতে শুরু করেন। পরে তাদের মা রোকেয়া বেগম ঘর থেকে একটি চাপাতি নিয়ে ছেলেদের দিলে ওই চাপাতি দিয়ে সোহেলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন তারা।
খবর পেয়ে সোহেলকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে আলী হোসেন ও নূর হোসেনকেও পিটিয়ে জখম করেন হামলাকারীরা।
নিহতের স্বজনরা জানান, ঘটনাস্থল থেকে রাতে সোহেলকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসা না পাওয়ায় তাকে মাইজদীর নোয়াখালী প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করলে বুধবার রাত সোয়া ৮টার দিকে মারা যান তিনি।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামান সিকদার যুগান্তরকে বলেন, মারামারির ঘটনায় নিহত সোহেলের পরিবারের পক্ষ থেকে বুধবার বিকালে একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।