নোয়াখালীর সেই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, পিবিআইয়ের চার্জশিট
নোয়াখালী প্রতিনিধি
১৯ জুন ২০২১, ১৫:০৪:০৫ | অনলাইন সংস্করণ
২০২০ সালে দেশ বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টিকারী জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন। মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে ভাইরাল করার ঘটনায় পর্ণোগ্রাফি আইনে দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শনিবার সকালে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৩নং আমলি আদালতের সহকারী রেকর্ড অফিসার (জিআরও) মো. সোহেল জানান, সকালে সরকারি জিআরও কার্যালয়ে চাজশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক মোস্তাফিজুর। আদালতের পরিদর্শকরা চার্জশিট ও রেকর্ডপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রোববার আদালতে উত্থাপন করা হবে। এরপর আদালত পরবর্তী আদেশ দেবেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ২০২০ সালে বেগমগঞ্জের একলাসপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে স্থানীয় সন্ত্রাসী দেলোয়ার বাহিনী স্বামীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। সন্ত্রাসীরা ধর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়ে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে বেদম প্রহার করে।
বিবস্ত্র অবস্থায় প্রহারের দৃশ্য ধারন করা হয়। পরবর্তীতে প্রহারে আহত নারী চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে জেলা সদরে বোনের বাসায় পালিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা বোনের বাসায় গিয়ে গৃহবধূর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা ও তাদের সঙ্গে কুকাজের পরামর্শ দেয়। গৃহবধূ রাজি না হওয়ায় সন্ত্রাসীরা ধারনকৃত ভিডিও ভাইরাল করে দেয়।
এ ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর নোয়াখালীসহ সারা দেশ প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে। তখন নারী নির্যাতন মামলার পাশাপাশি বেগমগঞ্জ থানায় গৃহবধূ পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ইস্রাফিল, শামছু উদ্দিনসহ সাতজনের নামে মামলা দায়ের করলে মামলাটি পিবিআই তদন্ত গ্রহণ করে।
তদন্ত শেষে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ইস্রাফিল, শামছুউদ্দিন ও এজাহার বহির্ভূত নুর হোসেন রাসেল ও জামাল উদ্দিন ওরফে প্রবাসী জামালের বিরুদ্ধে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ৩নং আমলি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তদন্তে কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ না পাওয়ায় এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে আবেদন করেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
নোয়াখালীর সেই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, পিবিআইয়ের চার্জশিট
২০২০ সালে দেশ বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টিকারী জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন। মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে ভাইরাল করার ঘটনায় পর্ণোগ্রাফি আইনে দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শনিবার সকালে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৩নং আমলি আদালতের সহকারী রেকর্ড অফিসার (জিআরও) মো. সোহেল জানান, সকালে সরকারি জিআরও কার্যালয়ে চাজশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক মোস্তাফিজুর। আদালতের পরিদর্শকরা চার্জশিট ও রেকর্ডপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রোববার আদালতে উত্থাপন করা হবে। এরপর আদালত পরবর্তী আদেশ দেবেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ২০২০ সালে বেগমগঞ্জের একলাসপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে স্থানীয় সন্ত্রাসী দেলোয়ার বাহিনী স্বামীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। সন্ত্রাসীরা ধর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়ে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে বেদম প্রহার করে।
বিবস্ত্র অবস্থায় প্রহারের দৃশ্য ধারন করা হয়। পরবর্তীতে প্রহারে আহত নারী চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে জেলা সদরে বোনের বাসায় পালিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা বোনের বাসায় গিয়ে গৃহবধূর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা ও তাদের সঙ্গে কুকাজের পরামর্শ দেয়। গৃহবধূ রাজি না হওয়ায় সন্ত্রাসীরা ধারনকৃত ভিডিও ভাইরাল করে দেয়।
এ ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর নোয়াখালীসহ সারা দেশ প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে। তখন নারী নির্যাতন মামলার পাশাপাশি বেগমগঞ্জ থানায় গৃহবধূ পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ইস্রাফিল, শামছু উদ্দিনসহ সাতজনের নামে মামলা দায়ের করলে মামলাটি পিবিআই তদন্ত গ্রহণ করে।
তদন্ত শেষে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ইস্রাফিল, শামছুউদ্দিন ও এজাহার বহির্ভূত নুর হোসেন রাসেল ও জামাল উদ্দিন ওরফে প্রবাসী জামালের বিরুদ্ধে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ৩নং আমলি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তদন্তে কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ না পাওয়ায় এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে আবেদন করেন।