ওলামায়ে কেরামসহ হেফাজত নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি বাবুনগরীর
হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
২৭ জুন ২০২১, ২২:২৮:৩৮ | অনলাইন সংস্করণ
দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরামসহ গ্রেফতারকৃত হেফাজতের সব নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি চেয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর ও হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে আমীরে হেফাজত বলেন, বিনাদোষে আজ দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরাম জেলখানায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। গ্রেফতারকৃত ওলামায়ে কেরামের মধ্যে অনেকেই বয়োবৃদ্ধ ও শারীরিকভাবে অসুস্থ। জেলেখানার কষ্ট সহ্য করতে না পেরে মাওলানা জুনায়েদ আল-হাবীবসহ অনেক ওলামায়ে কেরাম অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে খবর পেয়েছি। মানবিক বিবেচনায় গ্রেফতারকৃত সব নেতাকর্মীর আশু নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে কওমি মাদ্রাসা খুলে দিন।
আল্লামা বাবুনগরী বলেন, আমি নিজেও অসুস্থ। হেফাজতের ২০১৩ সালের নাস্তিক মুরতাদবিরোধী আন্দোলনে গ্রেফতার হয়ে রিমান্ডের পর থেকেই আমি অসুস্থ। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগসহ উচ্চতর ডায়াবেটিস, প্রেশার ইত্যাদি রোগে ভুগছি। তিন বেলায় দৈনিক আমার অর্ধশত ট্যাবলেট খেতে হয় এবং ইনসুলিন নিতে হয়। খাদেমদের সহযোগিতা ছাড়া একাকী চলাফেরা করতে পারি না। আমার ব্যক্তিগত খাদেম (সেবক) মাওলানা এনামুল হাসান ফারুকীকেও সম্পূর্ণ বিনাদোষে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে জেলে আটক থাকায় ওষুধ সেবনসহ নানা কাজে আমি যারপরনাই কষ্ট পাচ্ছি। শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের সঙ্গে আমার সেবক এনামুল হাসানেরও মুক্তি চাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ওলামায়ে কেরামের সঙ্গে সর্বস্তরের মানুষের আত্মার সম্পর্ক রয়েছে। সমাজের সবার কাছে শ্রদ্ধার পাত্র ওলামায়ে কেরাম। আজ দীর্ঘদিন ধরে মিথ্যা মামলায় ওলামায়ে কেরাম জেলে আটক থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। এ ক্ষোভের বিস্ফোরণ হলে এর দায় সরকারের ওপরই বর্তাবে।
অতিসত্বর দেশের সব কওমি মাদ্রাসা খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আমীরে হেফাজত আল্লামা বাবুনগরী বলেন, কওমি মাদ্রাসায় দিনরাত কোরআন তিলাওয়াত করা হয়। কওমি মাদ্রাসায় রসূলের হাদিসের পাঠদান করা হয়। খতমে বুখারি,খতমে জালালিসহ বিভিন্ন দোয়া দরূদ ও জিকির করা হয়। মাদ্রাসাগুলো চালু থাকলে কোরআন-হাদিসের বরকতে করোনাভাইরাসসহ যাবতীয় বালা মুসিবত দূর হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
তাই অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে দেশের সব কওমি মাদ্রাসা খুলে দিতে এবং সব নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দিতে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান আল্লামা বাবুনগরী।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওলামায়ে কেরামসহ হেফাজত নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি বাবুনগরীর
দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরামসহ গ্রেফতারকৃত হেফাজতের সব নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি চেয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর ও হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে আমীরে হেফাজত বলেন, বিনাদোষে আজ দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরাম জেলখানায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। গ্রেফতারকৃত ওলামায়ে কেরামের মধ্যে অনেকেই বয়োবৃদ্ধ ও শারীরিকভাবে অসুস্থ। জেলেখানার কষ্ট সহ্য করতে না পেরে মাওলানা জুনায়েদ আল-হাবীবসহ অনেক ওলামায়ে কেরাম অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে খবর পেয়েছি। মানবিক বিবেচনায় গ্রেফতারকৃত সব নেতাকর্মীর আশু নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে কওমি মাদ্রাসা খুলে দিন।
আল্লামা বাবুনগরী বলেন, আমি নিজেও অসুস্থ। হেফাজতের ২০১৩ সালের নাস্তিক মুরতাদবিরোধী আন্দোলনে গ্রেফতার হয়ে রিমান্ডের পর থেকেই আমি অসুস্থ। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগসহ উচ্চতর ডায়াবেটিস, প্রেশার ইত্যাদি রোগে ভুগছি। তিন বেলায় দৈনিক আমার অর্ধশত ট্যাবলেট খেতে হয় এবং ইনসুলিন নিতে হয়। খাদেমদের সহযোগিতা ছাড়া একাকী চলাফেরা করতে পারি না। আমার ব্যক্তিগত খাদেম (সেবক) মাওলানা এনামুল হাসান ফারুকীকেও সম্পূর্ণ বিনাদোষে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে জেলে আটক থাকায় ওষুধ সেবনসহ নানা কাজে আমি যারপরনাই কষ্ট পাচ্ছি। শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের সঙ্গে আমার সেবক এনামুল হাসানেরও মুক্তি চাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ওলামায়ে কেরামের সঙ্গে সর্বস্তরের মানুষের আত্মার সম্পর্ক রয়েছে। সমাজের সবার কাছে শ্রদ্ধার পাত্র ওলামায়ে কেরাম। আজ দীর্ঘদিন ধরে মিথ্যা মামলায় ওলামায়ে কেরাম জেলে আটক থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। এ ক্ষোভের বিস্ফোরণ হলে এর দায় সরকারের ওপরই বর্তাবে।
অতিসত্বর দেশের সব কওমি মাদ্রাসা খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আমীরে হেফাজত আল্লামা বাবুনগরী বলেন, কওমি মাদ্রাসায় দিনরাত কোরআন তিলাওয়াত করা হয়। কওমি মাদ্রাসায় রসূলের হাদিসের পাঠদান করা হয়। খতমে বুখারি,খতমে জালালিসহ বিভিন্ন দোয়া দরূদ ও জিকির করা হয়। মাদ্রাসাগুলো চালু থাকলে কোরআন-হাদিসের বরকতে করোনাভাইরাসসহ যাবতীয় বালা মুসিবত দূর হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
তাই অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে দেশের সব কওমি মাদ্রাসা খুলে দিতে এবং সব নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দিতে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান আল্লামা বাবুনগরী।