ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া সেই দুধনেহেরের বাড়িতে ইউএনও
মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
২৬ জুলাই ২০২১, ১৮:২১:৩৮ | অনলাইন সংস্করণ
কুমিল্লার মুরাদনগরে ১১৫ বছর বয়সের দুধনেহের নামে এক বৃদ্ধা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বিষয়টি স্থানীয় এক সংবাদকর্মীর ফেসবুক স্ট্যাটাসে সোমবার ভাইরাল হয়।
সেই স্ট্যাটাসটি মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশের দৃষ্টিগোচর হলে দুপুরে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে তার বাড়িতে হাজির হন তিনি।
জানা যায়, উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের পদুয়া গ্রামের হতদরিদ্র ১১৫ বছরের দুধনেহের বেগম তিন সন্তানের জননী। দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ, তার মাঝে এই করোনার মহামারিতে অভাবের সংসারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন শতবর্ষী এই বৃদ্ধা।
প্রায় ৫০ বছর আগে দুধনেহেরের স্বামী মারা যান। ভিটেমাটি ছাড়া ছিল না কোনো সম্বল। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই অভাবের সংসারের হাল ধরেন দুধনেহের।
দুধনেহেরের ছেলে আব্দুল হালিম জানান, বাবার মৃত্যুর পর থেকে অন্যের বাড়িতে কাজ করে মা আমাকে ও দুই বোনকে বড় করেছেন। তাদের বিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে একটি জরাজীর্ণ ঘরের মধ্যে বসবাস করি আমরা। সামান্য বৃষ্টিতে ঘরের ভিতরে পানি পড়ে। নেই কোন নিজস্ব টিউবওয়েল ও বাথরুম। করোনাভাইরাসের কারণে কোনো কাজে যেতে পারি না, তার মাঝে মা অসুস্থ। এ সময়ে খেয়ে বাঁচতে পারি না মায়ের চিকিৎসা করাব কীভাবে।
তিনি জানান, মা তিন মাস পরপর যে বয়স্ক ভাতার টাকা পান তা দিয়ে উনার এক মাসের ওষুধ কেনা যায় না। এ অবস্থায় সমাজের বিত্তবান মানুষের সহযোগিতা আমাদের একান্ত কাম্য।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারি ওই দরিদ্র পরিবারের বিষয়ে। তারপর তার বাড়িতে নিজে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে কিছু খাদ্যসামগ্রী তাদের হাতে তুলে দেই। আগামীতে উপজেলা প্রশাসন থেকে তার ও তার পরিবারের জন্য স্থায়ীভাবে কী করা যায় সেটা দেখব। আর তার প্রতি আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া সেই দুধনেহেরের বাড়িতে ইউএনও
কুমিল্লার মুরাদনগরে ১১৫ বছর বয়সের দুধনেহের নামে এক বৃদ্ধা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বিষয়টি স্থানীয় এক সংবাদকর্মীর ফেসবুক স্ট্যাটাসে সোমবার ভাইরাল হয়।
সেই স্ট্যাটাসটি মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশের দৃষ্টিগোচর হলে দুপুরে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে তার বাড়িতে হাজির হন তিনি।
জানা যায়, উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের পদুয়া গ্রামের হতদরিদ্র ১১৫ বছরের দুধনেহের বেগম তিন সন্তানের জননী। দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ, তার মাঝে এই করোনার মহামারিতে অভাবের সংসারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন শতবর্ষী এই বৃদ্ধা।
প্রায় ৫০ বছর আগে দুধনেহেরের স্বামী মারা যান। ভিটেমাটি ছাড়া ছিল না কোনো সম্বল। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই অভাবের সংসারের হাল ধরেন দুধনেহের।
দুধনেহেরের ছেলে আব্দুল হালিম জানান, বাবার মৃত্যুর পর থেকে অন্যের বাড়িতে কাজ করে মা আমাকে ও দুই বোনকে বড় করেছেন। তাদের বিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে একটি জরাজীর্ণ ঘরের মধ্যে বসবাস করি আমরা। সামান্য বৃষ্টিতে ঘরের ভিতরে পানি পড়ে। নেই কোন নিজস্ব টিউবওয়েল ও বাথরুম। করোনাভাইরাসের কারণে কোনো কাজে যেতে পারি না, তার মাঝে মা অসুস্থ। এ সময়ে খেয়ে বাঁচতে পারি না মায়ের চিকিৎসা করাব কীভাবে।
তিনি জানান, মা তিন মাস পরপর যে বয়স্ক ভাতার টাকা পান তা দিয়ে উনার এক মাসের ওষুধ কেনা যায় না। এ অবস্থায় সমাজের বিত্তবান মানুষের সহযোগিতা আমাদের একান্ত কাম্য।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারি ওই দরিদ্র পরিবারের বিষয়ে। তারপর তার বাড়িতে নিজে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে কিছু খাদ্যসামগ্রী তাদের হাতে তুলে দেই। আগামীতে উপজেলা প্রশাসন থেকে তার ও তার পরিবারের জন্য স্থায়ীভাবে কী করা যায় সেটা দেখব। আর তার প্রতি আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে।