ভণ্ড কবিরাজের কাণ্ড, প্রাণ গেল প্রতিবন্ধীর
রাজু আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ
৩০ জুলাই ২০২১, ২৩:২৯:০৩ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নে লিপি আক্তার (২৬) নামের এক মানসিক প্রতিবন্ধীকে কবিরাজের নির্দেশ মতে দৈনিক ১০১ বার পানিতে চুবানোয় তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে আলীরটেক ইউনিয়নের কুড়েরপাড় এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় ওই তরুণীর মামাতো ভাই তাওলাদ হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করার পর এ ঘটনায় অভিযুক্ত সৎ পিতা আজহার মিয়া ও ভাই আল-আমিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তবে অভিযুক্ত কবিরাজ সেলিম মিয়া পলাতক আছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ জানায়, লিপি আক্তার মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। তাকে সুস্থ করার জন্য কবিরাজ সেলিম মিয়ার কাছে নিয়ে যান তার সৎ বাবা আজহার আলী ও আপন ভাই আল-আমিন। ওই সময় কবিরাজ সেলিম মিয়া লিপি আক্তারকে নদী বা পুকুরে দৈনিক ১০১ বার করে ডুব দিতে বলেন। পানিতে ডুব দিলেই লিপি সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে জানান কবিরাজ। তাই কবিরাজের কথায় কয়েকদিন ধরে পানিতে চুবাতে থাকেন সৎ বাবা ও ভাই।
বৃহস্পতিবার লিপি আক্তার নিজে যেতে না চাইলে তাকে জোর করে পানিতে নিয়ে চুবাতে শুরু করেন তারা। এক পর্যায়ে লিপি আক্তার মারা যান।
সদর মডেল থানার ওসি মো. শাহ জামান জানান, এ ঘটনায় ওই তরুণীর সৎ পিতা ও ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত কবিরাজ সেলিম মিয়াকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ভণ্ড কবিরাজের কাণ্ড, প্রাণ গেল প্রতিবন্ধীর
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নে লিপি আক্তার (২৬) নামের এক মানসিক প্রতিবন্ধীকে কবিরাজের নির্দেশ মতে দৈনিক ১০১ বার পানিতে চুবানোয় তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে আলীরটেক ইউনিয়নের কুড়েরপাড় এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় ওই তরুণীর মামাতো ভাই তাওলাদ হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করার পর এ ঘটনায় অভিযুক্ত সৎ পিতা আজহার মিয়া ও ভাই আল-আমিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তবে অভিযুক্ত কবিরাজ সেলিম মিয়া পলাতক আছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ জানায়, লিপি আক্তার মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। তাকে সুস্থ করার জন্য কবিরাজ সেলিম মিয়ার কাছে নিয়ে যান তার সৎ বাবা আজহার আলী ও আপন ভাই আল-আমিন। ওই সময় কবিরাজ সেলিম মিয়া লিপি আক্তারকে নদী বা পুকুরে দৈনিক ১০১ বার করে ডুব দিতে বলেন। পানিতে ডুব দিলেই লিপি সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে জানান কবিরাজ। তাই কবিরাজের কথায় কয়েকদিন ধরে পানিতে চুবাতে থাকেন সৎ বাবা ও ভাই।
বৃহস্পতিবার লিপি আক্তার নিজে যেতে না চাইলে তাকে জোর করে পানিতে নিয়ে চুবাতে শুরু করেন তারা। এক পর্যায়ে লিপি আক্তার মারা যান।
সদর মডেল থানার ওসি মো. শাহ জামান জানান, এ ঘটনায় ওই তরুণীর সৎ পিতা ও ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত কবিরাজ সেলিম মিয়াকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।