রূপগঞ্জে ট্র্যাজেডি: ৩১ দিন পর মিলল চরফ্যাশনের শ্রমিকদের লাশ
চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি
০৮ আগস্ট ২০২১, ২০:৩৩:১৭ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ সেজান জুস ফ্যাক্টরির অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চরফ্যাশনের নিখোঁজ সাত শ্রমিকের মধ্যে চার শ্রমিকের দেহাবশেষ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিখোঁজ শ্রমিকদের পরিবারের ডিএনএ টেস্ট কার্যক্রম শেষে ৩১ দিন পর রোববার সকালে চার শ্রমিকের পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষ তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছে।
ওই চার শ্রমিকের পরিচয় নিশ্চিত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাদের স্বজনদের কাছে ৭ আগস্ট শনিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গ থেকে হস্তান্তর করে বলে স্বজনরা জানান।
নারায়ণগঞ্জের ওই অগ্নিকাণ্ডে চরফ্যাশনের ১০ শ্রমিক ফিরলেও নিখোঁজ ছিল ৭ শ্রমিক।
সূত্রে জানা যায়, স্বজনদের সঙ্গে ডিএনএ ম্যাচিং শেষে তাদের পরিচয় প্রোফাইল তৈরি করা হয়। এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের আবদুল মান্নানের ছেলে নোমান (২০) আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ফজলুর রহমানের ছেলে হাসনাইন (১৬) ও একই এলাকার কবিরের ছেলে রাকিব (১৮), নজরুল নগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ফখরুলের ছেলে শামিমের (১৮) লাশ তাদের বাড়িতে পৌঁছেছে বলে পরিবারগুলো নিশ্চিত করে।
ফজলুর রহমান বলেন, আমার ছেলে হাসনাইনসহ আরও তিনজনের লাশ একই সঙ্গে চরফ্যাশনে আসে। সকালেই ছেলেকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
নোমানের পিতা আবদুল মান্নান বলেন, ছেলের লাশ পেয়েছি। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ হাজার করে টাকা দিয়েছে।
তবে আসলামপুর ইউনিয়নের নিখোঁজ শ্রমিক মহিউদ্দিনের (২৫) মা হয়জুন নেছা কান্নাভরা কণ্ঠে বলেন, আমার ছেলের ডিএনএ মিলেনি, তাই লাশ এখনো পাইনি। আপনারা ছেলেকে আমার বুকে ফিরিয়ে দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নোমান রাহুল বলেন, পাঁচজনের তথ্য জেলা প্রশাসনের কাছে দেয়া হয়েছে। তবে বাকি নিখোঁজদের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
গত ৮ জুলাই বিকালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় চরফ্যাশনের সাত শ্রমিক সেমাই সেকশনে রাতের শিফটে কর্মরত ছিল বলে তাদের পরিবার দাবি করে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
রূপগঞ্জে ট্র্যাজেডি: ৩১ দিন পর মিলল চরফ্যাশনের শ্রমিকদের লাশ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ সেজান জুস ফ্যাক্টরির অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চরফ্যাশনের নিখোঁজ সাত শ্রমিকের মধ্যে চার শ্রমিকের দেহাবশেষ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিখোঁজ শ্রমিকদের পরিবারের ডিএনএ টেস্ট কার্যক্রম শেষে ৩১ দিন পর রোববার সকালে চার শ্রমিকের পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষ তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছে।
ওই চার শ্রমিকের পরিচয় নিশ্চিত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাদের স্বজনদের কাছে ৭ আগস্ট শনিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গ থেকে হস্তান্তর করে বলে স্বজনরা জানান।
নারায়ণগঞ্জের ওই অগ্নিকাণ্ডে চরফ্যাশনের ১০ শ্রমিক ফিরলেও নিখোঁজ ছিল ৭ শ্রমিক।
সূত্রে জানা যায়, স্বজনদের সঙ্গে ডিএনএ ম্যাচিং শেষে তাদের পরিচয় প্রোফাইল তৈরি করা হয়। এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের আবদুল মান্নানের ছেলে নোমান (২০) আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ফজলুর রহমানের ছেলে হাসনাইন (১৬) ও একই এলাকার কবিরের ছেলে রাকিব (১৮), নজরুল নগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ফখরুলের ছেলে শামিমের (১৮) লাশ তাদের বাড়িতে পৌঁছেছে বলে পরিবারগুলো নিশ্চিত করে।
ফজলুর রহমান বলেন, আমার ছেলে হাসনাইনসহ আরও তিনজনের লাশ একই সঙ্গে চরফ্যাশনে আসে। সকালেই ছেলেকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
নোমানের পিতা আবদুল মান্নান বলেন, ছেলের লাশ পেয়েছি। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ হাজার করে টাকা দিয়েছে।
তবে আসলামপুর ইউনিয়নের নিখোঁজ শ্রমিক মহিউদ্দিনের (২৫) মা হয়জুন নেছা কান্নাভরা কণ্ঠে বলেন, আমার ছেলের ডিএনএ মিলেনি, তাই লাশ এখনো পাইনি। আপনারা ছেলেকে আমার বুকে ফিরিয়ে দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নোমান রাহুল বলেন, পাঁচজনের তথ্য জেলা প্রশাসনের কাছে দেয়া হয়েছে। তবে বাকি নিখোঁজদের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
গত ৮ জুলাই বিকালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় চরফ্যাশনের সাত শ্রমিক সেমাই সেকশনে রাতের শিফটে কর্মরত ছিল বলে তাদের পরিবার দাবি করে।