জাল কাবিনে বিয়ে, বিদেশে পালানোর সময় স্বামী শ্রীঘরে
সিলেট ব্যুরো
০৩ অক্টোবর ২০২১, ২২:৩৯:১৯ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেটে স্ত্রী সন্তান রেখে জাল কাবিনে দ্বিতীয় বিয়ে করেন তাজ উদ্দিন রনি নামের এক ব্যক্তি। তারপর দ্বিতীয় স্ত্রী গর্ভবতী হলেই জোর করে গর্ভপাত করিয়ে নিতেন রনি। স্ত্রীর মর্যাদাও দেননি দ্বিতীয় স্ত্রীকে। চতুর্থবার স্ত্রী গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে না দেয়ায় কোলে আসে এক সন্তান। এরপর থেকে পালানোর পথ খুঁজতে থাকেন রনি।
সর্বশেষ বিদেশে পালানোর প্রাক্কালে তাকে গ্রেফতার করে গত শনিবার আদালতের মাধ্যমে শ্রীঘরে পাঠায় পুলিশ।
এসএমপির এয়ারপোর্ট থানার ওসি খান মুহাম্মদ মাইনুল জাকির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত তাজ উদ্দিন রনি (৪০) সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার চন্দরবাজার এলাকার কালিঢহর গ্রামের হাজি নুরুল হকের ছেলে। প্রথম স্ত্রী ও তিন সন্তানের কথা গোপন করে ২০১৭ সালে নগরীর মজুমদারী এলাকার বাসিন্দা সুলতানা আক্তার লুবনার (৩২) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন বিবাহিত তাজ উদ্দিন রনি। প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতারের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রতারণার শিকার সুলতানা আক্তার লুবনা জানান, ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে ভালবাসা, প্রেম, বিয়ে রনির সঙ্গে। বিয়ের পর জানতে পারেন রনির তিন সন্তানসহ স্ত্রী আছে। তারপর স্ত্রীর মর্যাদার জন্য চাপ দিলে ভুয়া কাবিননামা তৈরি করে নগরীর বালুচর এলাকা থেকে।
তিনি বলেন, স্ত্রীর মর্যাদা না দিয়ে জাল কাবিন, বিয়ে গোপনের পাশাপাশি সন্তান নিতেও বাধা দেন রনি। গর্ভের তিনটি সন্তান নষ্টের পর চতুর্থ সন্তান জন্ম দিলে সে আমাকে ছেড়ে বিদেশে পালানোর প্রস্তুতি নেয়। এব্যাপারে এয়ারপোর্ট থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়।
রনি নগরীর চৌকিদেখি এলাকার আঙ্গুর মিয়ার গলির একটি বাসায় প্রথম স্ত্রী ও ওই স্ত্রীর ঘরের সন্তানদের নিয়ে থাকতেন। আর দ্বিতীয় স্ত্রী সুলতানা আক্তার লুবনা থাকতেন নগরীর মজুমদারী এলাকার আরেক বাসায়। নিজেকে স্ত্রী, পুত্রের পিতৃত্বের স্বীকৃতি দাবি লুবনার।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
জাল কাবিনে বিয়ে, বিদেশে পালানোর সময় স্বামী শ্রীঘরে
সিলেটে স্ত্রী সন্তান রেখে জাল কাবিনে দ্বিতীয় বিয়ে করেন তাজ উদ্দিন রনি নামের এক ব্যক্তি। তারপর দ্বিতীয় স্ত্রী গর্ভবতী হলেই জোর করে গর্ভপাত করিয়ে নিতেন রনি। স্ত্রীর মর্যাদাও দেননি দ্বিতীয় স্ত্রীকে। চতুর্থবার স্ত্রী গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে না দেয়ায় কোলে আসে এক সন্তান। এরপর থেকে পালানোর পথ খুঁজতে থাকেন রনি।
সর্বশেষ বিদেশে পালানোর প্রাক্কালে তাকে গ্রেফতার করে গত শনিবার আদালতের মাধ্যমে শ্রীঘরে পাঠায় পুলিশ।
এসএমপির এয়ারপোর্ট থানার ওসি খান মুহাম্মদ মাইনুল জাকির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত তাজ উদ্দিন রনি (৪০) সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার চন্দরবাজার এলাকার কালিঢহর গ্রামের হাজি নুরুল হকের ছেলে। প্রথম স্ত্রী ও তিন সন্তানের কথা গোপন করে ২০১৭ সালে নগরীর মজুমদারী এলাকার বাসিন্দা সুলতানা আক্তার লুবনার (৩২) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন বিবাহিত তাজ উদ্দিন রনি। প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতারের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রতারণার শিকার সুলতানা আক্তার লুবনা জানান, ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে ভালবাসা, প্রেম, বিয়ে রনির সঙ্গে। বিয়ের পর জানতে পারেন রনির তিন সন্তানসহ স্ত্রী আছে। তারপর স্ত্রীর মর্যাদার জন্য চাপ দিলে ভুয়া কাবিননামা তৈরি করে নগরীর বালুচর এলাকা থেকে।
তিনি বলেন, স্ত্রীর মর্যাদা না দিয়ে জাল কাবিন, বিয়ে গোপনের পাশাপাশি সন্তান নিতেও বাধা দেন রনি। গর্ভের তিনটি সন্তান নষ্টের পর চতুর্থ সন্তান জন্ম দিলে সে আমাকে ছেড়ে বিদেশে পালানোর প্রস্তুতি নেয়। এব্যাপারে এয়ারপোর্ট থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়।
রনি নগরীর চৌকিদেখি এলাকার আঙ্গুর মিয়ার গলির একটি বাসায় প্রথম স্ত্রী ও ওই স্ত্রীর ঘরের সন্তানদের নিয়ে থাকতেন। আর দ্বিতীয় স্ত্রী সুলতানা আক্তার লুবনা থাকতেন নগরীর মজুমদারী এলাকার আরেক বাসায়। নিজেকে স্ত্রী, পুত্রের পিতৃত্বের স্বীকৃতি দাবি লুবনার।