‘এবারের নির্বাচনেও নৌকা ফেলে পালাবে অনেকে’ আ.লীগ নেতার বক্তব্যে তোলপাড়
ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
০৭ অক্টোবর ২০২১, ২১:৪৪:৫০ | অনলাইন সংস্করণ
ঢাকার ধামরাইয়ের বালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল আলীম নৌকা প্রতীক, জনপ্রতিনিধি ও দলীয় সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ফের ভাইরাল হয়েছেন। তকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা চলছে চা-স্টলসহ বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায়।
বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টায় মাদারপুর গ্রামে নির্বাচনী প্রচারণা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অনেক প্রার্থী নৌকা ফেলে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাবে। যেমন বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা ফেলে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছিল ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাইশাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান মিজান। তিনি এখন প্রত্যেক ইউনিয়নে ইউনিয়নে গিয়ে বড় বড় বক্তব্য দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, এবার যদি বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আহমদ হোসেনকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হয় তাহলে তার বেলায়ও একই দশা হবে। তাকেও নৌকা ফেলে এলাকা থেকে পালিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিতর্কিত চেয়ারম্যানকে এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও ফের নৌকা প্রতীক দেওয়া হলে জনগণ তা মেনে নেবে না। আমরা তার বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে নির্বাচন করব এবং জয় নিয়ে ঘরে ফিরব। কারণ বিগত নির্বাচনে আমরাই আপনাদের ভোটাধিকার হনন করেছি তাই আপনারা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেননি। এবারের নির্বাচনে আপনারা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন। সেই ব্যবস্থা আমরাই করব।
তার এ বক্তব্য এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। এমনকি মানুষের মুখে মুখে আলোচিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আলীমের এ ধরনের বক্তব্যে সবাই নিন্দা প্রকাশ করছেন।
বালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আহমদ হোসেন বলেন, এলাকায় আমার ব্যাপক সুনাম ও জনসর্মথন রয়েছে। ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করে ইউনিয়নবাসীর মন জয় করেছি। এতে তারা ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে। দল আমাকে নৌকা প্রতীক না দিলে আমি স্বতন্ত্র নির্বাচন করব না। দলীয় মনোনয়ন যাকে দেয়া হবে আমি তার হয়ে কাজ করব। দলের সিদ্ধান্তই আমার সিদ্ধান্ত। এতে আমার কোনো দ্বিমত নেই।
বাইশাকান্দা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান মিজান বলেন, বিগত উপনির্বাচনের প্রেক্ষাপট ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। আমি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পর ফের দল আমাকে নৌকার মনোনয়ন দেয়। বিভিন্ন কারণে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াই। আমি নৌকা ফেলে পালাইনি। আমাকে দলীয় প্রতীক দেওয়া হলে নির্বাচন করব। না দিলেও আমি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাব না। আমার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার করা হচ্ছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
‘এবারের নির্বাচনেও নৌকা ফেলে পালাবে অনেকে’ আ.লীগ নেতার বক্তব্যে তোলপাড়
ঢাকার ধামরাইয়ের বালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল আলীম নৌকা প্রতীক, জনপ্রতিনিধি ও দলীয় সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ফের ভাইরাল হয়েছেন। তকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা চলছে চা-স্টলসহ বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায়।
বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টায় মাদারপুর গ্রামে নির্বাচনী প্রচারণা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অনেক প্রার্থী নৌকা ফেলে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাবে। যেমন বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা ফেলে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছিল ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাইশাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান মিজান। তিনি এখন প্রত্যেক ইউনিয়নে ইউনিয়নে গিয়ে বড় বড় বক্তব্য দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, এবার যদি বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আহমদ হোসেনকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হয় তাহলে তার বেলায়ও একই দশা হবে। তাকেও নৌকা ফেলে এলাকা থেকে পালিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিতর্কিত চেয়ারম্যানকে এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও ফের নৌকা প্রতীক দেওয়া হলে জনগণ তা মেনে নেবে না। আমরা তার বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে নির্বাচন করব এবং জয় নিয়ে ঘরে ফিরব। কারণ বিগত নির্বাচনে আমরাই আপনাদের ভোটাধিকার হনন করেছি তাই আপনারা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেননি। এবারের নির্বাচনে আপনারা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন। সেই ব্যবস্থা আমরাই করব।
তার এ বক্তব্য এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। এমনকি মানুষের মুখে মুখে আলোচিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আলীমের এ ধরনের বক্তব্যে সবাই নিন্দা প্রকাশ করছেন।
বালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আহমদ হোসেন বলেন, এলাকায় আমার ব্যাপক সুনাম ও জনসর্মথন রয়েছে। ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করে ইউনিয়নবাসীর মন জয় করেছি। এতে তারা ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে। দল আমাকে নৌকা প্রতীক না দিলে আমি স্বতন্ত্র নির্বাচন করব না। দলীয় মনোনয়ন যাকে দেয়া হবে আমি তার হয়ে কাজ করব। দলের সিদ্ধান্তই আমার সিদ্ধান্ত। এতে আমার কোনো দ্বিমত নেই।
বাইশাকান্দা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান মিজান বলেন, বিগত উপনির্বাচনের প্রেক্ষাপট ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। আমি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পর ফের দল আমাকে নৌকার মনোনয়ন দেয়। বিভিন্ন কারণে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াই। আমি নৌকা ফেলে পালাইনি। আমাকে দলীয় প্রতীক দেওয়া হলে নির্বাচন করব। না দিলেও আমি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাব না। আমার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার করা হচ্ছে।