অর্ডার করলে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে মা ইলিশ
আবদুল্লাহ জুয়েল, মনপুরা (ভোলা)
১৮ অক্টোবর ২০২১, ১৫:৫৬:৪৪ | অনলাইন সংস্করণ
ভোলার মনপুরার মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাতের আঁধারে মা ইলিশ শিকার করছে অসাধু জেলেরা। সেই ইলিশ আবার গ্রাহকের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে প্রভাবশালী একটি চক্র। নিষেধাজ্ঞার সময় মা ইলিশ শিকার করায় প্রকৃত জেলেদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
গত ৪ দিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মেঘনায় তিনটি দলে ভাগ হয়ে মা ইলিশ শিকার করছে প্রভাবশালী জেলেরা। একদল নদীর পাড়ে অবস্থান নেয় কখন কোন পাশের নদীতে অভিযানে নামবে প্রশাসন সেটি তদারকির জন্য। আরেক দল জাল ও নৌকা নিয়ে মেঘনায় নির্বিঘ্নে মা ইলিশ শিকার করা। শেষ দলের কাজ হলো জেলেদের ধরা মা ইলিশ বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া।
এদিকে সোমবার সকালে মৎস্যজীবী নেতা জাহাঙ্গীর ও সাইফুলের নেতৃত্বে একদল মাঝি অভিযোগ করে বলেন, অসাধু জেলেরা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মা ইলিশ শিকার করছে প্রতিনিয়ত।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঘরে ঘরে মা ইলিশ পৌঁছে দেওয়া চক্রের এক সদস্য জানান, নদীর পাড় থেকে জেলেদের শিকার করা ইলিশ নিয়ে গ্রাহকের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া তাদের কাজ। তবে গ্রাহকের সঙ্গে আগেই মোবাইল ফোনে দাম ও কত হালি ইলিশ লাগবে তা নির্ধারণ করা হয়। পরে ভোর রাতে গ্রাহকের চাহিদা মতো ইলিশ পৌঁছে দেওয়া হয় বাড়িতে।
তিনি আরও জানান, প্রতি হালি (৪টি) ইলিশ এক হাজার পাঁচশ টাকা থেকে দুই হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি ইলিশের ওজন এক কেজি দুইশ গ্রাম থেকে দেড় কেজির মতো। প্রত্যেকটি ইলিশের পেটে ডিম রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল গাফফার জানান, মেঘনায় অভিযান চলছে। অসাধু জেলেদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চলবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম মিঞা জানান, মনপুরার চারপাশে মেঘনা। তাই মেঘনায় অভিযান কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। তবে ৩টি টিম অভিযান চালাচ্ছে। অসাধু জেলেদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
অর্ডার করলে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে মা ইলিশ
ভোলার মনপুরার মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাতের আঁধারে মা ইলিশ শিকার করছে অসাধু জেলেরা। সেই ইলিশ আবার গ্রাহকের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে প্রভাবশালী একটি চক্র। নিষেধাজ্ঞার সময় মা ইলিশ শিকার করায় প্রকৃত জেলেদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
গত ৪ দিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মেঘনায় তিনটি দলে ভাগ হয়ে মা ইলিশ শিকার করছে প্রভাবশালী জেলেরা। একদল নদীর পাড়ে অবস্থান নেয় কখন কোন পাশের নদীতে অভিযানে নামবে প্রশাসন সেটি তদারকির জন্য। আরেক দল জাল ও নৌকা নিয়ে মেঘনায় নির্বিঘ্নে মা ইলিশ শিকার করা। শেষ দলের কাজ হলো জেলেদের ধরা মা ইলিশ বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া।
এদিকে সোমবার সকালে মৎস্যজীবী নেতা জাহাঙ্গীর ও সাইফুলের নেতৃত্বে একদল মাঝি অভিযোগ করে বলেন, অসাধু জেলেরা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মা ইলিশ শিকার করছে প্রতিনিয়ত।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঘরে ঘরে মা ইলিশ পৌঁছে দেওয়া চক্রের এক সদস্য জানান, নদীর পাড় থেকে জেলেদের শিকার করা ইলিশ নিয়ে গ্রাহকের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া তাদের কাজ। তবে গ্রাহকের সঙ্গে আগেই মোবাইল ফোনে দাম ও কত হালি ইলিশ লাগবে তা নির্ধারণ করা হয়। পরে ভোর রাতে গ্রাহকের চাহিদা মতো ইলিশ পৌঁছে দেওয়া হয় বাড়িতে।
তিনি আরও জানান, প্রতি হালি (৪টি) ইলিশ এক হাজার পাঁচশ টাকা থেকে দুই হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি ইলিশের ওজন এক কেজি দুইশ গ্রাম থেকে দেড় কেজির মতো। প্রত্যেকটি ইলিশের পেটে ডিম রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল গাফফার জানান, মেঘনায় অভিযান চলছে। অসাধু জেলেদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চলবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম মিঞা জানান, মনপুরার চারপাশে মেঘনা। তাই মেঘনায় অভিযান কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। তবে ৩টি টিম অভিযান চালাচ্ছে। অসাধু জেলেদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।