শরণখোলায় টানা বৃষ্টিতে পানিবন্দি ৩ হাজার পরিবার
শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
২০ অক্টোবর ২০২১, ০৯:১২:১৮ | অনলাইন সংস্করণ
টানা দুদিনের ভারি বর্ষণে শরণখোলা উপজেলার নিচু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এলাকার অন্তত তিন হাজার পরিবারের ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার বহু মাছের ঘের, পুকুর তলিয়ে মাছ ভেসে গেছে।
মঙ্গলবার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
রায়েন্দা সদর ইউনিয়ন পরিষদের খাদ্য গুদামে পানি উঠে ভিজিডি চাল ভিজে গেছে। ভেজা চাল নিয়ে বিপাকে পড়েছে কর্তৃপক্ষ।
রায়েন্দা পাইলট হাইস্কুলের কেন্দ্র খেলার মাঠ পানিতে টইটুম্বুর। এছাড়া, রায়েন্দা শহরের ফলপট্টি, কাচা বাজার, পূর্ব মাথা, টিঅ্যান্ডটি, সরকারি খাদ্য গুদাম এলাকা, শহরতলীর উত্তর কদমতলা, জিলবুনিয়া এবং সাউথখালী ইউনিয়নের বগী, গাবতলা, উত্তর সাইথখালী, দক্ষিণ সাউথখালী, বকুলতলা এলাকার হাজারোমানুষপানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব কে এম মিজানুর রহমান জানান, গুদামে ৬০০ বস্তা ভিজিডি চাল রয়েছে। এর মধ্যে নিচ থেকে বেশ কিছু চালের বস্তা সম্পূর্ণ ভিজে গেছে। সকাল থেকে শুকনা চাল বিতরণ করা হচ্ছে। ভেজা চাল থেকে পঁচা গন্ধ ছড়াচ্ছে।
শহরতলীর উত্তর কদমতলা এলাকার বাসিন্দা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম জীবন জানান, বৃষ্টির পানি সরতে না পারায় তার এলাকার রাস্তাঘাট, অসংখ্য ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে।
সাউথখালী ইউপির চেয়রম্যান মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, তার ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামের দুই সহস্রাধিকপরিবারের বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। বহু ঘের ও পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
রায়েন্দা সদর ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বর জালাল আহমেদ রুমি জানান, রায়েন্দা বাজারসহ তার ওয়ার্ডে এক হাজার পানিবন্দি পরিবার রয়েছে। পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় পানি নামতে পারছে না।
উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা এম এম পারভেজ বলেন, অতিবৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৫৪০টি মাছের ঘের, পুকুর ডুবে ১৩ মেট্রিক টন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ভেসে গেছে। প্রাথমিকভাবে জরিপ করে দেখা গেছে অবকাঠামো ও ভেসে যাওয়া মাছের আর্থিক ক্ষতির পরিমান ৩০লাখ টাকা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ওয়াসিম উদ্দিন বলেন, এই বৃষ্টিতে আমন ধানেরতেমন ক্ষতি হবে না,বরং উপকার হবে। এতে সার, ওষুধ কম ব্যবহার হবে। পোকার উপদ্রব কমবে। সমস্ত স্লুইস গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে বৃষ্টিপাত দীর্ঘমেয়াদী হলে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
শরণখোলায় টানা বৃষ্টিতে পানিবন্দি ৩ হাজার পরিবার
টানা দুদিনের ভারি বর্ষণে শরণখোলা উপজেলার নিচু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এলাকার অন্তত তিন হাজার পরিবারের ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার বহু মাছের ঘের, পুকুর তলিয়ে মাছ ভেসে গেছে।
মঙ্গলবার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
রায়েন্দা সদর ইউনিয়ন পরিষদের খাদ্য গুদামে পানি উঠে ভিজিডি চাল ভিজে গেছে। ভেজা চাল নিয়ে বিপাকে পড়েছে কর্তৃপক্ষ।
রায়েন্দা পাইলট হাইস্কুলের কেন্দ্র খেলার মাঠ পানিতে টইটুম্বুর। এছাড়া, রায়েন্দা শহরের ফলপট্টি, কাচা বাজার, পূর্ব মাথা, টিঅ্যান্ডটি, সরকারি খাদ্য গুদাম এলাকা, শহরতলীর উত্তর কদমতলা, জিলবুনিয়া এবং সাউথখালী ইউনিয়নের বগী, গাবতলা, উত্তর সাইথখালী, দক্ষিণ সাউথখালী, বকুলতলা এলাকার হাজারো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব কে এম মিজানুর রহমান জানান, গুদামে ৬০০ বস্তা ভিজিডি চাল রয়েছে। এর মধ্যে নিচ থেকে বেশ কিছু চালের বস্তা সম্পূর্ণ ভিজে গেছে। সকাল থেকে শুকনা চাল বিতরণ করা হচ্ছে। ভেজা চাল থেকে পঁচা গন্ধ ছড়াচ্ছে।
শহরতলীর উত্তর কদমতলা এলাকার বাসিন্দা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম জীবন জানান, বৃষ্টির পানি সরতে না পারায় তার এলাকার রাস্তাঘাট, অসংখ্য ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে।
সাউথখালী ইউপির চেয়রম্যান মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, তার ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামের দুই সহস্রাধিক পরিবারের বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। বহু ঘের ও পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
রায়েন্দা সদর ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বর জালাল আহমেদ রুমি জানান, রায়েন্দা বাজারসহ তার ওয়ার্ডে এক হাজার পানিবন্দি পরিবার রয়েছে। পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় পানি নামতে পারছে না।
উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা এম এম পারভেজ বলেন, অতিবৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৫৪০টি মাছের ঘের, পুকুর ডুবে ১৩ মেট্রিক টন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ভেসে গেছে। প্রাথমিকভাবে জরিপ করে দেখা গেছে অবকাঠামো ও ভেসে যাওয়া মাছের আর্থিক ক্ষতির পরিমান ৩০লাখ টাকা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ওয়াসিম উদ্দিন বলেন, এই বৃষ্টিতে আমন ধানের তেমন ক্ষতি হবে না, বরং উপকার হবে। এতে সার, ওষুধ কম ব্যবহার হবে। পোকার উপদ্রব কমবে। সমস্ত স্লুইস গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে বৃষ্টিপাত দীর্ঘমেয়াদী হলে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।