সৌদির সাম্মাম সাতকানিয়ার মাটিতে
সৈয়দ মাহফুজ-উন নবী খোকন, সাতকানিয়া
২১ অক্টোবর ২০২১, ১৮:১৬:০১ | অনলাইন সংস্করণ
তাইওয়ানের হলুদ তরমুজের পর এবার সাতকানিয়ার মাটিতে ফলেছে সৌদি আরবের সাম্মাম। উপজেলা কৃষি দপ্তর থেকে বীজ সংগ্রহ করে ২০ শতক জমিতে মরুর এ ফলের আবাদ করেছেন ছদাহার কৃষক আবুল হোসেন।
তিন মাসের মাথায় ফলনও এসেছে ভালো। প্রথমবার ক্ষেত থেকে তিনি ৪৫০ কেজি সাম্মাম বিক্রি করে আয় করেছেন প্রায় ১ লাখ টাকা।
উপজেলা কৃষি দপ্তর জানায়, ছদাহার কৃষক আবুল হোসেন বিদেশি এ ফল চাষে উদ্যোগী হলে উপজেলা কৃষি দপ্তর থেকে তাকে বীজ সরবরাহ করা হয়। ৪০ হাজার টাকা খরচ করে ২০ শতক জমিতে তিনি কুন্দন, রক স্টার, রেট অ্যারোমা জাতের সাম্মাম আবাদ করেন। তিন মাসের মাথায় ফলন আসে। প্রথম হারভেস্টে তিনি প্রায় ৪৫০ কেজি সাম্মাম তুলেন। ২০০ টাকা কেজি দরে ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে এ ফল বিক্রি করে প্রায় এক লাখ টাকার মতো আয় করেছেন। এছাড়া ক্ষেত থেকে আরও ফল বিক্রি করা যাবে।
কৃষক আবুল হোসেন বলেন, তাইওয়ানের তরমুজ চাষ করে ভালো লাভবান হয়েছি। এজন্য বিদেশি ফলের প্রতি আগ্রহটা বেশি। এছাড়া বিদেশি এ ফলের আবাদ চট্টগ্রামে প্রথম হওয়ায় চাহিদাটাও বেশি। তাই ভালো বাজার পাচ্ছি। ৪০ হাজার টাকা খরচ করে এবার সাম্মাম চাষ করেছিলাম। এখন পর্যন্ত এক লাখ টাকার মতো বিক্রি করেছি। আরও বিক্রি করতে পারবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, তাইওয়ানের হলুদ তরমুজের পর চট্টগ্রামে প্রথম সাম্মামের চাষ হয়েছে। ছদাহার কৃষক আবুল হোসেন আগ্রহী হয়ে বিদেশি এ ফল চাষ করেছেন। তাকে কৃষি দপ্তর থেকে বীজ, সার, ফেরোমন ফাঁদসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বিদেশি এ ফলের আবাদ সাতকানিয়ায় ছড়িয়ে দিতে কৃষি দপ্তর সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সৌদির সাম্মাম সাতকানিয়ার মাটিতে
তাইওয়ানের হলুদ তরমুজের পর এবার সাতকানিয়ার মাটিতে ফলেছে সৌদি আরবের সাম্মাম। উপজেলা কৃষি দপ্তর থেকে বীজ সংগ্রহ করে ২০ শতক জমিতে মরুর এ ফলের আবাদ করেছেন ছদাহার কৃষক আবুল হোসেন।
তিন মাসের মাথায় ফলনও এসেছে ভালো। প্রথমবার ক্ষেত থেকে তিনি ৪৫০ কেজি সাম্মাম বিক্রি করে আয় করেছেন প্রায় ১ লাখ টাকা।
উপজেলা কৃষি দপ্তর জানায়, ছদাহার কৃষক আবুল হোসেন বিদেশি এ ফল চাষে উদ্যোগী হলে উপজেলা কৃষি দপ্তর থেকে তাকে বীজ সরবরাহ করা হয়। ৪০ হাজার টাকা খরচ করে ২০ শতক জমিতে তিনি কুন্দন, রক স্টার, রেট অ্যারোমা জাতের সাম্মাম আবাদ করেন। তিন মাসের মাথায় ফলন আসে। প্রথম হারভেস্টে তিনি প্রায় ৪৫০ কেজি সাম্মাম তুলেন। ২০০ টাকা কেজি দরে ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে এ ফল বিক্রি করে প্রায় এক লাখ টাকার মতো আয় করেছেন। এছাড়া ক্ষেত থেকে আরও ফল বিক্রি করা যাবে।
কৃষক আবুল হোসেন বলেন, তাইওয়ানের তরমুজ চাষ করে ভালো লাভবান হয়েছি। এজন্য বিদেশি ফলের প্রতি আগ্রহটা বেশি। এছাড়া বিদেশি এ ফলের আবাদ চট্টগ্রামে প্রথম হওয়ায় চাহিদাটাও বেশি। তাই ভালো বাজার পাচ্ছি। ৪০ হাজার টাকা খরচ করে এবার সাম্মাম চাষ করেছিলাম। এখন পর্যন্ত এক লাখ টাকার মতো বিক্রি করেছি। আরও বিক্রি করতে পারবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, তাইওয়ানের হলুদ তরমুজের পর চট্টগ্রামে প্রথম সাম্মামের চাষ হয়েছে। ছদাহার কৃষক আবুল হোসেন আগ্রহী হয়ে বিদেশি এ ফল চাষ করেছেন। তাকে কৃষি দপ্তর থেকে বীজ, সার, ফেরোমন ফাঁদসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বিদেশি এ ফলের আবাদ সাতকানিয়ায় ছড়িয়ে দিতে কৃষি দপ্তর সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।