মেঘনায় আওয়ামী লীগের মানববন্ধন
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গায় ইউপি নির্বাচন সামনে রেখে নৌকা প্রতীকের অবমাননার প্রতিবাদে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদসভা করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
উপজেলার মৈশারচর এলাকায় মঙ্গলবার এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সানাউল্লাহ সরকারের বিরুদ্ধে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিরোধিতা করা ও নৌকা প্রতীকের অবমাননাসহ নানা অভিযোগ তুলে ধরে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতা জজ মিয়া মেম্বার, আব্দুল বারেক, ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক সরকার, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন আহম্মদ ও ছাত্রলীগ নেতা শরিফসহ অন্যরা।
এ সময় চালিভাঙ্গা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক পাওয়া বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ তার বক্তব্যে বলেন, গত নির্বাচনে আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি বিপুল ভোটে জয়লাভ করে নৌকার মান রেখেছি।
এবারও তিনি আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন, কিন্তু নৌকা চেয়ে না পেয়ে সানাউল্লাহ সরকার নৌকা ডুবাতে ওঠেপড়ে লেগেছেন। তার বড় ভাইকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়ে আত্মীয়স্বজনদের ফেসবুক আইডি থেকে ব্যঙ্গচিত্র প্রচার করে নৌকা প্রতীকের অবমাননা করে চলছেন।
তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে।
তিনি আরও বলেন, সানাউল্লাহ সরকার একজন কুখ্যাত খুনি, সাতটি হত্যা মামলার আসামি এবং অবৈধ বালু উত্তোলনের হোতা। তার নির্যাতনের ভয়ে রামবরাইদ্দা গ্রামের নারী-পুরুষ সবসময় আতঙ্কে থাকে।
নির্বাচন সামনে রেখে ভোটারদের ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দিয়ে নৌকায় ভোট না দেওয়ার কথা বলে বেড়াচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
উপজেলার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ নির্বাচনী এলাকা হিসাবে বিবেচনা করে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপের দাবি জানান বক্তারা।
এ ব্যাপারে চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সানাউল্লাহ সরকার তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে যুগান্তরকে বলেন, ফেক ফেসবুক আইডি দিয়ে কে বা কারা এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে আমার জানা নেই।
আমি সাংগঠনিকভাবে নৌকার লোক। আমি এ নির্বাচনে প্রার্থী নই, আমি কেন নৌকার বিরোধিতা করতে যাব?
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
মেঘনায় আওয়ামী লীগের মানববন্ধন
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গায় ইউপি নির্বাচন সামনে রেখে নৌকা প্রতীকের অবমাননার প্রতিবাদে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদসভা করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
উপজেলার মৈশারচর এলাকায় মঙ্গলবার এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সানাউল্লাহ সরকারের বিরুদ্ধে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিরোধিতা করা ও নৌকা প্রতীকের অবমাননাসহ নানা অভিযোগ তুলে ধরে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতা জজ মিয়া মেম্বার, আব্দুল বারেক, ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক সরকার, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন আহম্মদ ও ছাত্রলীগ নেতা শরিফসহ অন্যরা।
এ সময় চালিভাঙ্গা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক পাওয়া বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ তার বক্তব্যে বলেন, গত নির্বাচনে আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি বিপুল ভোটে জয়লাভ করে নৌকার মান রেখেছি।
এবারও তিনি আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন, কিন্তু নৌকা চেয়ে না পেয়ে সানাউল্লাহ সরকার নৌকা ডুবাতে ওঠেপড়ে লেগেছেন। তার বড় ভাইকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়ে আত্মীয়স্বজনদের ফেসবুক আইডি থেকে ব্যঙ্গচিত্র প্রচার করে নৌকা প্রতীকের অবমাননা করে চলছেন।
তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে।
তিনি আরও বলেন, সানাউল্লাহ সরকার একজন কুখ্যাত খুনি, সাতটি হত্যা মামলার আসামি এবং অবৈধ বালু উত্তোলনের হোতা। তার নির্যাতনের ভয়ে রামবরাইদ্দা গ্রামের নারী-পুরুষ সবসময় আতঙ্কে থাকে।
নির্বাচন সামনে রেখে ভোটারদের ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দিয়ে নৌকায় ভোট না দেওয়ার কথা বলে বেড়াচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
উপজেলার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ নির্বাচনী এলাকা হিসাবে বিবেচনা করে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপের দাবি জানান বক্তারা।
এ ব্যাপারে চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সানাউল্লাহ সরকার তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে যুগান্তরকে বলেন, ফেক ফেসবুক আইডি দিয়ে কে বা কারা এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে আমার জানা নেই।
আমি সাংগঠনিকভাবে নৌকার লোক। আমি এ নির্বাচনে প্রার্থী নই, আমি কেন নৌকার বিরোধিতা করতে যাব?